সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
মেক্সিকো বিশ্বকাপের আড়াই বছর আগে আর্জেন্তিনার সম্ভাব্য দল গুছিয়ে নিতে কলকাতায় নেহরু কাপে খেলতে এসেছিলেন ’৮৬-র বিশ্বকাপজয়ী কোচ কার্লোস বিলার্দো। ইতালিয়ান লিগ খেলতে ব্যস্ত থাকায় মারাদোনা সেবার দলের সঙ্গে আসেননি। কিন্তু ইডেনে সেবার নেহরু কাপে যাঁরা নজর কেড়েছিলেন, সেই পনসে, গ্যারেকারা মেক্সিকোগামী বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাননি। আর এই ’৮৬-এর বিশ্বকাপই মারাদোনাকে অমরত্ব প্রদান করেছে।
মেক্সিকো বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব এবং রাউন্ড অব সিক্সটিন মিলিয়ে প্রথম চারটি ম্যাচের মধ্যে মারাদোনা গোল পেয়েছিলেন মাত্র একটি। সেটি ইতালির বিরুদ্ধে। এছাড়া এই পর্বে আর্জেন্তিনার হয়ে স্কোরশিটে নাম তুলেছিলেন ভালদানো, অস্কার রুগেরি, বুরুচাগা, পাসকুলিরা। অতঃপর বিশ্বকাপ কোয়ার্টার-ফাইনালে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। মেক্সিকো সিটির অ্যাজটেকা স্টেডিয়ামে ২২ জুন থ্রি লায়ন্স’রা মুখোমুখি হল মারাদোনার আর্জেন্তিনার। প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য। বিরতির পর ৫১ মিনিটে ইংল্যান্ড ডিফেন্ডারের মিসকিক ভেসে এল বক্সে। পাঁচ ফিট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার মারাদোনা অবিশ্বাস্য স্পট জাম্পে চ্যালেঞ্জ জানালেন পিটার শিলটনকে। ভয়ে ক্ষণিকের জন্য চোখ বুজে ফেলল ইংল্যান্ডের গোলরক্ষকটি। আর সেই সুযোগে মারাদোনার বাঁ হাতের শিল্পকর্ম। যা ইংরেজদের চোখে দিনে-দুপুরে হাত সাফাই বা পকেটমারি। মারাদোনা যাকে বলেছেন ‘হ্যান্ড অব গড’। চার বছর আগে ইংল্যান্ডের নৌবহর ১৯৮২’র যুদ্ধে আর্জেন্তাইন বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে ফকল্যান্ড দ্বীপ দখল করেছিল। মারাদোনা সেদিন যেন সেই পরাজয়ের বদলা নিয়েছিলেন। তিউনিশিয়ান রেফারি বেন নাসের কিছুই বুঝতে পারেননি। তিনি গোলের বাঁশি বাজিয়ে দেন। কিন্তু এই কলঙ্ক চার মিনিটের মধ্যে এক অবিশ্বাস্য শিল্পকর্মে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছিলেন মারাদোনা। যাকে বিংশ শতাব্দীর সেরা গোলের সম্মান দিয়েছিল ফিফা। একমাত্র স্বপ্নেই এমন গোলের দেখা মেলা সম্ভব। সেন্টার সার্কেলের নীচে ডানদিকে বল পেয়ে শুরু হয়েছিল সেই স্বপ্নের দৌড়। মাখনের মাঝখান দিয়ে ছুরি চালানোর মসৃণতায় প্রথমে বেয়ার্ডসলে ও রিডের মধ্যে দিয়ে চকিত বডি ফেইন্টে গলে বেরলেন মারাদোনা। এরপর বুচারকে ইনসাইড ডজ দিয়ে বেরনোর মুহূর্তে তিনকাঠি দেখতে পেলেন তিনি। বাঁদিকে ‘আনমার্কড’ ভালদানো বল চাইছেন, আড়চোখে সেটা দেখেও উপেক্ষা করলেন ডিয়েগো। কারণ, ততক্ষণে ট্যাকল করতে উদ্যত ফেনউইক। অতঃপর এক স্বর্গীয় ‘ডামি ফেইন্ট’— বাঁদিক দেখিয়ে ডানদিক দিয়ে বেরিয়ে মারাদোনা দেখলেন ইংরেজ গোলরক্ষক পিটার শিলটন এগিয়ে আসছেন। তাঁকে শরীরের এক মোচড়ে ধরাশায়ী করে ফাঁকা গোলে বল পুশ করলেন মারাদোনা। প্রায় ৬০ মিটার লম্বা এই একক দৌড় বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি। বলের উপর অবিশ্বাস্য নিয়ন্ত্রণ স্কিল, গতি ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের এ এক বিস্ময়কর পরিণতি। ওই বল ফিনিশ না করলে ক’জন আজ মারাদোনাকে মনে রাখতেন? তিনদিন বাদে ওই অ্যাজটেকা স্টেডিয়ামেই বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে একক দক্ষতায় প্রায় কাছাকাছি মানের আরও একটা গোল করেছিলেন মারাদোনা। এনজো শিফোর বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্তিনা। দুটো গোলই মারাদোনার।
২৯ জুন ফাইনাল। কার্ল হাইঞ্জ রুমেনিগে, রুডি ফোলার, উলি হোনেস, লোথার ম্যাথাউজ সমৃদ্ধ সাবেক পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে মারাদোনার নেতৃত্বে ১৯৮৬’র বিশ্বকাপে জিতেছিল আর্জেন্তিনা। এখনও অনেকে ভুলতে পারেননি মারাদোনার জেম অব আ থ্রু পাসটিকে। যা থেকে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন বুরুচাগা। তার আগে হোসে লুই ব্রাউন ও ভালদানোর দেওয়া গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর রুমেনিগে ও রুডি ফোলার ৭৩ ও ৮১ মিনিটে পর পর দুটো গোল করে ম্যাচ ২-২ করে দেন। কিন্তু ফাইনালের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিল মারাদোনার দুরন্ত থ্রু পাসটি।
ইতালিয়া-৯০ বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে স্রেফ মারাদোনার প্র্যাকটিস দেখার জন্যই রোম থেকে ৬০ কিমি দূরে টিগরিয়ায় আর্জেন্তিনার বেস ক্যাম্পে পাড়ি দিয়েছিলাম। তাও রোমা তার্মিনি স্টেশনে আমার পকেটমারি হওয়ায় শোক কিছুটা হলেও ভুলতে পেরেছিলাম মারাদোনার অত্যাশ্চর্য স্কিল প্রত্যক্ষ করে। সেদিন ছিল ওপেন প্র্যাকটিস সেশন। গোলের নীচে আর্জেন্তিনার দু’জন গোলরক্ষক নেরি পম্পিদু এবং গায়কোচিয়াকে দাঁড় করিয়ে প্রায় বিশ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ে একের পর এক শট নিয়ে চলেছেন। বিস্মিত হয়ে দেখলাম, অধিকাংশ শটই দু’জন গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাঠের চারধারে গোটা ওয়ার্ল্ড মিডিয়া হামলে পড়েছে। ডিয়েগোর মুড সেদিন ভালো ছিল। ইচ্ছে মতো ভক্তদের অটোগ্রাফ বিলোলেন। আলোকচিত্রীদের ছবির জন্য নানারকম পোজ দিলেন।
এর ক’দিন বাদেই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডেই মুখোমুখি হল ব্রাজিল ও আর্জেন্তিনা। দিনটা ছিল ১৯৯০ সালের ২৪ জুন। স্থান তুরিনের দেলা আলপি স্টেডিয়াম। ব্রাজিলের ক্যারেকা একাই গোলের এক গণ্ডা সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে দলকে ডোবালেন। ব্রাজিলের আলেমাও এবং ক্যারেকা ছিলেন নাপোলিতে মারাদোনার সহ-খেলোয়াড়। ওই ম্যাচে পায়ে চোট নিয়ে খেলার জন্য মাঠে দীর্ঘক্ষণ মারাদোনাকে স্বমহিমায় দেখা যায়নি। ম্যাচের ৫৫ মিনিট পর্যন্ত ব্রাজিলের একচ্ছত্র প্রাধান্য ছিল। ব্রাজিলের মুলার ও ক্যারেকা অবিশ্বাস্য সুযোগ নষ্ট করেছিলেন। কিন্তু চকিতে একটা দুরন্ত কাউন্টার অ্যাটাক তুলে আনলেন মারাদোনা। কোণাকুণিভাবে দৌড়ে ব্রাজিলের দুই ডিফেন্ডার রিকার্ডো রোচা এবং আলেমাওকে টেনে এনে বাঁদিকে ক্যানিজিয়াকে ‘জেম অব আ থ্রু’ বাড়ালেন ডিয়েগো। সেই মুহূর্তে কাছে এসে যাওয়া ব্র্যাঙ্কোকে ট্যাকলে আসার কোনও সুযোগই দেননি মারাদোনা। ফাঁকায় বল পেয়ে ক্যানিজিয়া ব্রাজিল গোলরক্ষক তাফারেলকে আউটসাইড দেখিয়ে বাঁপায়ে বল পুশ করলেন ফাঁকা গোলে।
ম্যাচের পর সাম্বা সমর্থকদের হাপুস নয়নে কান্না দেখে আমার চোখেও জল এসে গিয়েছিল। কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থে ওই ম্যাচটি দেখতে সেদিন মাঠে ছিলেন চুনী, পি কে, শৈলেন মান্না, সুকুমার সমাজপতিরা। ওঁদের মনও ছিল নিদারুণ ভারাক্রান্ত। সেবার বিশ্বকাপ কোয়ার্টার-ফাইনালে যুগোস্লাভিয়াকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে হারিয়ে আর্জেন্তিনা সেমি-ফাইনালে উঠেছিল। মারাদোনা পেনাল্টি মিস করলেও দুটি স্পট কিক বাঁচিয়ে সেই ম্যাচের নায়ক বনে যান আর্জেন্তিনার গোলরক্ষক গায়কোচিয়া। অতঃপর নেপলসে নাপোলির হোমগ্রাউন্ড সান পাওলো স্টেডিয়ামে আয়োজক দেশ ইতালির মুখোমুখি হল আর্জেন্তিনা। সেই ম্যাচও গড়াল পেনাল্টি শ্যুট আউটে। ওই ম্যাচে স্পটকিক থেকে মারাদোনা গোল করেন। সেদিন রাতে আয়োজক দেশ ইতালি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ায় গোটা দেশে যেন অরন্ধন ও নিষ্প্রদীপ পালিত হয়েছিল।
ইতালিয়া-৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে সাবেক পশ্চিম জার্মানি ব্রেহমের দেওয়া একমাত্র গোলে আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। রোমের ওলিম্পিক স্টেডিয়ামে দেখেছিলাম, সেদিন হাতে আঘাত পাওয়া লোথার ম্যাথাউজ কার্যত মারাদোনাকে দর্শকের মতো দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। ম্যাচের শেষে রানার্স ট্রফি নেওয়ার সময় মারাদোনার চোখে জল এখনও স্পষ্ট মনে আছে।
চার বছর বাদে ইউএসএ-৯৪ বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে ডিয়েগো মারাদোনার পতন প্রত্যক্ষ করেছিলাম। বোস্টনের ববসন কলেজের গেস্ট হাউসে সেবার ঘাঁটি গেঁড়েছিল আর্জেন্তিনা দল। সেখান থেকে ফক্সবোরো স্টেডিয়াম প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন নাইজেরিয়াকে হারানোর পর হঠাৎ দেখলাম, এক বিশালবপু শ্বেতাঙ্গ মহিলা প্রায় পাঁজাকোলা করে মারাদোনাকে তুলে নিয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলেন। আমি তারপর কলকাতায় খবর পাঠিয়ে হোটেলে ফিরে গভীর রাতে একটা চ্যানেলে দেখলাম, ফিফার মেডিক্যাল কমিশনের বিশেষ মিটিং বসছে পরদিন ডালাসের ফোর সিজনস রিসর্টে। আর্জেন্তিনার দু’জন ফুটবলার নাকি ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছেন!
পরদিন ভোরবেলা ট্যাক্সি নিয়ে ছুটলাম বোস্টন এয়ারপোর্টে। কিন্তু বোস্টন টু ডালাস— কোনও ফ্লাইটেই টিকিট নেই। আমি কলকাতা থেকে ডেলটা এয়ারলাইন্সের স্ট্যান্ড বাই কুপন কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। এই কুপন থাকলে তখন এক মাসের সময়সীমায় আমেরিকার যে কোনও শহরে দৈনিক যতবার খুশি যাতায়াত করা যেত। তাই সরাসরি ডালাসের বিমান টিকিট না পেয়ে আটলান্টা এবং সিনসিনাটি হয়ে শেষ পর্যন্ত দুপুরে ডালাস ডি ডব্লু এয়ারপোর্টে এসে ল্যান্ড করলাম। আর তারপরই ট্যাক্সি নিয়ে ছুটলাম ফোর সিজনস রিসর্ট হোটেলে। সেদিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র সাংবাদিকরূপে ফিফার মেডিক্যাল কমিশনের প্রেস কনফারেন্সে হাজির ছিলাম আমি। সেখানেই সরকারিভাবে ঘোষিত হয়েছিল, পাঁচরকমের নিষিদ্ধ ড্রাগ— এফিড্রিন, সিউডো-এফিড্রিন, মেডিফেডরিন, নানড্রোলন ও স্ট্যানজানল ইত্যাদি বস্তু মারাদোনার মূত্রের নমুনায় পাওয়া গিয়েছে।
দিগভ্রষ্ট রাজপুত্রের এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট তখন ‘বর্তমান’ পত্রিকায় লিখলেও তা অনেকে বিশ্বাস করতে চাননি। তাঁদের ভুল ধারণা ছিল, মারাদোনাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে নাপোলিতে খেলতে গিয়েই ড্রাগ মাফিয়াদের খপ্পরে পড়েছিলেন তিনি। যদিও সিরি-এ’তে নীচের সারির দল নাপোলিকে টপফর্মে তিনি দু’বার ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। আর সেটাও গুলিট, ফন বাস্তেন, রাইকার্ড সমৃদ্ধ এসি মিলানের সার্বিক দাপট খর্ব করে। নাপোলিকে সুপার কোপা এবং উয়েফা কাপেও জেতান মারাদোনা। নামী ফুটবলারদের মধ্যে পাশে পেয়েছিলেন ব্রাজিলের আলেমাও, ক্যারেকা, তারানতিনিদের। তার আগে ’৮৩ ও ’৮৪ সালে বার্সেলোনায় থাকাকালীন গোড়ালির চোট ও হেপাটাইটিসে ভোগায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল মারাদোনার উত্থান। তবু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা দু’টি এল ক্লাসিকোর পর আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে মারাদোনাকে ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’ দিয়েছিলেন। এই বিরল সম্মান লিও মেসির এখনও অধরা। পেয়েছিলেন জোহান ক্রুয়েফ, রোনাল্ডিনহো এবং আন্দ্রে ইনিয়েস্তা।
ব্যক্তিগত জীবনে শুকনো ও তরল নেশার প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি মাত্র ৬০ বছর বয়সেই কেড়ে নিল মারাদোনার জীবন। ২০০৪ সালের এপ্রিলে মৃত্যুকে হার মানাতে সক্ষম হয়েছিলেন ডিয়েগো। ফিদেল কাস্ত্রো হাভানার হাসপাতালে রেখে দীর্ঘ সুচিকিৎসার পর তাঁকে সুস্থ করে তুলেছিলেন। কিন্তু তারপরেও নেশামুক্ত হতে পারেননি তিনি। আর হয়তো সেই কারণেই ফুটবলার মারাদোনা যতটা ক্ষণজন্মা, কোচ হিসেবে ডিয়েগো ততটাই ব্যর্থ। এর কারণ তাঁর হামবড়াই মনোভাব ও পুওর ম্যান ম্যানেজমেন্ট। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার কোচ হয়ে তিনি চরম ব্যর্থ হন। সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ইন্তার মিলানের স্তম্ভ জেভিয়ার জানেত্তিকে কোনও কারণ ছাড়াই বাদ দেন কোচ মারাদোনা। প্রশিক্ষক জীবনে রেসিং ক্লাব, মধ্যপ্রাচ্যে আল ওয়াসল, ফুজাইরা, মেক্সিকোয় ডোরাডোস ও জিমনাসিয়া— সর্বত্রই কোচ হিসেবে ব্যর্থ মারাদোনা। তবু এটা ঘটনা, মহম্মদ আলির পর মারাদোনাই গোটা দুনিয়াকে আলোড়িত করা সবচেয়ে উজ্জ্বল ক্রীড়াব্যক্তিত্ব।
................................................
সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস