Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অবিস্মরণীয় চিত্রামৃত
শংকর

অনন্তকালের মহামানবদের বাণী প্রচারে অনেক সময় লেগে যায়। কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায় তার ব্যতিক্রম নন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পাঁচ টাকা মাইনের পূজারী তাঁর অবসর সময়ে ভক্তজনদের কিছু বললেন, একজন স্কুল মাস্টার তা শ্রদ্ধার সঙ্গে শুনে বাড়ি ফিরে এসে নোটবইতে লিপিবদ্ধ করলেন। তার কয়েক দশক পরে খণ্ডে খণ্ডে নিজের খরচে যে বই শ্রীম বের করলেন, তা ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’ রূপে প্রথমে বাংলায়, পরে ইংরেজিতেও বিশ্ববিজয় করল। সেই জয়যাত্রা তো আজও অব্যাহত।
শুধু কথামৃতে আজকের মানুষের মন ভরে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অমৃতবাণীর প্রচারক সাধুসন্ততির মধ্যে দক্ষিণেশ্বরের পূজারী বাউনের ভাগ্য ভালো তাঁর সময়ে ফোটোগ্রাফির জয়যাত্রা সবে শুরু হয়েছে এবং তার কয়েকটি আলোকচিত্র আমাদের কাছে এসেছে, যা বুদ্ধ, খ্রিস্ট, শঙ্করাচার্য, শ্রীচৈতন্য কারও ক্ষেত্রেই ঘটেনি। সেই ফোটোচিত্রের সংখ্যা আর ক’টি! শ্রীরামকৃষ্ণের সবক’টি ছবিও আমাদের হাতে নেই। তাঁর ডাক্তার ভক্ত রামচন্দ্র দত্ত যেসব ছবি তুলেছিলেন অজ্ঞাত কারণে তার নেগেটিভ গঙ্গার জলে ফেলে এসেছিলেন। বাকি ছবির কোনটা কীভাবে কোন কোম্পানির কোন আলোকচিত্রী কোথায় তুলেছিলেন, আবার রামকৃষ্ণ কীভাবে কলকাতার প্রফেশনাল ফোটোগ্রাফারের স্টুডিওতে এলেন সে নিয়ে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট কৌতূহল আজও অব্যাহত। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ছাড়াও আছেন তাঁর সমকালের পুরুষ ও মহিলারা, তাঁদের দেখতে কেমন, কেন তাঁরা বিস্মৃতির আলো-আঁধার থেকে আবার বেরিয়ে এলেন সে নিয়ে যা অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্ম হয়েছে, তা নিয়ে কাশীপুরে অন্ত্যলীলাপর্ব থেকে অনুসন্ধান, সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও গবেষণা আজও চলছে দেশে এবং বিদেশে।
গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৩৬। দেহাবসান ১৮৮৬। কিন্তু তাঁর প্রথম আলোকচিত্র কবে এবং কোথায় কীভাবে তোলা হল সে সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় খবর স্বামী চেতনানন্দ সংগ্রহ করে রেখেছেন। প্রথম ছবির তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ১৮৭৯, উদ্যোক্তা কেশবচন্দ্র, স্থান তাঁর আপার সার্কুলার রোডের বাড়ি ‘কমল কুটীর’। কে এই ছবি তুলল,  তার সন্ধান মিলল দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বিশেষ সংগ্রহ থেকে, একটা ফোটোর পিছনে উল্লেখ রয়েছে ‘দ্য বেঙ্গল ফোটোগ্রাফার্স, প্রতিষ্ঠা ১৮৬২’। একশো বছর পরে (১৯৬৩) আমেরিকান গবেষক সন্ন্যাসী স্বামী বিদ্যাত্মানন্দ কলকাতার ওই ঠিকানায় গিয়ে স্টুডিওর খোঁজ পেলেন না, আমেরিকান সন্ন্যাসী খুঁজছিলেন ঐতিহাসিক ছবির প্লেট।
এই বিখ্যাত প্রথম ছবিতে আরও চরিত্র আছে— বাহ্য চৈতন্য বিলুপ্ত রামকৃষ্ণকে ধরে রয়েছেন তাঁর ভাগিনেয় ও সেবক হৃদয়রাম। এই ছবিতে আরও যাঁরা বসে আছেন, তাঁদের সবাইকে শনাক্ত করা যায়নি আজও। একমাত্র ব্যতিক্রম ত্রৈলোক্যনাথ সান্যাল।
আরও কিছু ছবি সংগৃহীত হয়েছে— শ্রীরামকৃষ্ণ চাইতেন না যে, কেউ তাঁর ছবি তুলুক। তিনি সমাধিস্থ না হলে তাঁর ছবি তোলা যে যেত না, তাও জানা যাচ্ছে।
দ্বিতীয় ছবিটির তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৮৮১, শনিবার। শ্রীরামকৃষ্ণের পরিধানে একটি ধুতি, একটি লম্বা হাতা পাঞ্জাবি ও একটি কোট, পায়ে চটি-জুতো। ছবির পিছনে তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৮৮১। ‘সুরেন্দ্রনাথ মিত্র তাঁকে গাড়ি করিয়া বেঙ্গল ফোটোগ্রাফার্স স্টুডিওতে লইয়া গেলেন, ফোটোগ্রাফার  তাঁহাকে দেখাইলেন কীরূপে ছবি তোলা হয়। কাঁচের পিছনে কালি মাখানো হয়,  তারপর ছবি ওঠে।’
এই দ্বিতীয় ছবি নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা, শ্রীরামকৃষ্ণ কি জুতো পরেছেন? পরে গবেষকরা বলেছেন, ধুতির নীচে তাঁর পদযুগল ছায়ায় আচ্ছাদিত, তাই কালো দেখাচ্ছে। চটি-জুতো সুস্পষ্ট দৃশ্যমান।
বিদেশি সন্ধানীরা জানাচ্ছেন এই আলোকচিত্র থেকেই ঠাকুরের প্রথম তৈলচিত্র তৈরি হয়েছিল। তারিখও পাওয়া যাচ্ছে ১০ ডিসেম্বর ১৮৮১— ২৭ অক্টোবর ১৮৮২। এর খবরও যে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতে রয়েছে তাও আমরা জানি। এই আলোকচিত্রের প্রিন্ট যে ঠাকুর দেখেছিলেন, তার ইঙ্গিতও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কে তাঁর প্রথম তৈলচিত্র অঙ্কন করেছিলেন? অদ্বৈত আশ্রমের নেগেটিভে একটি অস্পষ্ট স্বাক্ষর দেখা যায়। ‘Vilg’, কিন্তু তিনি কে তা আজও আবিষ্কারের অপেক্ষায়।
এবার সেই বিখ্যাত চিত্র যেখানে একটি সাদা কাপড় পরে কটিদেশ ও ঊরু আবৃত করে ঠাকুর বসে আছেন দক্ষিণেশ্বরে রাধাকান্ত মন্দিরের পশ্চিম দিকে। বরানগরের ভক্ত ভবনাথ চট্টোপাধ্যায় ঠাকুরের এই ছবি তুলতে চান, বরানগর থেকে এক ফোটোগ্রাফার চলে আসেন। এই ছবির ডিরেকশন দেন স্বয়ং নরেন্দ্রনাথ দত্ত। এই ছবি দেখেই ঠাকুর বলেছিলেন— ‘এই ছবি কালে ঘরে ঘরে পূজা হবে।’ ফোটোগ্রাফার অবিনাশচন্দ্র দাঁ ১৮৮৩ সালের অক্টোবর, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এই ছবি তোলেন। এই তারিখ নিয়ে সামান্য মতভেদ আছে। অন্য মত ২ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৪। স্বামী অভেদানন্দ লিখেছেন, ‘এই ছবির কাচের নেগেটিভ দাঁয়ের হাত থেকে পড়ে গিয়েছিল এবং মূল ছবিটি রক্ষা করতে দাঁ নেগেটিভের উপরিভাগ গোলাকারে কেটে দিয়েছিলেন। মূল ফোটোর প্রতিচিত্রের সংখ্যা ছিল ছয়টি।’
চতুর্থ ও পঞ্চম আলোকচিত্র তোলা হয়েছিল মহাসমাধির পরে কাশীপুরে ১৬ আগস্ট ১৮৮৬, এবারেও বেঙ্গল ফোটোগ্রাফারের। উদ্যোক্তা ঠাকুরের চিকিৎসক ডঃ মহেন্দ্রলাল সরকার। তিনি এর জন্য ১০ টাকা দিয়েছিলেন। এই দু’টি ছবির ঐতিহাসিক মূল্য নিদারুণ। অনেকের দুঃখ, বেলুড় মঠে স্বামী বিবেকানন্দের দেহাবসানের পর এমন ছবি স্বামী ব্রহ্মানন্দ তুলতে দেননি।
আরও যে ফোটোগ্রাফের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, তা ঠাকুরের পছন্দ না হওয়ায় ভক্ত ডাঃ রামচন্দ্র দত্ত গঙ্গায় নেগেটিভ ফেলে দিয়েছিলেন বলে অনেকের বেজায় দুঃখ।
দ্বিতীয় আলোকচিত্রে ফিরে আসা প্রয়োজন। যাঁর ছবি তিনি নেই, যে স্টুডিওতে ছবি তোলা তাও নেই। কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণের পরিধান ও কোটটি রয়ে গিয়েছে যা পরবর্তীকালের গবেষকদের খুব কাজে লেগে গিয়েছে। ভক্তরা শ্রীরামকৃষ্ণের দেহের দৈর্ঘ্য কখনও নির্ধারণ করেননি। স্বামী নির্বাণানন্দ ফেলে যাওয়া কোটটি মেপে এবং কোটটির সঙ্গে রামকৃষ্ণের আকৃতির সম্বন্ধ হিসেব করে মেপে ফেললেন, ঠাকুরের দেহের দৈর্ঘ্য ছিল পাঁচ ফুট সাড়ে নয় ইঞ্চি। এই স্থির চিত্র পরবর্তীকালে ঠাকুরের প্রথম মর্মর মূর্তি তৈরির সময় খুব কাজে লেগে গিয়েছিল। কলকাতায় তৈরি এই মূর্তি এখন রয়েছে বারাণসীর অদ্বৈত আশ্রমে।
এই আলোকচিত্র থেকেই শ্রীমা সারদামণির উক্তি— ‘এখানকার লোক সব সেয়ানা— ছবিটা তুলে নিয়েছে। কোন অবতারের কি ছবি আছে?’ তিনি আরও বলেছেন, ‘ছবি তো তাঁরই ছায়া। তাঁর ফোটো দেখলেই হবে। ফোটোতে তিনি স্বয়ং রয়েছেন।’
আমেরিকান গবেষক স্বামী বিদ্যাত্মানন্দ বলেছেন, ‘শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর ছবি তোলার বিরোধী ছিলেন না। ছবি তোলার ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন, কিন্তু তিনি তাঁর আকৃতি ও চেহারার সুস্পষ্ট প্রতিকৃতি রক্ষা করার অনুমতি দিয়েছিলেন।’
স্টুডিওতে তোলা শ্রীরামকৃষ্ণের দু’নম্বর ছবিটি নিয়ে এবং সংগ্রহশালার সুরক্ষিত জামা নিয়ে পরবর্তীকালে একটি অনন্য ছবি তৈরি করে তা স্বামী চেতনানন্দের নতুন বইয়ের প্রচ্ছদে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন জীবিতকালের তিনটি আলোকচিত্র ও একটি তৈলচিত্র থেকে কীভাবে মার্কিন দেশে অর্ধশতাব্দী ব্যয় করা সেন্টনুইস বেদান্ত সোসাইটির সভাপতি একদা খুলনার রিফিউজি চেতনানন্দ এই ৬৩৯ চিত্রের বিস্ময়কর রামকৃষ্ণ গ্রন্থ প্রস্তুত করলেন?
স্বামী চেতনানন্দ আমাকে বললেন, ‘এই চিত্রমালার সংগ্রহ ও পরিকল্পনা সেই শুরু থেকে। ১৯৭০ সালে মায়াবতীতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে শ্রীরামকৃষ্ণের একটা চিত্রজীবনী তৈরি করি, যা ১৯৭৬ সালে অদ্বৈত আশ্রম থেকে প্রকাশিত হয়। কিন্তু এই সংগ্রহ আমাকে তৃপ্তি দেয়নি।’
‘আমেরিকা থেকে কয়েক বছর অন্তর ভারতবর্ষে যাই এবং দু’-তিনটি ক্যামেরা ও কোডাক ফিল্ম নিয়ে ঠাকুর সংক্রান্ত দশ হাজার ছবি তুলি।’
আমার আমেরিকান বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা ছাড়া এই ঐতিহাসিক দলিল সংগ্রহ ও মুদ্রণ সম্ভব হতো না।’ খ্যাতনামা গ্রাফিক আর্টিস্ট ডায়েন মার্শাল দু’বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে ছবিগুলি সাজান। ২০১৮ সাল থেকে এই সংগ্রহের উপর আমরা কাজ করি, যাতে রামকৃষ্ণকালের কোনও কিছু ছবি বাদ না পড়ে। ছবিগুলো ডিজিটালাইজ করতে জন লুইসের ছ’বছর লাগে। এই বইয়ের ছবিগুলি সংগ্রহ করে, তা মুদ্রণোপযোগী করাও মস্ত এক চ্যালেঞ্জ ছিল। ছাপার জন্য ভক্তরা ঠিক করেন কানাডার বিখ্যাত প্রিন্টার ফ্রাইমেনকে। এই বইতে রামকৃষ্ণের সমকালীন ব্যক্তিত্বের ছবিগুলির পুনরুদ্ধার ছিল মস্ত কঠিন কাজ। যেমন ঠাকুরের সপ্তদশ সন্ন্যাসী সন্তানের ছবিটি— আদিতে এই ছবিতে ছিলেন ১৮৯৬ সালে আলমবাজারে তোলা মাত্র কয়েকজন। তারপর ডিমার্শাল ইলেকট্রনিক যন্ত্র সাহায্যে বাকি সাতজনের ছবি জুড়ে দিয়ে এই ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ছবিটি তৈরি করলেন। এই মার্শালের তৈরি গদাধরের প্রথম সমাধির উৎস সাদা বকদের ছবিও আমাকে বিস্মৃত করে।
বিভিন্ন উৎস থেকে সমসাময়িক কালে ভক্ত ও ভক্তিমতীদের ছবি স্বামী চেতনানন্দ সংগ্রহ করেছেন। যেমন পাঠশালায় গদাধরের সহপাঠী গয়াবিষ্ণু লাহা ও হারাধন দত্ত।
খ্যাত অখ্যাত সমকালের মানুষদের ছবি উদ্ধার করেছেন স্বামী চেতনানন্দ। কোনও চরিত্র, কোনও জায়গা বাদ যায়নি। এই সম্পাদনা কাজে যাঁরা তাঁর  বিশেষ সহায়তা করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন— কিমকেন্ট, শুদ্ধপ্রাণা ও লিন্ডাপ্রু।
বলা হয়, শ্রবণ ও পাঠে যা পাওয়া যায় তার সহস্রগুণ প্রাপ্তি রয়েছে চোখের দেখায়। তাই শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতের সঙ্গে আমাদের বিশেষ প্রয়োজন ছিল এক রামকৃষ্ণ চিত্রামৃতের যেখানে কামারপুকুরের ধর্মদাস লাহার বিধবা কন্যা প্রসন্নময়ী দেবীর দুর্লভ ছবি থেকে কেশব সেন, বঙ্কিম, ঈশ্বরচন্দ্র, মথুরনাথ, জগদম্বা দাসী, যদু মল্লিক, বৈকুণ্ঠ সান্যাল, বলরাম বসু, তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণভাবিনী ও শাশুড়ি মাতঙ্গিনী ঘোষের দুর্লভ ছবি সংগৃহীত হয়েছে। সুগৃহীত ও মুদ্রিত হয়েছে ভক্ত রামচন্দ্র দত্তের স্ত্রী কৃষ্ণপ্রেয়সীর ছবি। আছে দরিদ্র ভক্ত ভগবতী দেবী ও গোলাপসুন্দরী দেবীর ছবি। শ্রীম লিখিত শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতের সুবিখ্যাত রামলালার ছবিও স্বামী চেতনানন্দ এই সংগ্রহে ছেপেছেন। যাকে এককথায় বলা যায় শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ চিত্রামৃত। একই বইতে এমন রামকৃষ্ণকেন্দ্রিক চিত্রসংগ্রহ এর আগে কস্মিনকালেও প্রকাশিত হয়নি। যার সংকলন ও মুদ্রণ ব্যয় বহন করেছেন আমেরিকান ও প্রবাসী ভারতীয়রা। 
এমন একটি চিত্র সংগ্রহের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। প্রবাসী আমেরিকানদের উৎসাহ ও উন্নত কারিগরি সহযোগিতায় এবার তা সম্ভব হল। স্বামী চেতনানন্দের অর্ধ শতাব্দীকাল বিদেশবাস সার্থক হল।
শ্রীরামকৃষ্ণের হস্তলিপি থেকে শুরু করে ভক্ত ও শত্রু-মিত্রের এমন সম্পূর্ণ সংগ্রহ যে আগে কখনও সম্ভব হয়নি বলাটা অত্যুক্তি হবে না।
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায় 
22nd  August, 2021
সারদা মায়ের 
স্বদেশি সন্তান
সমৃদ্ধ দত্ত

বরিশালের বানবীপাড়ার যোগেন্দ্রনাথ গুহঠাকুরতা ছিলেন স্বদেশপ্রেমী। সুতরাং নিজের কন্যাটিকেও সেভাবেই তিনি শিক্ষা দিয়েছেন। অন্য বালিকাদের সঙ্গে বড় হওয়ার সময় শিশুদের গ্রাম্য খেলাধুলোয় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি, বাবার কাছে মেয়েটি দেশভক্তির আকুলতাও শিখেছিল। যা সেই ছোট থেকেই তার মনের মধ্যে গেঁথে যায়। মেয়ের নাম প্রফুল্লমুখী। বিশদ

15th  August, 2021
অস্তকালের রবি
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

বারান্দায় বসে সন্ধ্যার সময় সুনন্দা, সুধাকান্ত ও ক্ষিতিমোহনবাবুর স্ত্রীকে মুখে মুখে বানিয়ে একটা দীর্ঘ গল্প শুনিয়ে তারপরে বাদলা বাতাস ঠান্ডা বোধ হওয়াতে ঘরে গিয়ে কেদারাতে বসেছিলুম, শরীরে কোনো প্রকার কষ্ট বোধ করিনি, অন্তত মনে নেই; কখন মূর্চ্ছা এসে আক্রমণ করল কিছুই জানি নে। 
  বিশদ

08th  August, 2021
ঘড়ির দর্পণে কলকাতা

‘বৈঠকখানায় মেকাবি ক্লাকে টাং টাং টাং করে পাঁচটা বাজলো, সূর্যের উত্তাপের হ্রাস হয়ে আসতে লাগলো। সহরের বাবুরা ফেটিং, সেলফ ড্রাইভিং বগী ও ব্রাউহ্যামে করে অবস্থাগত ফ্রেণ্ড, ভদ্রলোক বা মোসাহেব সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে বেরুলেন; কেউ বাগানে চল্লেন।’— মহাত্মা হুতোম লিখেছেন। 
বিশদ

01st  August, 2021
লোককথায় গাঁথা মহাকাব্য

‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ কেবল বাঁশবাদির কাহারদের জীবন আখ্যান নয়, এ এক মহাসময়ের সম্পাদ্য। আখ্যানের প্রতিটা বাঁকে মহাকাব্যিক চলন। মানুষের ক্রমে সভ্যতার পথে পা বাড়ানোর ইতিহাসে আগুন আবিষ্কারের আগে থেকেই তার দৃষ্টিশক্তি অন্ধকারেও প্রখর ছিল।
বিশদ

25th  July, 2021
অচেনা তারাশঙ্কর

আমার জীবনে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব এমনই যে, তাঁর স্নেহধন্য হয়ে আজও নিজেকে আমি অতি সৌভাগ্যবান বলে মনে করি। আমার তখন কতই বা বয়স, হাওড়া শ্রীরামকৃষ্ণ শিক্ষালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি।
বিশদ

25th  July, 2021
অশান্ত স্মৃতি
সোভিয়েত পতনের ৩০ বছর

দড়ি ধরে মারো টান, লেনিন হবে খানখান! এগারো ফুট উঁচু লাল গ্রানাইটের মূর্তিটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তেই উল্লাসে ফেটে পড়েছিল জনতা। কেউ আনন্দে হাততালি দিয়েছেন, তো কেউ আবার প্রাণখুলে গেয়েছেন জাতীয় সঙ্গীত।
বিশদ

18th  July, 2021
কথা ও কাহিনিতে
বাংলার রথ
তরুণ চক্রবর্তী

এপার ওপার দু’দিকেই ঘন জঙ্গল আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েকটি জনপদের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে পতিতোদ্ধারিণী গঙ্গা। সেই গঙ্গার নির্জন তীরে পাতায় ছাওয়া এক কুটিরে থাকতেন যে সন্ন্যাসী, হঠাৎই একদিন কোথায় যে উধাও হয়ে গেলেন!কবে কোথা থেকে এসে সেখানে তিনি ডেরা বেঁধেছিলেন, কী তাঁর নাম, তাও তো কেউ জানে না। বিশদ

11th  July, 2021
অচেনা সীমান্তে
অজানা গল্প

সীমান্ত....! দু’দেশের মাঝে কাঁটাতারের বেড়া। আর তার দু’দিকে বাস হাজার হাজার মানুষের। যেখানে কাঁটাতার নেই, সীমান্তের ‘উঠোন’ যেখানে উন্মুক্ত, সেখানে বাস করা যে কী কঠিন, কী যন্ত্রণাদায়ক, তা বোধহয় আমার-আপনার মতো বহু মানুষই জানেন না। বিশদ

04th  July, 2021
আদুর বাদুড়
চালতা বাদুড়

মাম্পস-র‌্যাবিস-নিফা-ইবোলা-হেন্ড্রা-সার্স-মার্স-কোভিড প্রভৃতি মারণ ভাইরাসের সূতিকাগার বাদুড়ের শরীর। অথচ বাদুড়ের টিকিটিও কস্মিনকালে তারা স্পর্শ করতে পারেনি। বাদুড় থেকে মানুষে সরাসরি সংক্রমণের নেই কোনও প্রাক-ইতিহাস। মধ্যবর্তী পোষক উট-ঘোড়া-শিম্পাঞ্জি-শুয়োর-পিপীলিকাভুক থেকেই সংক্রমিত হয়েছে মানুষ। নির্বিচারে অরণ্যনিধন, জীববৈচিত্র্যের সমূল বিনাশই প্রতিটা মহামারীর নেপথ্যের এক এবং অদ্বিতীয় কারণ। মানুষের কি সম্বিত ফিরবে না? সেই অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি মৃন্ময় চন্দ।   বিশদ

27th  June, 2021
জীবনের হার না
মানা জয়গান

মানসিক কাঠিন্য। হার-না-মানা স্পিরিট। নিজের উপর অটুট আস্থা। প্রবল টেনশনকে উড়িয়ে জয় ছিনিয়ে আনা। লর্ডসের বাইশ গজে ডান হাতে ব্যাট উঁচিয়ে ধরা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি সতীর্থদের কাছে এটাই। বিশদ

20th  June, 2021
লর্ডসে ইতিহাস ‘সব কিছু
তো এখান থেকেই শুরু’

১৯৯৬ সালের ঠিক আজকের দিনে লর্ডস স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ। সেই টেস্ট ম্যাচেই শতরান করে ঐতিহাসিক অভিষেক হয়েছিল এক বাঙালি তরুণের। যাঁর হাত ধরে পরবর্তীকালে বদলে যায় ভারতীয় ক্রিকেটের গতিধারা— তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৫ বছর পর ফের একবার সেই ঐতিহাসিকক্ষণটি ফিরে দেখা। বিশদ

20th  June, 2021
অধিকারের শতবর্ষ

গ্রামের পথ। এক মহিলা দুপুর রোদে ছাতা নিয়ে চলেছেন। হঠাৎ সামনে চলে আসে এক ষণ্ডামার্কা লোক। সে মহিলাকে এগতে বাধা দেয়। মহিলা তাও এগতে চান। 
বিশদ

13th  June, 2021
বাঙালির গোয়েন্দাগিরি
সুখেন বিশ্বাস

বাঙালিদের কাছে ‘গোয়েন্দা’ শব্দটি অতি পরিচিত। সেই ছোটবেলা থেকেই মা-বাবার কাছ থেকে আমরা শুনে আসছি শব্দটি। হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া, খুন-ডাকাতি বা যে কোনও রহস্য উন্মোচনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে ‘গোয়েন্দা’ শব্দটি। ছোটবেলায় চোর-পুলিস খেলেনি এইরকম শিশু-কিশোর খুব কমই আছে বাঙালি সমাজে। বিশদ

06th  June, 2021
আবার নতুন দিল্লি
সমৃদ্ধ দত্ত

লর্ড কার্জনকে কংগ্রেস নেতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক চিঠি পাঠালেন। লিখলেন, বিহার আর ওড়িশাকে বাংলা থেকে পৃথক করে দেওয়া হোক। কিন্তু পূর্ববঙ্গকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়। বাংলার মানুষ ভাগ হয়ে যাবে, এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। লর্ড কার্জন প্রতিটি চিঠি পড়লেন। মতামত শুনলেন। বিশদ

30th  May, 2021
একনজরে
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য মালদহে তিন লক্ষেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির আওতায় প্রথম ন’দিনের শিবিরে ওই আবেদন জমা পড়েছে বলে ...

‘তালিবানের সেবায় পাকিস্তান নিজেকে নিয়োজিত করেছে। তালিবদের কখনই চাপের মুখে পড়তে হয়নি। পাকিস্তানকে ওরা বেস হিসেবে ব্যবহার করেছে। নির্দিষ্ট কোনও এলাকা নয়, গোটা পাকিস্তানই তাদের সাহায্য করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।’ ...

দীর্ঘ ১১ মাসের আইনি কচকচানির অবসান। ডেফিনেটিভ এগ্রিমেন্টে সই না হলেও আসন্ন আইএসএলে খেলবে এসসি ইস্ট বেঙ্গল। টার্মশিটের ভিত্তিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নেবে লাল-হলুদ। বুধবার ...

হাওড়া সিটি পুলিস প্রায় ৪৫ কেজি নিষিদ্ধ চীনা মাঞ্জা উদ্ধার করল। মঙ্গল ও বুধবার জাগাছা থানার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ সুতো। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM