Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

একুশে   ফেব্রুয়ারি
সমৃদ্ধ দত্ত

একটা কথা স্পষ্ট করে বলছি শুনুন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে ঊর্দু। অন্য কোনও ভাষা নয়। এই নিয়ে কেউ যদি আপনাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তাহলে বুঝবেন সে রাষ্ট্রের শত্রু। একটিমাত্র রাষ্ট্রভাষা ছাড়া কোনও জাতির পক্ষে একই সূত্রে গ্রোথিত হয়ে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন করা সম্ভব নয়। বললেন মহম্মদ আলি জিন্না। এরপর জনতাকে প্রশ্ন করলেন, ...আপনারা কি পাকিস্তানে বিশ্বাস করেন?
—হ্যাঁ...হ্যাঁ...হ্যাঁ...।
আপনারা চান বাংলা কিংবা অন্য কোনও অংশ ভারত ইউনিয়নে চলে যাক?
—না...না...না...। 
এই প্রদেশে এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে, সেটা নিয়ে কিছু উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা প্রশাসনকে বিব্রত করার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজকে ব্যবহার করছে। এসব বরদাস্ত করা হবে না। ...আমরা আমাদের রাষ্ট্রে বিশ্বাসঘাতক ঘরোয়া শত্রুদের সহ্য করব না। 
১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় এসে রেসকোর্স ময়দানে জনসভায় দেওয়া বক্তৃতায় এভাবেই পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিকে নস্যাৎ করে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের রূপকার মহম্মদ আলি জিন্না। তাঁর এই ভাষণের পরেই ভাষাপ্রেমী এবং বাঙালি অস্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সিংহভাগ পূর্ববঙ্গবাসী স্তব্ধ হয়ে যান স্বৈরতন্ত্রের কণ্ঠস্বর শুনে। এতদিন লিয়াকৎ আলি খান বা পশ্চিম পাকিস্তানের অন্য নেতারা বাংলা ভাষার এই দাবিকে অগ্রাহ্য করে তাচ্ছিল্যসূচক মন্তব্য করেছিলেন। পূর্ববঙ্গের অপেক্ষা ছিল, স্বয়ং জিন্না কী বলেন, দেখার। 
কিন্তু বোঝা গেল, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা না করে জীবনযাপনের প্রতিটি প্রশাসনিক পদক্ষেপে ঊর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার পণ করেছে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। আর তখন থেকেই যা স্পষ্ট হতে শুরু করেছিল, তা হল, আসলে দেখতে একটিই দেশ। কিন্তু দেশভাগের পর নতুন এই রাষ্ট্রেও আদতে একটি ফল্গুধারার মতোই রয়ে যাচ্ছে ‘টু নেশন থিওরি’! পশ্চিম পাকিস্তান সুয়োরানি। পূর্ব পাকিস্তান দুয়োরানি। সেটা না হলে ভাষার সম্মানের দাবি যারা করছে, তাদের মুখের উপর বলা যায় যে, তারা রাষ্ট্রদ্রোহী? 
এখন ১৯৫২। শুধু ঢাকা নয়, পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন। রংপুর, মাদারিপুর, পাবনা সর্বত্র রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের শাখাকে ছড়িয়ে দেওয়া হল। বলা হল, যে যেমনভাবে পারবেন সেভাবেই সভা-সমাবেশ করুন। অন্যদিকে, ঢাকায় বিভিন্ন গণসংগঠন একজোট হয়ে একটা কোনও জোরদার প্রভাব সৃষ্টির পরিকল্পনার কথা ভাবতে শুরু করল। সেইমতো ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় যুব লীগের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের কর্মসূচিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। স্থির হল ২১ ফেব্রুয়ারি সারা বাংলায় সাধারণ ধর্মঘট পালন করা হবে। এছাড়া ১১ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি হবে পতাকা দিবস। হঠাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি চিঠি ফাঁস হল। জানা গেল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শেখ মুজিবুর রহমান এবং বরিশালের মহিউদ্দিন আহমেদ মুক্তির দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। সংবাদটি যেন বিদ্যুৎ চমকের অভিঘাত তৈরি করল। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তো আছেই, এবার রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতেও পাকিস্তান সরকারকে চেপে ধরতে হবে। বাংলার প্রাদেশিক সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। কারণ স্বয়ং পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন এই তো সেদিন ২৭ জানুয়ারি প্রকাশ্যে জিন্না আর লিয়াকৎ আলি খানদের সমর্থন করে বলেছেন, ঊর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে। সুতরাং তাঁর কাছে সুবিচারে আশা করা যায় না। এবার লক্ষ্য আন্দোলন। 
২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২। 
হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব হায়দারকে বদলি করা হল। হায়দার সাহেব ছিলেন বয়স্ক মানুষ। শান্ত। স্থিরভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া লোক। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে দিয়ে আচমকা নিয়ে আসা হল এক কমবয়সি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এইচ কোরেশিকে। একসময় ফরিদপুরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন তিনি। সমস্যা একটাই, ক্রাইসিস সামলাননি বিশেষ। বড়সড় আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা উপস্থিত হলে কীভাবে জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেটা একটা প্রফেশনাল আর্ট। মাথা গরম করা, ইগো দেখানো অফিসারদের নিয়ে এই কাজ হয় না। 
এই নয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সমগ্র ঢাকা শহরে ২০ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করলেন। নোটিসে জানালেন, এই ১৪৪ ধারা এক মাসের জন্য বলবৎ করা হচ্ছে। জনগণের একাংশ ঢাকা শহরে জনসভা মিছিল, বিক্ষোভের মাধ্যমে একটা অরাজকতা তৈরির প্ল্যান করছে। তাই আমার মনে হচ্ছে জনসাধারণের জীবনে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে। অতএব কোতোয়ালি, সূত্রাপুর, লালবাগ, রমনা আর তেজগাঁও—এই পাঁচ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা শহরের সমগ্র এলাকায় আমার লিখিত পূর্ব অনুমতি ছাড়া আজ থেকে আগামী ৩০ দিন সব ধরনের জনসভা, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ সমাবেশ নিষিদ্ধ।
সেদিনই সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা। নবাবপুরে আওয়ামি মুসলিম লিগ দপ্তরে চলছে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির বৈঠক। কিছুতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না যে, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হবে নাকি মেনে নেওয়া হবে? কেউ বলছেন, এখন তো আর এই আন্দোলন ছাত্রদের আন্দোলনে সীমাবদ্ধ নেই! গোটা জাতির সর্বস্তরে মানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। সুতরাং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে তার পরিণতি যা হবে, সেটা সামাল দেওয়ার মতো সাংগঠনিক শক্তিই তো আমাদের নেই। তাই নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে অগ্রসর হওয়াই কাম্য। কিন্তু, বিপরীত অবস্থানও শোনা যাচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, মুসলিম লিগ সরকার কোনও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে নাকি? এই তো টাঙ্গাইলে উপনির্বাচনে যেই তারা পরাস্ত হল, তারপর থেকে আর কোনও উপ নির্বাচন করে না। হেরে যাওয়ার ভয়ে। এটা কোনও পন্থা? ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আমাদের অন্যায়ের প্রতিরোধ করার দরকার আছে। নাও অর নেভার! অবশেষে তুমুল তর্কবিতর্কের পর ঠিক হল, ভোটাভুটি হোক। ভোটে জয়ী হল শান্তিকামীরা। অর্থাৎ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা উচিত নয় বলে যাঁরা মনে করেন, সেই গোষ্ঠী। কিন্তু অন্য পক্ষ জানিয়েই দিল, ভোটের ফল যা‌ই ঩হোক, আগামী কাল আমরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করব। দেখা যাক কী হয়!
 
২১ ফেব্রুয়ারি। সকাল সাড়ে ৭টা। 
ঢাকা শহরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার সিদ্দিক দেওয়ান বড়সড় বাহিনী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে পজিশন নিয়েছেন। তিনি জানতে পেরেছেন, ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীরাও বেরিয়ে আসতে পারে। সেই রকমই পরিকল্পনা। মেইন গেটের সামনে অবশ্য এসপি সাহের আছেন। পি মাহমুদ ইদ্রিশ। মেডিক্যাল কলেজ গেটের সামনেও একটা বাহিনী রাখা হয়েছে। আর সেলিমউল্লা মুসলিম হলের সামনে আর্মস সহ পোস্টিং করা হয়েছে ১১ জন কনস্টেবলকে। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তখনও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ ও তার বিরোধিতা করা দুই পক্ষের মধ্যে মতান্তর চলছে। একপ্রস্থ হাতাহাতিও চলল। পরে ঠিক হল, ১০ জন করে গেট থেকে বেরনো হবে। যাতে কোনও বড়সড় অস্থিরতা অথবা অরাজকতার বার্তা না যায়। প্রতীকী প্রতিবাদ বলা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পুলিস-প্রশাসন বলতে পারবে না যে, ছাত্ররা প্ররোচনা দিয়েছে বা আক্রমণ করেছে। এই সিদ্ধান্ত মনঃপূত হল সকলের।
সবাইকে বলা হল, রুমাল ভিজিয়ে নিতে। কারণ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়বে পুলিস। চোখে ভেজা রুমাল চেপে ধরবে সকলে। তৎক্ষণাৎ স্লোগান উঠল, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই... ১৪৪ ধারা ভাঙতে হবে...।’ 
কোথায় যাওয়া হবে? পরিষদ ভবনের দিকে! অর্থাৎ যাকে আমরা বিধানসভা বলি। সেখানে সভা চলছে। সুতরাং, কিছুতেই ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পুলিস প্রস্তুত। গেট থেকে কয়েকটি ব্যাচের ছাত্ররা বেরতেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হল। তবে ছাড় দেওয়া হল ছাত্রীদের। হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হুড়োহুড়ি। এবার সকলেই বেরোতে চায়। পুলিস আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়। বাধা দিল। ঢিল ছুঁড়ছে ছাত্ররা। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাল পুলিস। চরম আতঙ্ক। কোনটা কাঁদানে গ্যাস আর কোনটা গুলি কে বুঝবে? শোনা গেল, মেডিক্যাল কলেজের গেটের দিকে গুলি চলছে। 
আব্দুল জব্বারকে ফল কিনতে হবে। মেডিক্যাল কলেজের বাইরে এসেছেন তিনি। বিয়ে করেছেন মাত্র তিন বছর। হঠাৎ শাশুড়ির ক্যান্সার ধরা পড়েছে। সেই কারণেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আসা। এক চেনা ছাত্রের সঙ্গে হস্টেলে থাকছেন তিনি। আজ শাশুড়ির অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। জব্বারের মন ভালো নেই। অন্যমনস্ক হয়ে গেট থেকে বেরিয়ে দেখলেন, সামনে মিছিল। দূরে পজিশন নিয়ে দাঁড়িয়ে পুলিস। মিছিল থেকে স্লোগান উঠছে বাংলা আমার মাতৃভাষা...বাংলা ভাষার সম্মান চাই...ইত্যাদি। মাথাটা কেমন করে উঠল। মিছিলের কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁদের কথা শুনছেন। ময়মনসিংহের এক গ্রাম থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে জব্বার চলে গিয়েছিলেন বার্মায়। ১০ বছর পর আবার ফিরে এসেছিলেন। ন্যাশনাল গার্ডে কাজও নিয়েছেন। তাঁর মনেপ্রাণে বাংলা ভাষার প্রতি এক অদম্য টান। মিছিল দেখতে দেখতে হঠাৎই মাটিতে পড়ে গেলেন জব্বার। গুলি লেগেছে তাঁর। রক্ত ঝরছে অনর্গল। ছুটে এলেন সিরাজুম ইসলাম, হুরমৎ আলিরা। জব্বারকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সময় পাওয়া গেল না। জব্বার আর নেই। তিনি শহিদ হয়েছেন। ভাষার জন্য।
মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল গেট অবরুদ্ধ করেছে পুলিস। কিছুতেই তাঁদের হস্টেলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। ছাত্ররাও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বীরভূম জেলার সিউড়ির সৈয়দ জাকির সাহেবের আত্মীয় আবুল বরকতকে আবাই নামে সম্বোধন করেন তাঁর বন্ধুরা। মেডিক্যাল ছাত্র শামসুল বারি দেখলেন সেই আবাই মামু বারান্দার করিডর ধরে এগিয়ে আসছেন। কিছু একটা বলবেন। 
২০ নম্বর ব্যারাকের কামরায় একটা সিগারেট খাচ্ছিলেন শামসুল। হঠাৎ দেখলেন, চলতে চলতেই মাটিতে পড়ে গিয়েছেন আবাই মামু। আবুল বরকত। 
কী ব্যাপার? কাঁদানে গ্যাস? চোখে জ্বালা? ততক্ষণে ১৭ নম্বর ব্যারাক থেকে ছুটে এলেন শফিকুর রহমান। তিনি পানি খুঁজছেন। বরকতের মুখে চোখে দেবেন। কিন্তু এ তো রক্ত! অর্থাৎ গুলি। বরকতের বড়সড় শরীর বহন করে মাঠের মাঝখান থেকে দৌঁড়চ্ছেন শামসুল আর শফিকুর। ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে এসে বরকতকে দেখে কেঁদে ফেললেন কয়েকজন। তাঁকে সকলেই চেনে। এ কী হল! ঝড়ের বেগে একটি শরীর নিয়ে ঢুকল আরও দু’জন। সেদিকে তাকানো যাচ্ছে না। কারণ, সেই শরীরের মস্তিষ্কের একাংশ নেই। উড়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সালাহুদ্দিন। 
মৃত্যুমিছিল থামেনি। আবার একটি শরীর আসছে। তাঁর চোখ দু’টি তখনও খোলা। সেই চোখে বিস্ময়। তবে প্রাণ আছে। কী তাঁর পরিচয়? রফিকউদ্দিন আহমেদ। মিছিলে থাকা বহু ছাত্র গুলিবিদ্ধ। হস্টেল লক্ষ্য করেও গুলি চলেছে। গুলিবিদ্ধ বহু ছাত্রকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন ছাত্র ও বন্ধুরা। এঁদের মধ্যে কেউ প্রাণে বেঁচে যাবেন। কেউ বা আবার রফিকউদ্দিনের মতো হাসপাতালেই প্রাণ হারাবেন।
কতজন শহিদ হয়েছিলেন? সত্যিটা হয়তো আজও জানা যায়নি। কারণ বহু লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। নিরুদ্দেশ কতজন, সে সম্পর্কেও সঠিক তথ্য নেই। কোথায় গেলেন তাঁরা? বাংলা নামক ভাষার জন্য এই আহুতি ব্যর্থ হয়নি। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকরা ভেবেছিল এভাবেই দমনপীড়ন করে চিরকাল চলবে! বাংলা ভাষা হেরে যাবে। 
কিন্তু ১৯৫২ সালের সেই একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে অনেক দূরের এক ভবিষ্যতে শান্ত হয়ে অপেক্ষা করছিল ১৯৭১ সাল। যখন প্রত্যাঘাতের আশ্চর্য আখ্যান রচিত হবে। সে এক অন্য কাহিনী!
19th  February, 2023
স্বাধীনতার পথ

৭৯ বছর আগে আজকের দিনেই মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রথম পা রাখে নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ। রোমাঞ্চকর সেই অভিযানের কাহিনি তুলে ধরলেন সমৃদ্ধ দত্ত বিশদ

19th  March, 2023
রূপকথার জন্ম

চতুর্দিকে যেন একটা সমুদ্রের গর্জন চলছে। স্লোগানে, আবেগে আর জয়ধ্বনিতে মুখরিত এয়ারপোর্ট চত্বর। কর্নেল প্রেম সেহগলের কানে আসছে কিছু বিক্ষিপ্ত উচ্চকিত মন্তব্য। এসেছেন... এসেছেন... আর চিন্তা নেই... এবার আমাদের অপেক্ষার দিন শেষ...। বিশদ

19th  March, 2023
ইউএফও রহস্য

পোর্টসমাউথের বেটি-বার্নি, নিমিটজের পাইলট বা পেন্টাগন—সকলেই প্রত্যক্ষ করেছে ইউএফওদের। তাও সংশয় কাটে না। প্রশ্ন ওঠে, এ বিশ্বে ভিনগ্রহীদের উঁকিঝুঁকি কেন স্পর্শকাতর সামরিক ঘাঁটিগুলির আশপাশে? মানুষের প্রতিরোধের বহর মাপতেই কি ঘনঘন আগমন তাদের? নাকি কোনও অরূপরতনের খোঁজ মিলেছে? উত্তর খুঁজলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

12th  March, 2023
ভারতের 
অজানা উড়ন্ত বস্তুরা
সৌম্য নিয়োগী

১৯৫৭। স্বাধীনতা সবে ১০ বছরে পা দিয়েছে। মানভূম তখনও পুরোপুরি বিহারে। খনিসমৃদ্ধ অঞ্চল। মূলত বাঙালিদেরই দাপট চলে। গণ্ডগ্রাম কাটোরিও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম থেকে খানিক দূরে রয়েছে অভ্রের খনি। সেটির মালিক ঘোষবাবুকে গ্রামের প্রায় কেউই দেখেননি। কলকাতায় থাকেন। বিশদ

12th  March, 2023
মধুর বসন্ত এসেছে
ডঃ পূর্বা সেনগুপ্ত

‘পঞ্চশর তোমারই এ পরাজয় জাগো জাগো অতনু’—চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যের এই লাইন সকলেরই মনে আছে। কামদেবের আরাধনা করে নিজের মধ্যে রূপান্তর এনেছিলেন মণিপুর নৃপ দুহিতা চিত্রাঙ্গদা। কুরূপা থেকে হয়ে উঠেছিলেন সুরূপা। কামদেবকে আরাধনার দিন হল ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথি। বিশদ

05th  March, 2023
বাবু কলকাতার রঙের উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

ঊনবিংশ শতকে বাবু সংস্কৃতির কলকাতায় রং লেগে থাকত সারা বছর। চুনোট ধুতি পরা বাবুদের মৌতাতের রংয়ে কী আর খামতি ছিল? ঘুড়ির লড়াই, বেড়ালের বিয়ে, বুলবুলির লড়াই থেকে পায়রা ওড়ানো, বাঈ নাচ, বাগানবাড়ি, এসব ঘিরেই বাবু জীবনে অষ্টপ্রহর লেগে থাকত মৌতাতের রং। বিশদ

05th  March, 2023
কৃষ্ণপ্রেমের রঙে মাতোয়ারা জীবন
মাধব মুরারি দাস

(মিখাইল মেশানিন)

কুয়াশা কাটছে। বসন্তের আলো ফুটছে ধীরে ধীরে। মন্দির চত্বরে ভারতীয়দের পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছেন বিদেশি ভক্তরাও। এবার একাধিক দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন দিকে বের হবে মিছিল। নগর পরিক্রমার প্রস্তুতি চলছে। খোল-করতালের সুর মিশছে আকাশ-বাতাসে। বিশদ

05th  March, 2023
নস্টালজিয়ার ১৫০
হরিপদ ভৌমিক

পালকির যুগে কলকাতার পুলিস পালকি বেহারাদের উপর কিছু নতুন নিয়ম চালু করলে, প্রতিবাদে তারা ধর্মঘট করে কলকাতাকে অচল করে দিয়েছিল। ১৮২৭ সালের এই ধর্মঘট ভারতবর্ষের প্রথম ধর্মঘট। এই সময় ব্রাউনলো নামে এক সাহেব নিজের পালকির ডান্ডা দু’টি খুলে নিয়ে, তলায় চারটি চাকা লাগিয়ে এক ঘোড়ায় টানা ঘোড়ার গাড়ি বানিয়ে ফেললেন। তাঁর নামেই এই গাড়ি নাম হয় ‘ব্রাউন বেরি’ গাড়ি। এই সময় থেকে কলকাতায় ঘোড়ার গাড়ির যুগের সূচনা!
  বিশদ

26th  February, 2023
ট্রাম যাপন
স্বপ্নময় চক্রবর্তী

তখন আমি হয়তো বা কেলাস থ্রি। পেটকাটি-মুখপোড়া-মাছরাঙা ঘুড়ি। থাকি ভাড়া বাড়িতে। গ্যালিফ স্ট্রিট ট্রাম ডিপো এবং বাগবাজার ট্রাম ডিপোর মাঝামাঝি একটা জায়গায়। আমার ঘুড়ি গুরু-ডাংগুলি গুরু টুটলেও থাকে আমাদের ভাড়া বাড়িতেই, অন্য ঘরে। বিশদ

26th  February, 2023
আমার দুঃখিনী বর্ণমালা...
পদ্মশ্রী ধনীরাম টোটো

স্বাধীনতার পর থেকে এপর্যন্ত দেশজুড়ে অবলুপ্ত অন্তত শখানেক ভাষা-উপভাষা। সঙ্কটের মুখে আরও ৩০টি। যে কোনও দিন হারিয়ে যেতে পারে তারা। সেগুলির মধ্যে অন্যতম আমার মাতৃভাষা, টোটো। মাত্র হাজার দেড়েক মানুষের কথা বলার মাধ্যম। বিশদ

19th  February, 2023
তপ্ত তাওয়াং
মৃন্ময় চন্দ

‘সালামি স্লাইসিং’ কায়দায় গভীর রাতে অরুণাচলের ‘ইয়াংসে’কেই কেন বারবার টার্গেট করছে চীন? বাষট্টির ‘নুরানাং যুদ্ধে’ যশবন্ত-সেলা-নুরার অবিশ্বাস্য প্রতিরোধকে চূর্ণ করেও তারা অরুণাচলের দখল নিতে পারেনি কেন? চীন-ভারত মন কষাকষির আড়ালে কি অন্য রহস্য লুকিয়ে?  বিশদ

12th  February, 2023
প্রতিভাত

মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনকে যদি একটি বাক্যে ব্যাখ্যা করা যায়, তবে তাঁর কবিতার একটি পংক্তিকেই বেছে নিতে হবে। সেটি হল, ‘আশার ছলনে ভুলি কী ফল লভিনু।’ কবির এই আত্মবিলাপের মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে তিনি কী স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং কী যন্ত্রণাময় পরিণতির দিকে ভাগ্যদেবতা তাঁকে ঠেলে দিয়েছিলেন। বিশদ

05th  February, 2023
দেবতার গ্রাস

দুই ছেলেকে হারানো পূর্ণিমার ক্ষোভ বর্ষিত হয় আত্মঘাতী উন্নয়নের দিকে। চিৎকার করেন, ‘আমি অভিশাপ দিচ্ছি, এই সব কাজ জীবনে শেষ হবে না।’ সে ১০ বছর আগের কথা। সেই অভিশাপই কি ফলে গেল যোশিমঠে? লিখলেন 
সমৃদ্ধ দত্ত
বিশদ

29th  January, 2023
নেতাজির পূর্বপুরুষদের সন্ধানে
ডঃ জয়ন্ত চৌধুরী

ব্রিটিশ শাসনকাল। পরাধীন ভারত। সেই পরাধীন রাষ্ট্রের এক ‘অঘোষিত’ রাষ্ট্রদূতের মতোই ইউরোপের বিভিন্ন স্বাধীন দেশের বিভিন্ন শহরে ঘুরছেন সুভাষচন্দ্র বসু। যোগ দিচ্ছেন একের পর এক স্থানীয় সভায়। কথা বলছেন সেখানকার গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। বিশদ

22nd  January, 2023
একনজরে
পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের শক্তি প্রমুখ গৌতম মাল সহ চারজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। ...

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কি নয়া সমীকরণ? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের পোস্ট করা একটি ছবি জল্পনা উস্কে দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ...

বিশ্বকাপের আর বেশি বাকি নেই। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। ঘোর অনিশ্চিত যশপ্রীত বুমরাহ, শ্রেয়স আয়ারের খেলা। ...

আগামী অর্থবর্ষে প্রায় ২৪ হাজার তরল বর্জ্য নিষ্কাশন ইউনিট বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।   বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নবান্ন। সেই অনুযায়ী এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে পঞ্চায়েত দপ্তর।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

১৬০৩: ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথের মৃত্যু
১৬৯৩: ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসনের জন্ম
১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়
১৮৭৪:  বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনির জন্ম
১৯০৫: ফরাসি লেখক জুল ভার্নের মৃত্যু
১৯৩৩: এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন
১৯৫৬: পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়
১৯৬১: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিন জোন্সের জন্ম
১৯৬৫: মার্কিন পেশাদার কুস্তীগির দ্য আন্ডারটেকারের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেতা ইমরান হাসমির জন্ম
২০০৫: সঙ্গীতপরিচালক,আবহসঙ্গীতপরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী ভি বালসারার মৃত্যু
২০২২: টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৩ টাকা ৮৩.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬৭ টাকা ১০৩.০৭ টাকা
ইউরো ৮৮.১২ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া ২৮/১৭ অপরাহ্ন ৫/১২। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/১২ দিবা ১/২২। সূর্যোদয় ৫/৪১/২২, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৪ গতে ১০/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৫ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/১৬ গতে ৪/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩১ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া রাত্রি ৭/৩০। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ৩/৫৩ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৩ গতে ১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
১ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কালীঘাটে জনতা দলের (সেকুলার) নেতা কুমারস্বামীকে স্বাগত জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:26:00 PM

৩৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:10:12 PM

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ
লোকসভায় সদস্যপদ খোয়ালেন রাহুল গান্ধী। আজ, শুক্রবার সেই বিষয়ে লোকসভার ...বিশদ

02:24:00 PM

কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী
উপত্যকায় নিকেশ এক জঙ্গি। আজ, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার জাব্দির ...বিশদ

02:00:25 PM

মুর্শিদাবাদে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

01:47:17 PM

২৪ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:38:25 PM