Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মধুর বসন্ত এসেছে
ডঃ পূর্বা সেনগুপ্ত

‘পঞ্চশর তোমারই এ পরাজয় জাগো জাগো অতনু’—চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যের এই লাইন সকলেরই মনে আছে। কামদেবের আরাধনা করে নিজের মধ্যে রূপান্তর এনেছিলেন মণিপুর নৃপ দুহিতা চিত্রাঙ্গদা। কুরূপা থেকে হয়ে উঠেছিলেন সুরূপা। কামদেবকে আরাধনার দিন হল ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথি। যে পূর্ণিমাকে আমরা দোলপূর্ণিমা রূপে চিহ্নিত করি। বাঙলায় ষোড়শ শতাব্দীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন নদের নিমাই, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। সেই কারণে ফাল্গুনের এই বিশেষ পূর্ণিমাকে গৌর পূর্ণিমা নামেও চিহ্নিত করা হয়। একদিকে কামদেবের উৎসব, অন্যদিকে কৃষ্ণজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে আছে এই রঙ খেলার প্রতিটি মুহূর্ত।
আকাশে-বাতাসে আনন্দ নিয়ে বাংলার জীবন প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয় দোল উৎসব। এই উৎসব রঙের উৎসব, প্রেমের উৎসব, ভালোবাসার উৎসব। আবির, গুলালে প্রিয়জনকে রাঙিয়ে দেওয়ার এই উৎসবের উৎস নিহিত আছে সমাজ মনের অনেক গভীরে। এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে পুরাণ কাহিনী এবং সামাজিক সম্মেলনের নানা দিক। ফাল্গুনের পূর্ণিমায় দোল উৎসব পালিত হয়। দোলের আগের দিন পাড়ায় পাড়ায় জ্বলে ওঠে ধুনি। শীতের শুকনো পরিত্যক্ত পাতা দিয়ে আগুন প্রজ্জ্বলিত হয়। তার মধ্যে নিক্ষেপ করা হয় ছোট একটি আটার তৈরী পুতুল, যাকে মেড়া বা নেড়া বলা হয়ে থাকে। প্রচলিত লোকবিশ্বাস, এ হল নেড়া পোড়ানো। নেড়া পোড়ার পরের দিন দোল। দোল বাঙালির নিজস্ব উৎসব। দোলের পরের দিন ভারতের অবাঙালি  অঞ্চলে হোলি উদযাপিত হয়। এই হোলির সঙ্গে কিন্তু নেড়া পোড়ার যোগসূত্র নিবিড়। হোলি শব্দটি এসেছে হোলিকা থেকে। ভাগবত পুরাণ অনুসারে অসুর রাজ হিরণ্যকশিপুর বোনের নাম ছিল হোলিকা। অসুররাজ হিরণ্যকশিপু তপস্যার বলে বেশ কয়েকটি দুর্লভ বর লাভ করেন। এই বর লাভের পর তাঁর মনে হয় তিনিই ঈশ্বর! তাঁর রাজ্যে অন্য কোনও দেবদেবী আরাধনার প্রয়োজন নেই। তিনি প্রজাদের উপর নিষেধ আরোপ করেন, কেউ ভুলেও ব্রহ্মা-বিষ্ণুর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করতে পারবে না। কিন্তু তাঁর পুত্র প্রহ্লাদই বিষ্ণুভক্ত হয়ে ওঠেন। নিজের ঘরেই দেব আরাধনা দেখে হিরণ্যকশিপু অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন। তাঁর শত নিষেধ সত্ত্বেও প্রহ্লাদ তাঁর বিষ্ণুভক্তি ত্যাগ না করলে তিনি নিজের পুত্রকে বধ করার পরিকল্পনা করতে থাকেন। হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকা তপস্যা করে প্রজাপতি ব্রহ্মার কাছ থেকে, কারও মতে অগ্নিদেবের কাছ থেকে এক বিশেষ বস্ত্র লাভ করেন, যা ছিল পুরোপুরি অগ্নিনিরোধক। অর্থাৎ, সেই বস্ত্র পরিধান করলে ভয়াবহ আগুনও অঙ্গ স্পর্শ করতে সক্ষম হতো না। হিরণ্যকশিপু একটি অগ্নিকুণ্ড প্রস্তুত করে তার মধ্যে সেই বস্ত্র পরিধায়ী হোলিকাকে প্রবেশ করান। কোলে বসিয়ে দেন প্রহ্লাদকে, যাতে প্রজাকুল তাঁর প্রতি কোনও বিদ্বেষ পোষণ না করে। কিন্তু হোলিকা ভুলে যান যে ব্রহ্মা তাঁকে এই বস্ত্র দানের সময় বলেছিলেন, কারও ক্ষতি সাধন করলে বস্ত্রটি বিপরীত কাজ করবে। তাই তিনি সেই বস্ত্রে প্রহ্লাদকে আচ্ছাদিত করে অগ্নিকুণ্ডে প্রবেশ করলেন বটে, কিন্তু বিষ্ণুর ইচ্ছায় তা তাঁকে রক্ষা করল না। রক্ষা করল শুধু প্রহ্লাদকে। আর অগ্নিতে প্রাণত্যাগ করলেন হোলিকা। এই হোলিকা দহন উপলক্ষ্যে হোলি উৎসবের সৃষ্টি। শত বাধা সত্ত্বেও অবশেষে ভক্তিই জয়লাভ করে— এই সিদ্ধান্তকে  মান্যতা দেওয়ার জন্যই আনন্দ উৎসবের আয়োজন।
এই কাহিনিটি আবার ভিন্ন ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে। স্বয়ং বিষ্ণু যখন কৃষ্ণরূপে অবতরণ করেন, তখন বৃন্দাবনে তার লীলাকে কেন্দ্র করে দোল উৎসবের সৃষ্টি। আবার অন্য মতে, রাজা কংস শিশু কৃষ্ণকে বধ করতে পুতনা নামে এক রাক্ষসীকে প্রেরণ করেন। পুতনা তাঁর বিষাক্ত স্তন্যদুগ্ধ শিশু গোপালের মুখের কাছে নিয়ে যান। এবং সেই আশ্চর্য বালক সেই দুধ পান করতে থাকেন। শুধু তাই নয়, পুতনার রক্তও পান করেন কৃষ্ণ। ফলে পুতনার রাক্ষসী রূপ প্রকাশিত হয় এবং আগুন জ্বলে ওঠে। সেই আগুনে প্রজ্জ্বলিত বহ্নি পুতনা রাক্ষসী। আর বিষ পান করে কৃষ্ণের গাত্রবর্ণ হয়ে ওঠে কালো। এ নিয়ে এক সময় তাঁর মনেও সংশয় দেখা দেয়। তিনি কৃষ্ণবর্ণ, উজ্জ্বল বর্ণের রাধা ও অন্যান্য গোপীগণ তাঁকে পছন্দ করবে তো? মলিন মুখে একথা ভাবতে বসেন কৃষ্ণ। তাঁকে চিন্তিত দেখে মা যশোদা বলেন, এতে চিন্তা করার কিছু নেই। রাধার ও অন্যান্য গোপীদের মুখে রং মাখিয়ে দিলে তাঁরা আর কৃষ্ণের গাত্রবর্ণ নিয়ে আপত্তি করবে না। মা যশোদার ঠাট্টাচ্ছলে বলা কথাগুলো মনে ধরে কৃষ্ণের। তিনি আবির আর গুলালে রঞ্জিত করেন রাধা ও গোপিনীদের। তাঁর এই রং মাখাবার খেলাই রঙের উৎসব দোল। 
কেবল বৈষ্ণব নয়, শাক্ত ও শৈব ভাবনায় এই দোল উৎসবের মাহাত্ম্য আছে। এর পিছনেও পৌরাণিক কাহিনির উল্লেখ করা হয়েছে। দক্ষকন্যা সতীর দেহত্যাগের পর স্ত্রীর শোকে ধ্যানমগ্ন হলেন শিব। সেই ধ্যান ভঙ্গের চেষ্টা কম হল না। কিন্তু একে একে সকলে ব্যর্থ হলেন। এদিকে তাড়কাসুরের অত্যাচারে দেবকুল অতিষ্ট হয়ে ঊঠেছেন। তাকে বধ করতে পারবে একমাত্র শিবপুত্রই। তাহলে উপায়? শিবকে বিবাহে রাজি করাতে পারেন একমাত্র আদ্যাশক্তি। দেবতাদের অনুরোধে দেবী হিমালয় কন্যা পার্বতী হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন। কিন্তু পার্বতীকে দেখে মোটেই চিনতে পারেন না শিব। তখন দেবতারা কামদেবতার শরণ নিলেন। ঠিক হল, বসন্ত পঞ্চমীর শুভ তিথিতে পার্বতী শিব সম্মুখে সমাগতা হবেন এবং ঠিক সেই সময়েই কামদেব তাঁর পুষ্পধনুর শর নিক্ষেপ করবেন দেবাদিদেবের দিকে। পরিকল্পনা যতই নিখুঁত হোক, কামদেব সেই কাজে সফল হলেন না। উপরন্তু কামদেবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁকে তিরতির করে কম্পমান তৃতীয় নয়নের বহ্নিতে একেবারে ভষ্মে পরিণত করলেন শিব। কামদেব পত্নী রতি তো কেঁদে কেঁদে উন্মাদ প্রায় হলেন। এদিকে শিবকে তুষ্ট করতে পার্বতী শুরু করলেন কঠোর তপস্যা।  দিনের পর দিন অতিবাহিত হল। অবশেষে একদিন পার্বতীর তপস্যায় তুষ্ট হলেন শিব। একসময় শিব ও পার্বতীর বিবাহ সম্পন্ন হল। তখন কাম-পত্নী রতির অনুরোধে কামদেবকে প্রাণদান করলেন দেবাদিদেব। কিন্তু দেহ দিলেন না। সেই থেকে কামদেব অদৃশ্য থেকে নিজের কাজ করে চলেন। বসন্ত পঞ্চমীর দিন কামদেব ভষ্মে পরিণত হয়েছিলেন আর পূর্ণিমার দিন তিনি প্রাণ ফিরে পান। কামদেবের নবজন্মকে স্মরণ করে এই পূর্ণিমা বসন্ত পূর্ণিমা নামে চিহ্নিত হল। সেই থেকে শাক্ত ও শৈব ভাবনাতে বিশেষ স্থান অধিকার করল এই উৎসব। পুরাণ কাহিনীর মধ্যে ভিন্নতা থাকলেও দু’টি বিষয় কিন্তু সব কাহিনির মধ্যেই দেখা যায়। প্রথমে অগ্নিতে ভষ্ম হওয়া, তারপর সেই ভষ্মের টিকা মাথায় নিয়ে রঙের উৎসবে মেতে ওঠা। অগ্নি প্রজ্জ্বলন আর ফাগ—এ দু’টির মধ্যে সম্পর্ক কী কিছু আছে? নিজের ক্ষুদ্রতাকে নিঃশেষ করলেই, ভষ্মে পরিণত করলেই আসে প্রকৃত উৎসব ও আনন্দের ক্ষণ। হয়তো এই আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের খুঁটিনাটি। 
বাংলায় দোল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। কারণ, অধিকাংশ পরিবারে এই পূর্ণিমা পারিবারিক উৎসব রূপে পালিত হয়ে থাকে। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যের জন্মভূমি ও বৈষ্ণব ভাবনার প্রচারভূমি এই বাংলা। তাই যে পরিবার বৈষ্ণবভাবাপন্ন বা যে পরিবারে শ্রীকৃষ্ণ গোপাল বা কৃষ্ণরূপে গৃহদেবতার আসনে অধিষ্ঠিত থাকেন, সেই পরিবারে দোল কেবল রং খেলা নয়। সেখানে দোলের দিন বিশেষ পূজা হয়। সেই পূজায় নিবেদিত হয় আবির। আর সেই আবির গুরুজনদের পায়ে দিয়ে প্রণাম করার পরই উৎসবের সূচনা। তবে এই আবিরের প্রয়োগ কবে থেকে শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে পুরাণ নানা মত প্রদান করে। ফুলের পাপড়ি গুঁড়ো করে তৈরি আবির অনেক সময় বিজয় উপলক্ষ্যেও ব্যবহৃত হতো। পুরাণকার বলেছেন, অত্যাচারী কংসকে বধ করলে মথুরা নগরে বিজয় উৎসবের সূচনা হয়। মথুরাবাসী সকলে মিলে আবিরে রাঙিয়ে দেয় কৃষ্ণ  ও তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বলরামকে। রক্তবর্ণের লাল আবিরের কথাও এই সময় উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু এত কিছুর পরও দোল হল প্রেমের দিবস। পুরাণের কামদেব এই দিনে নবজাগরিত হয়েছিলেন। নব বসন্ত এসেছিল দেবকুলে। প্রতি বছরই তাই এই তিথিতে নবভাবে জাগরিত হয় প্রেম, আনন্দ। তাই এই তিথিতে পালিত হয় বসন্ত উৎসব। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই নব বসন্তকে স্মরণ করে লিখেছেন, ‘মধুর বসন্ত এসেছে , মধুর মিলন ঘটাতে।’ আসলে এই তিথি হোল দেবতা ও মানবের একত্রে উদ্বেলিত হওয়ার ক্ষণ। এই মিলন অতিজাগতিক বিষয়ের সঙ্গে একেবারে জাগতিক ক্ষেত্রের মিলন।
মনে প্রশ্ন আসে , এই রঙের উৎসবের নাম দোল হল কেন? প্রকৃতিতে কে দোলা দেয়? এই দোলন আসলে মানুষের জীবনের স্বরূপ। সে একবার নীচে নামে আবার তুঙ্গে ওঠে। এই ঢেউয়ের মতো গতিতে জীবন এগিয়ে চলে। সেই জীবনের রূপক হিসেবে এই উৎসবকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে আমরা তত্ত্বের দিকে যাব না। দোলের আনন্দই সাধারণের কাছে প্রথম ও প্রধান বিষয়। আবিরে কুমকুমে রাঙা দোল আমাদের জীবনে সামাজিক সম্মেলনের কাজ করে। জীবন ও জগৎ হয়ে ওঠে সুন্দর, প্রাণময়।
অঙ্কন : সুকান্ত দাস
05th  March, 2023
স্বাধীনতার পথ

৭৯ বছর আগে আজকের দিনেই মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রথম পা রাখে নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ। রোমাঞ্চকর সেই অভিযানের কাহিনি তুলে ধরলেন সমৃদ্ধ দত্ত বিশদ

19th  March, 2023
রূপকথার জন্ম

চতুর্দিকে যেন একটা সমুদ্রের গর্জন চলছে। স্লোগানে, আবেগে আর জয়ধ্বনিতে মুখরিত এয়ারপোর্ট চত্বর। কর্নেল প্রেম সেহগলের কানে আসছে কিছু বিক্ষিপ্ত উচ্চকিত মন্তব্য। এসেছেন... এসেছেন... আর চিন্তা নেই... এবার আমাদের অপেক্ষার দিন শেষ...। বিশদ

19th  March, 2023
ইউএফও রহস্য

পোর্টসমাউথের বেটি-বার্নি, নিমিটজের পাইলট বা পেন্টাগন—সকলেই প্রত্যক্ষ করেছে ইউএফওদের। তাও সংশয় কাটে না। প্রশ্ন ওঠে, এ বিশ্বে ভিনগ্রহীদের উঁকিঝুঁকি কেন স্পর্শকাতর সামরিক ঘাঁটিগুলির আশপাশে? মানুষের প্রতিরোধের বহর মাপতেই কি ঘনঘন আগমন তাদের? নাকি কোনও অরূপরতনের খোঁজ মিলেছে? উত্তর খুঁজলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

12th  March, 2023
ভারতের 
অজানা উড়ন্ত বস্তুরা
সৌম্য নিয়োগী

১৯৫৭। স্বাধীনতা সবে ১০ বছরে পা দিয়েছে। মানভূম তখনও পুরোপুরি বিহারে। খনিসমৃদ্ধ অঞ্চল। মূলত বাঙালিদেরই দাপট চলে। গণ্ডগ্রাম কাটোরিও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম থেকে খানিক দূরে রয়েছে অভ্রের খনি। সেটির মালিক ঘোষবাবুকে গ্রামের প্রায় কেউই দেখেননি। কলকাতায় থাকেন। বিশদ

12th  March, 2023
বাবু কলকাতার রঙের উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

ঊনবিংশ শতকে বাবু সংস্কৃতির কলকাতায় রং লেগে থাকত সারা বছর। চুনোট ধুতি পরা বাবুদের মৌতাতের রংয়ে কী আর খামতি ছিল? ঘুড়ির লড়াই, বেড়ালের বিয়ে, বুলবুলির লড়াই থেকে পায়রা ওড়ানো, বাঈ নাচ, বাগানবাড়ি, এসব ঘিরেই বাবু জীবনে অষ্টপ্রহর লেগে থাকত মৌতাতের রং। বিশদ

05th  March, 2023
কৃষ্ণপ্রেমের রঙে মাতোয়ারা জীবন
মাধব মুরারি দাস

(মিখাইল মেশানিন)

কুয়াশা কাটছে। বসন্তের আলো ফুটছে ধীরে ধীরে। মন্দির চত্বরে ভারতীয়দের পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছেন বিদেশি ভক্তরাও। এবার একাধিক দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন দিকে বের হবে মিছিল। নগর পরিক্রমার প্রস্তুতি চলছে। খোল-করতালের সুর মিশছে আকাশ-বাতাসে। বিশদ

05th  March, 2023
নস্টালজিয়ার ১৫০
হরিপদ ভৌমিক

পালকির যুগে কলকাতার পুলিস পালকি বেহারাদের উপর কিছু নতুন নিয়ম চালু করলে, প্রতিবাদে তারা ধর্মঘট করে কলকাতাকে অচল করে দিয়েছিল। ১৮২৭ সালের এই ধর্মঘট ভারতবর্ষের প্রথম ধর্মঘট। এই সময় ব্রাউনলো নামে এক সাহেব নিজের পালকির ডান্ডা দু’টি খুলে নিয়ে, তলায় চারটি চাকা লাগিয়ে এক ঘোড়ায় টানা ঘোড়ার গাড়ি বানিয়ে ফেললেন। তাঁর নামেই এই গাড়ি নাম হয় ‘ব্রাউন বেরি’ গাড়ি। এই সময় থেকে কলকাতায় ঘোড়ার গাড়ির যুগের সূচনা!
  বিশদ

26th  February, 2023
ট্রাম যাপন
স্বপ্নময় চক্রবর্তী

তখন আমি হয়তো বা কেলাস থ্রি। পেটকাটি-মুখপোড়া-মাছরাঙা ঘুড়ি। থাকি ভাড়া বাড়িতে। গ্যালিফ স্ট্রিট ট্রাম ডিপো এবং বাগবাজার ট্রাম ডিপোর মাঝামাঝি একটা জায়গায়। আমার ঘুড়ি গুরু-ডাংগুলি গুরু টুটলেও থাকে আমাদের ভাড়া বাড়িতেই, অন্য ঘরে। বিশদ

26th  February, 2023
একুশে   ফেব্রুয়ারি
সমৃদ্ধ দত্ত

একটা কথা স্পষ্ট করে বলছি শুনুন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে ঊর্দু। অন্য কোনও ভাষা নয়। এই নিয়ে কেউ যদি আপনাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তাহলে বুঝবেন সে রাষ্ট্রের শত্রু। একটিমাত্র রাষ্ট্রভাষা ছাড়া কোনও জাতির পক্ষে একই সূত্রে গ্রোথিত হয়ে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন করা সম্ভব নয়। বিশদ

19th  February, 2023
আমার দুঃখিনী বর্ণমালা...
পদ্মশ্রী ধনীরাম টোটো

স্বাধীনতার পর থেকে এপর্যন্ত দেশজুড়ে অবলুপ্ত অন্তত শখানেক ভাষা-উপভাষা। সঙ্কটের মুখে আরও ৩০টি। যে কোনও দিন হারিয়ে যেতে পারে তারা। সেগুলির মধ্যে অন্যতম আমার মাতৃভাষা, টোটো। মাত্র হাজার দেড়েক মানুষের কথা বলার মাধ্যম। বিশদ

19th  February, 2023
তপ্ত তাওয়াং
মৃন্ময় চন্দ

‘সালামি স্লাইসিং’ কায়দায় গভীর রাতে অরুণাচলের ‘ইয়াংসে’কেই কেন বারবার টার্গেট করছে চীন? বাষট্টির ‘নুরানাং যুদ্ধে’ যশবন্ত-সেলা-নুরার অবিশ্বাস্য প্রতিরোধকে চূর্ণ করেও তারা অরুণাচলের দখল নিতে পারেনি কেন? চীন-ভারত মন কষাকষির আড়ালে কি অন্য রহস্য লুকিয়ে?  বিশদ

12th  February, 2023
প্রতিভাত

মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনকে যদি একটি বাক্যে ব্যাখ্যা করা যায়, তবে তাঁর কবিতার একটি পংক্তিকেই বেছে নিতে হবে। সেটি হল, ‘আশার ছলনে ভুলি কী ফল লভিনু।’ কবির এই আত্মবিলাপের মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে তিনি কী স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং কী যন্ত্রণাময় পরিণতির দিকে ভাগ্যদেবতা তাঁকে ঠেলে দিয়েছিলেন। বিশদ

05th  February, 2023
দেবতার গ্রাস

দুই ছেলেকে হারানো পূর্ণিমার ক্ষোভ বর্ষিত হয় আত্মঘাতী উন্নয়নের দিকে। চিৎকার করেন, ‘আমি অভিশাপ দিচ্ছি, এই সব কাজ জীবনে শেষ হবে না।’ সে ১০ বছর আগের কথা। সেই অভিশাপই কি ফলে গেল যোশিমঠে? লিখলেন 
সমৃদ্ধ দত্ত
বিশদ

29th  January, 2023
নেতাজির পূর্বপুরুষদের সন্ধানে
ডঃ জয়ন্ত চৌধুরী

ব্রিটিশ শাসনকাল। পরাধীন ভারত। সেই পরাধীন রাষ্ট্রের এক ‘অঘোষিত’ রাষ্ট্রদূতের মতোই ইউরোপের বিভিন্ন স্বাধীন দেশের বিভিন্ন শহরে ঘুরছেন সুভাষচন্দ্র বসু। যোগ দিচ্ছেন একের পর এক স্থানীয় সভায়। কথা বলছেন সেখানকার গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। বিশদ

22nd  January, 2023
একনজরে
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনকাণ্ডে ধৃত ‘জামাই’ মনোজ রায়ের ফাঁসির দাবি উঠেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলার সময় এই দাবি তোলেন মৃত নাবালিকার প্রতিবেশীরা। ...

উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছিলেন তনয় মান্না। বাবাকে বলেছিলেন, পরীক্ষা ভালোই হচ্ছে। পরীক্ষার দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ স্টাডি করতে। রাত আটটা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝরাস্তায় একটি মালবাহী গাড়ি সটান এসে ধাক্কা মারে তনয়ের স্কুটিতে। ...

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কি নয়া সমীকরণ? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের পোস্ট করা একটি ছবি জল্পনা উস্কে দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ...

বিশ্বকাপের আর বেশি বাকি নেই। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। ঘোর অনিশ্চিত যশপ্রীত বুমরাহ, শ্রেয়স আয়ারের খেলা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

১৬০৩: ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথের মৃত্যু
১৬৯৩: ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসনের জন্ম
১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়
১৮৭৪:  বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনির জন্ম
১৯০৫: ফরাসি লেখক জুল ভার্নের মৃত্যু
১৯৩৩: এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন
১৯৫৬: পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়
১৯৬১: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিন জোন্সের জন্ম
১৯৬৫: মার্কিন পেশাদার কুস্তীগির দ্য আন্ডারটেকারের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেতা ইমরান হাসমির জন্ম
২০০৫: সঙ্গীতপরিচালক,আবহসঙ্গীতপরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী ভি বালসারার মৃত্যু
২০২২: টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৩ টাকা ৮৩.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬৭ টাকা ১০৩.০৭ টাকা
ইউরো ৮৮.১২ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া ২৮/১৭ অপরাহ্ন ৫/১২। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/১২ দিবা ১/২২। সূর্যোদয় ৫/৪১/২২, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৪ গতে ১০/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৫ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/১৬ গতে ৪/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩১ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া রাত্রি ৭/৩০। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ৩/৫৩ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৩ গতে ১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
১ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কালীঘাটে জনতা দলের (সেকুলার) নেতা কুমারস্বামীকে স্বাগত জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:26:00 PM

৩৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:10:12 PM

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ
লোকসভায় সদস্যপদ খোয়ালেন রাহুল গান্ধী। আজ, শুক্রবার সেই বিষয়ে লোকসভার ...বিশদ

02:24:00 PM

কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী
উপত্যকায় নিকেশ এক জঙ্গি। আজ, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার জাব্দির ...বিশদ

02:00:25 PM

মুর্শিদাবাদে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

01:47:17 PM

২৪ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:38:25 PM