Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

লোককথায় গাঁথা মহাকাব্য

রিমি মুৎসুদ্দি: ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ কেবল বাঁশবাদির কাহারদের জীবন আখ্যান নয়, এ এক মহাসময়ের সম্পাদ্য। আখ্যানের প্রতিটা বাঁকে মহাকাব্যিক চলন। মানুষের ক্রমে সভ্যতার পথে পা বাড়ানোর ইতিহাসে আগুন আবিষ্কারের আগে থেকেই তার দৃষ্টিশক্তি অন্ধকারেও প্রখর ছিল। সভ্যতার পথে হাঁটতে হাঁটতে আমরা তা হারিয়ে ফেলেছি। তবু আলোহীন কাহারপাড়ার মানুষেরা এখনও সেই দৃষ্টিশক্তি হারায়নি। এই আখ্যান যেন সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। 
বাঁশবাদির আটপৌরে আর কাহাররা সেই কোন আমলে ছিল পালকিবাহক। সাহেবদের সেইসব দিন ক্রমে অস্ত যাওয়ার পথে। তারও বহু আগে বাঁশবাদির মানুষদের পালকিবাহকের জীবিকা শেষ হয়ে যায়। আখ্যানের কাহাররা সাহেবদের আমলে তৈরি হওয়া সামন্ততন্ত্রের প্রতীক চৌধুরী, ঘোষ, মণ্ডলদের জমি চাষ করে, ফাইফরমাইশ খাটে। আখ্যান বদলে যায় পৃথিবীর চেনা পরিচিত ভৃত্য ও বাবুদের শোষণ ও শাসনের বৃত্ত থেকে অনেকটাই। কারণ, সেই বৃত্তে যুগপরম্পরায় বাসা বেঁধেছে কাহারদের ধর্মবিশ্বাস। যে ধর্মবিশ্বাসের মূলে কাহার পাড়ার বটবৃক্ষে বসবাসকারী তাদের দেবতা কত্তাবাবা, তার বাহন, কালারুদ্র। 
ধর্মবিশ্বাসের কারণেই কাহার পাড়ার মাতব্বর বনওয়ারি নিজের প্রাপ্য কেরাচিনি, ম্যালেরিয়ার ওষুধ কুইনাইন বাবুদের কাছ থেকে না পেলেও এই না পাওয়াকেই কত্তাবাবার বিধান মনে করে। কাহার পাড়ায় সমস্ত পুরনো ধ্যানধারণা ও নিয়মের বিরুদ্ধে মানুষের অধিকারে বাঁচার দাবিতেই যেন জন্ম নিয়েছিল নতুন যুগের কাহারসন্তান করালী। 
হাঁসুলি বাঁকের এই জীবন আলেখ্য কেবল করালী আর বনওয়ারির দ্বন্দ্ব নয়, এর সীমানা বাঁশবাদির মাটি আর কোপাইয়ের ধারে চন্ননপুরের রেলইস্টিশানের কারখানাও নয়। এ যেন রূপকথার মধ্যে দিয়ে ক্রমে বিলুপ্তির দিকে যাওয়া এক উপকথা। যেখানে বনওয়ারি বাবুদের অন্যায় অন্যায্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ না খুলে আধপেটা খেয়ে অথবা না খেয়েও বাবুদের জমিতে চাষের কাজ ছেড়ে কারখানায় কাজ করতে যাওয়ার বিরুদ্ধে বিধান দেয়। করালী এর উল্টোপথে হাঁটতে প্রলুব্ধ করে অর্ধভুক্ত, অভুক্ত, সাপের কামড়ে অথবা ম্যালেরিয়ায় ওষুধবিহীন অকালমৃত্যুর কবলে আক্রান্ত কাহারদের।  
চাষ বনাম শিল্পের দ্বন্দ্ব ফুটে ওঠে সমস্ত আখ্যান জুড়ে। বিশ্বযুদ্ধে ও তার প্রভাবে বাংলায় ধানের অস্বাভাবিক হারে মূল্যবৃদ্ধি, সমস্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জোগান কমে আসা এবং কেবল এক শ্রেণির একতরফা ধন সঞ্চয়— এই সমস্তই উপকথার ভেতরে গ্রথিত।  
মার্কসীয় দার্শনিক গ্রামসি বলেছিলেন, ‘শোষণের বাস্তবতা বুঝতে গেলে গ্রামদেশের অন্ত্যজ মানুষের কথা জানতে হবে।’ তারাশঙ্কর সেই পথেই হেঁটেছেন। তাঁর নিজের স্মৃতিকথা ‘আমার কালের কথা’-তে তিনি লিখেছেন, ‘এমনি দ্বন্দ্বের সমারোহে সমৃদ্ধ লাভপুরের মৃত্তিকায় আমি জন্মেছি। সামন্ততন্ত্র বা জমিদারতন্ত্রের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্ব আমি দু’চোখ ভরে দেখেছি। সে দ্বন্দ্বের ধাক্কা খেয়েছি। আমরাও ছিলাম ক্ষুদ্র জমিদার। সে দ্বন্দ্বে আমাদেরও অংশ ছিল।’ 
মনে পড়ে যায় ‘জলসাঘর’ গল্পে ঝাড়বাতির প্রায় নিভে যাওয়া আলোয় অধুনাবিত্তহীন জমিদার বিশ্বম্ভর রায়, তাঁর পূর্বপুরুষদের প্রমোদ বিলাসে মত্ত প্রতিকৃতির দিকে তাকিয়ে নিজের প্রতিবিম্বই দেখতে পায় ও সেই মোহের প্রতিকৃতি দেখতে দেখতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।  
তবে, কেবল শোষণ আর দারিদ্র্যের আখ্যান বললেই তাঁর মহাসৃষ্টিকে ব্যাখ্যা করা যায় না। দারিদ্র্যের মধ্যেও জীবনের যে অনিবার্য জটিল অথচ অদ্ভুত সুন্দর এক রস রয়েছে, সেই রসের ভিয়েন যেন তাঁর প্রতিটা লেখায়। প্রেম, ভালোবাসা, ঈর্ষা, স্নেহ, মায়া এইসব প্রবৃত্তিই এক অদ্ভুত দক্ষতায় জুড়েছেন তাঁর প্রতিটা কাহিনির ছত্রে ছত্রে। এই সমস্ত প্রবৃত্তিকেই যেন মনে হয় মানুষের জীবনের এক অমোঘ নিয়তি।
তাঁর শ্রেষ্ঠ গল্প সংকলনের ভূমিকায় অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘তারাশঙ্করের আরাধ্যা জীবনের বিভীষণা নগ্নিকা কালিকামূর্তি।’ জীবনের নানা বাঁকে ‘নগ্নিকা কালিকামূর্তি’র মতো একদিকে যেমন ভয়, বীভৎসতা, আরেকদিকে এক অদ্ভুত প্রশান্তি বিরাজ করে চলেছে। এই দুই রসের অপরূপ মেলবন্ধন তাঁর উপন্যাসে ও ছোটগল্পে সুনিপুণভাবে বিস্তৃত। 
‘ডাকহরকরা’ গল্পে ডাকহরকরার জীবনে কখনও পোস্ট অফিসে পৌঁছতে দেরি হয়নি, কেবল যেবার ওর ছেলে সমস্ত ডাকের টাকাপয়সা ডাকাতি করতে এল সেবারই ছেলের হাতে আহত হয়ে ওর দেরি হয়ে গেল। জীবন তবুও একইরকমভাবে বয়ে যাচ্ছিল ডাকহরকরার। সে চলা যদিও গল্পে থামেনি, কেবল পাঠককে স্তব্ধ করে দিয়েছে তার ছেলের মৃত্যু সংবাদ যখন সে নিজেই নিজের জন্য ডাকে বহন করে নিয়ে আসল। 
‘বেদেনী’ ও ‘ডাইনী’ এই দুই গল্পে কুসংস্কার আর সেই সংস্কারের জাঁতায় নারীমনের চিরযন্ত্রণা লিপিবদ্ধ। ‘বেদেনী’ বরং নিজের স্বাধীনসত্তার বিকাশ ঘটাতে অনেক বেশি সক্ষম। যদিও তার পরিণতি ভয়ঙ্কর। ‘ডাইনি’ তার যুগসংস্কারকে অভিশাপের মতো আঁকড়ে ধরে থেকেও কেবলই মুক্তি চাইত এই ডাইনি জীবন থেকে। অথচ মানুষ হওয়ার পথে বাধা তার নিজেরই সংস্কার। আবার ‘তারিণী মাঝি’ গল্পেও এক করুণ অমোঘ নিয়তি। সুখী তারিণীকে আঁকড়ে ধরে বাঁচত। তাই জলে ডুবে যাওয়ার সময় মরণকালেও তারিণীকেই আঁকড়ে রইল। তারিণীও সমস্ত গল্প জুড়ে একা। কেবল স্ত্রী সুখীকে জড়িয়েই তার বেঁচে থাকা। জলে ডুবে যাওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে সুখীর সেই জড়ানো বাহুবন্ধন থেকে ও মুক্ত হতে চেষ্টা করে। ভুলে যায়, ক্ষণিক আগে সে নিজেই সুখীকে আশ্বাস দিয়েছিল, ওকে শক্ত করে ধরে থাকলে ওরা দু’জনেই এই নদী পারাপার করতে পারবে। বেঁচে থাকার তাগিদেই কি তারিণী সুখীকে গলা টিপে হত্যা করে? আর এই যে  বীভৎসতা এর মধ্যেও কি বেঁচে থাকার রসদ নেই? সেই রসদের সন্ধানও তো পাই তাঁর লেখাতেই। 
‘নাগিনী কন্যার কাহিনী’-তে সেই সুন্দর অথচ ভয়ঙ্কর এক যন্ত্রণার আখ্যান ছড়িয়ে হিজল বিলের সাঁওতালি পাড়ায়। যেখানে চাঁদসদাগরের আমলের বিষবৈদ্যরা চাঁদের অভিশাপে বিষবেদেতে পরিণত হয় আর সেই মিথ সংস্কারকে জড়িয়ে শবলা, পিঙলা-র মতো নাগিনীকন্যার উপাখ্যান রচিত হয়। এ তো সেই দ্বন্দ্ব, সংস্কার আর জীবনের আশ্চর্য মেলবন্ধন! 
জীবনের সর্বত্রই কোথাও না কোথাও আদিম মহাপ্রকৃতি সমস্ত আধুনিকতার মধ্যে, সমস্ত একমুখী ভাবনাকে বহুমুখী করতে নানা বৈপরীত্যে বিচিত্রতায় বারেবারে মানুষের সামনে এসে দাঁড়ায়। সে কথাই যেন তাঁর ‘রাধা’ উপন্যাসে মহাকালীর ধ্যানমন্ত্রে পাই। ‘বিপরীত রতাতুরং সুখ প্রসন্ন বদনাং স্মেরানন স্মরারুহাং’ অনার্য সংস্কৃতির সংস্কার ও লোককথাকে তিনি কুসংস্কার বলেননি। বরং তাঁর দৃপ্ত ঘোষণা, আর্যদের আখ্যান যেমন পুরাণ ও মহাকাব্যে স্থান পেয়েছে, অনার্যদের লোককাহিনিও তেমনি এক মহাকাব্যই। ‘গণদেবতা’, ‘ধাত্রীদেবতা’, ‘আরোগ্যনিকেতন’, ‘বিষপাথর’, ‘কালিন্দী’ ইত্যাদি নানা রচনায় সেই আখ্যানেরই সাক্ষাৎ পাই। তারাশঙ্করের লেখা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, প্রতিটা লোককথাই পারে মহাকাব্যের জন্ম দিতে। অমর কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকৃতপক্ষেই এক মেধাবী লোকসংস্কৃতি গবেষক।
 ছবি: জ্ঞানপীঠ পাওয়ার পর তারাশঙ্কর।
25th  July, 2021
অবিস্মরণীয় চিত্রামৃত
শংকর

অনন্তকালের মহামানবদের বাণী প্রচারে অনেক সময় লেগে যায়। কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায় তার ব্যতিক্রম নন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পাঁচ টাকা মাইনের পূজারী তাঁর অবসর সময়ে ভক্তজনদের কিছু বললেন, একজন স্কুল মাস্টার তা শ্রদ্ধার সঙ্গে শুনে বাড়ি ফিরে এসে নোটবইতে লিপিবদ্ধ করলেন। বিশদ

22nd  August, 2021
সারদা মায়ের 
স্বদেশি সন্তান
সমৃদ্ধ দত্ত

বরিশালের বানবীপাড়ার যোগেন্দ্রনাথ গুহঠাকুরতা ছিলেন স্বদেশপ্রেমী। সুতরাং নিজের কন্যাটিকেও সেভাবেই তিনি শিক্ষা দিয়েছেন। অন্য বালিকাদের সঙ্গে বড় হওয়ার সময় শিশুদের গ্রাম্য খেলাধুলোয় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি, বাবার কাছে মেয়েটি দেশভক্তির আকুলতাও শিখেছিল। যা সেই ছোট থেকেই তার মনের মধ্যে গেঁথে যায়। মেয়ের নাম প্রফুল্লমুখী। বিশদ

15th  August, 2021
অস্তকালের রবি
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

বারান্দায় বসে সন্ধ্যার সময় সুনন্দা, সুধাকান্ত ও ক্ষিতিমোহনবাবুর স্ত্রীকে মুখে মুখে বানিয়ে একটা দীর্ঘ গল্প শুনিয়ে তারপরে বাদলা বাতাস ঠান্ডা বোধ হওয়াতে ঘরে গিয়ে কেদারাতে বসেছিলুম, শরীরে কোনো প্রকার কষ্ট বোধ করিনি, অন্তত মনে নেই; কখন মূর্চ্ছা এসে আক্রমণ করল কিছুই জানি নে। 
  বিশদ

08th  August, 2021
ঘড়ির দর্পণে কলকাতা

‘বৈঠকখানায় মেকাবি ক্লাকে টাং টাং টাং করে পাঁচটা বাজলো, সূর্যের উত্তাপের হ্রাস হয়ে আসতে লাগলো। সহরের বাবুরা ফেটিং, সেলফ ড্রাইভিং বগী ও ব্রাউহ্যামে করে অবস্থাগত ফ্রেণ্ড, ভদ্রলোক বা মোসাহেব সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে বেরুলেন; কেউ বাগানে চল্লেন।’— মহাত্মা হুতোম লিখেছেন। 
বিশদ

01st  August, 2021
অচেনা তারাশঙ্কর

আমার জীবনে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব এমনই যে, তাঁর স্নেহধন্য হয়ে আজও নিজেকে আমি অতি সৌভাগ্যবান বলে মনে করি। আমার তখন কতই বা বয়স, হাওড়া শ্রীরামকৃষ্ণ শিক্ষালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি।
বিশদ

25th  July, 2021
অশান্ত স্মৃতি
সোভিয়েত পতনের ৩০ বছর

দড়ি ধরে মারো টান, লেনিন হবে খানখান! এগারো ফুট উঁচু লাল গ্রানাইটের মূর্তিটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তেই উল্লাসে ফেটে পড়েছিল জনতা। কেউ আনন্দে হাততালি দিয়েছেন, তো কেউ আবার প্রাণখুলে গেয়েছেন জাতীয় সঙ্গীত।
বিশদ

18th  July, 2021
কথা ও কাহিনিতে
বাংলার রথ
তরুণ চক্রবর্তী

এপার ওপার দু’দিকেই ঘন জঙ্গল আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েকটি জনপদের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে পতিতোদ্ধারিণী গঙ্গা। সেই গঙ্গার নির্জন তীরে পাতায় ছাওয়া এক কুটিরে থাকতেন যে সন্ন্যাসী, হঠাৎই একদিন কোথায় যে উধাও হয়ে গেলেন!কবে কোথা থেকে এসে সেখানে তিনি ডেরা বেঁধেছিলেন, কী তাঁর নাম, তাও তো কেউ জানে না। বিশদ

11th  July, 2021
অচেনা সীমান্তে
অজানা গল্প

সীমান্ত....! দু’দেশের মাঝে কাঁটাতারের বেড়া। আর তার দু’দিকে বাস হাজার হাজার মানুষের। যেখানে কাঁটাতার নেই, সীমান্তের ‘উঠোন’ যেখানে উন্মুক্ত, সেখানে বাস করা যে কী কঠিন, কী যন্ত্রণাদায়ক, তা বোধহয় আমার-আপনার মতো বহু মানুষই জানেন না। বিশদ

04th  July, 2021
আদুর বাদুড়
চালতা বাদুড়

মাম্পস-র‌্যাবিস-নিফা-ইবোলা-হেন্ড্রা-সার্স-মার্স-কোভিড প্রভৃতি মারণ ভাইরাসের সূতিকাগার বাদুড়ের শরীর। অথচ বাদুড়ের টিকিটিও কস্মিনকালে তারা স্পর্শ করতে পারেনি। বাদুড় থেকে মানুষে সরাসরি সংক্রমণের নেই কোনও প্রাক-ইতিহাস। মধ্যবর্তী পোষক উট-ঘোড়া-শিম্পাঞ্জি-শুয়োর-পিপীলিকাভুক থেকেই সংক্রমিত হয়েছে মানুষ। নির্বিচারে অরণ্যনিধন, জীববৈচিত্র্যের সমূল বিনাশই প্রতিটা মহামারীর নেপথ্যের এক এবং অদ্বিতীয় কারণ। মানুষের কি সম্বিত ফিরবে না? সেই অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি মৃন্ময় চন্দ।   বিশদ

27th  June, 2021
জীবনের হার না
মানা জয়গান

মানসিক কাঠিন্য। হার-না-মানা স্পিরিট। নিজের উপর অটুট আস্থা। প্রবল টেনশনকে উড়িয়ে জয় ছিনিয়ে আনা। লর্ডসের বাইশ গজে ডান হাতে ব্যাট উঁচিয়ে ধরা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি সতীর্থদের কাছে এটাই। বিশদ

20th  June, 2021
লর্ডসে ইতিহাস ‘সব কিছু
তো এখান থেকেই শুরু’

১৯৯৬ সালের ঠিক আজকের দিনে লর্ডস স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ। সেই টেস্ট ম্যাচেই শতরান করে ঐতিহাসিক অভিষেক হয়েছিল এক বাঙালি তরুণের। যাঁর হাত ধরে পরবর্তীকালে বদলে যায় ভারতীয় ক্রিকেটের গতিধারা— তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৫ বছর পর ফের একবার সেই ঐতিহাসিকক্ষণটি ফিরে দেখা। বিশদ

20th  June, 2021
অধিকারের শতবর্ষ

গ্রামের পথ। এক মহিলা দুপুর রোদে ছাতা নিয়ে চলেছেন। হঠাৎ সামনে চলে আসে এক ষণ্ডামার্কা লোক। সে মহিলাকে এগতে বাধা দেয়। মহিলা তাও এগতে চান। 
বিশদ

13th  June, 2021
বাঙালির গোয়েন্দাগিরি
সুখেন বিশ্বাস

বাঙালিদের কাছে ‘গোয়েন্দা’ শব্দটি অতি পরিচিত। সেই ছোটবেলা থেকেই মা-বাবার কাছ থেকে আমরা শুনে আসছি শব্দটি। হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া, খুন-ডাকাতি বা যে কোনও রহস্য উন্মোচনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে ‘গোয়েন্দা’ শব্দটি। ছোটবেলায় চোর-পুলিস খেলেনি এইরকম শিশু-কিশোর খুব কমই আছে বাঙালি সমাজে। বিশদ

06th  June, 2021
আবার নতুন দিল্লি
সমৃদ্ধ দত্ত

লর্ড কার্জনকে কংগ্রেস নেতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক চিঠি পাঠালেন। লিখলেন, বিহার আর ওড়িশাকে বাংলা থেকে পৃথক করে দেওয়া হোক। কিন্তু পূর্ববঙ্গকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়। বাংলার মানুষ ভাগ হয়ে যাবে, এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। লর্ড কার্জন প্রতিটি চিঠি পড়লেন। মতামত শুনলেন। বিশদ

30th  May, 2021
একনজরে
দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন মহিলারা। অন্যান্য লাইনে হুড়োহুড়ি থাকলেও শান্ত হয়েই প্রতীক্ষায় মহিলারা। অধিকাংশের মুখেই চওড়া হাসি। কোনও তাড়া নেই তাঁদের। কারণ ...

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য মালদহে তিন লক্ষেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির আওতায় প্রথম ন’দিনের শিবিরে ওই আবেদন জমা পড়েছে বলে ...

হাওড়া সিটি পুলিস প্রায় ৪৫ কেজি নিষিদ্ধ চীনা মাঞ্জা উদ্ধার করল। মঙ্গল ও বুধবার জাগাছা থানার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ সুতো। ...

দেশজুড়ে সরকারি সংস্থা বিক্রির কড়া সমালোচনা চলছে। তবু মোদি সরকার অনড়। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উপস্থিতি যে কমিয়ে আনা হবে, সরাসরি একথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার তিনি বলেছেন, দুটি ভাগে সরকারি সংস্থাকে বিভাজিত করা হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM