Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

—‘তুমি পারবে?’
—‘আপনি বললেই পারব। এ আর কঠিন কী?’
প্রশ্নটা ছিল ইন্দিরা গান্ধীর। আর উত্তর? প্রণব মুখোপাধ্যায়।
সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী। আর দ্বিতীয়জন গোয়ালিয়রের রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়া। পেরেছিলেন প্রণবদা। প্রচুর হইচই... বিতর্ক। প্রণবদাকে টলানো গেল না।
দু’বছর পরের ঘটনা। স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান আর কে তলোয়ারের কাছে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ গেল, লোনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সরকারের জন্য নয়। কয়েকজন ব্যক্তির জন্য। তলোয়ার অস্বীকার করলেন। সরকার অসন্তুষ্ট হল। বিষয়টি গেল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে। ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রণবদা ডেকে পাঠালেন তলোয়ারকে। বললেন, ‘আপনার নাম রাজকুমার, না রামকুমার আমি জানি না। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত না মানলে আপনাকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’ মানেননি তলোয়ার। প্রণবদাও তাঁর কর্তব্য করেছিলেন। অপসারিত হলেন তলোয়ার। স্টেট ব্যাঙ্কের আইন সংশোধন করে।
’৬৯ সালে রাজ্যসভার সদস্য হয়ে সংসদে প্রবেশ করেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। আর আমাদের শিক্ষাগুরু ডঃ দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। সেই বছরই আর একটি নাম যুক্ত হয়েছিল সংসদীয় রাজনীতিতে—প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। দেবীবাবু আর প্রিয়দার মাধ্যমে তখন ঠিকঠাক পরিচয়টা হয়েছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। চিনেছিলাম অবশ্য আরও দু’বছর আগে থেকে। আলাপ ছিল না। আর পরিচয় মাত্রই তিনি হয়ে গেলেন প্রণবদা। ’৭২ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এল কংগ্রেস। সিদ্ধার্থবাবু (সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়) মুখ্যমন্ত্রী। ওই নির্বাচনের আগে অজয় মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রণবদারা কংগ্রেসে যোগদান করলেন। আমি তখন চাকরি ছেড়ে রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এরপরই এল বিধাননগরে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন। সাংগঠনিক নির্বাচন। তখন আমি প্রণবদার সঙ্গে কাজ করেছি। সেই থেকেই ঘনিষ্ঠতার শুরু। প্রণবদা জাহাজমন্ত্রকের ডেপুটি মিনিস্টার হলেন। ১৯৭৩ সালে। ডেপুটি মিনিস্টার ব্যাপারটা তো এখন উঠেই গিয়েছে। সেই সময়ে ছিল। প্রণবদা যে আমাকে কতটা স্নেহ করতেন, তার প্রমাণ পেলাম সেবার। মাত্র ২৬ বছরে বয়সে আমাকে ‘ন্যাশনাল ইনস্ট্রুমেন্টে’র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ডিরেক্টর করলেন।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার মাত্র দু’বছরের মধ্যে হাইকমান্ডের এতটা কাছাকাছি এসে যাওয়া... এ সম্ভব হয়েছিল শুধু তাঁর বাস্তববোধ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার জন্য। ’৭৪ সাল থেকেই সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে প্রণবদার। আর সেই সূত্রে রাজস্ব এবং ব্যাঙ্কিংয়ের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী। মনে আছে, ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার দিনই প্রণবদা, দেবীবাবুর রাজ্যসভার নির্বাচন ছিল। আমরা সবাই বিধানসভায় ছিলাম। প্রণবদা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
১৯৭৭ সালে কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেল কংগ্রেস। ইন্দিরা গান্ধী, প্রণবদা, প্রিয়দা সবাই পরাজিত। কিন্তু কী আশ্চর্য, আমি জিতে গেলাম। এমপি হয়ে দিল্লি গেলাম। ওই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কংগ্রেসের মাত্র তিনজন জিতেছিলেন। ভোটে জিতলাম বটে, কিন্তু প্রণবদার সঙ্গে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম। ’৭৮ সালে কংগ্রেসের বিভাজন হল। কোনও প্রবীণ নেতাই ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে থাকলেন না। কেবল প্রণবদা রয়ে গেলেন। এবং (অবসরপ্রাপ্ত জাস্টিস জে সি) শাহ কমিশনে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে কিছু বলতে অস্বীকার করলেন প্রণবদা। আর ওই ঘটনার পরেই ইন্দিরা গান্ধীর কাছে প্রণবদার অপরিহার্যতা বেড়ে গেল। আশি সালে লোকসভা নির্বাচনে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হলেন ইন্দিরা গান্ধী। আমাদের কংগ্রেস(স) শোচনীয়ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল। হারলাম আমরা সবাই...। প্রণবদা সেবার ভোটে হেরেও বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। রাজ্যসভার সদস্য করা হল তাঁকে। সভার নেতাও করা হল।
মনে পড়ে, ১৯৭৮-এর কোনও এক সময় সংসদের সেন্ট্রাল হলে প্রণবদার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দেখেই একগাল হেসে আমাকে বলেছিলেন, ‘কী, এখন আমায় গালিগালাজ করবে তো?’ উত্তরে বলেছিলাম, ‘তা কেন? বরারর আপনাকে শ্রদ্ধা করে এসেছি। এখনও করি।’ ’৮৩ সালে প্রিয়দার ইন্দিরা কংগ্রেসে ফিরে এলাম। প্রণবদা তখন কেন্দ্রে প্রবল পরাক্রমী মন্ত্রী। সেই সময় ফের তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হল বটে, কিন্তু সেই ঘনিষ্ঠতা বা বিশ্বাস ফিরে এল না।
১৯৮৪ সাল। নিহত ইন্দিরাজি। রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলেন। এবং প্রণবদার খারাপ সময়ের শুরু। ’৮৫তে প্রিয়দা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হলেন। এরপরই প্রণবদা কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হলেন। তাঁকে কারণ দর্শানোর কোনও চিঠিও দেওয়া হয়নি। সাংবাদিক প্রীতীশ নন্দী প্রণবদার একটা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। যার হেডলাইন ছিল, ‘দ্য ম্যান হু নিউ টু মাচ।’ শোনা যায়, তারই ভিত্তিতে প্রণবদার বহিষ্কার।
এরপর সাতাশির বিধানসভা নির্বাচন। প্রিয়দার দেওয়া টিকিটে আলিপুর থেকে জিতলাম। প্রণবদা নতুন দল গড়ে ‘রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেসে’র নামে অনেক প্রার্থী দিয়েছিলেন। কিন্তু একজনও জিততে পারেননি। ’৮৯ সালে প্রণবদা ফিরে গেলেন কংগ্রেসে। তাঁকে কংগ্রেসের অর্থনৈতিক সেলের দায়িত্ব দেওয়া হল। মনে আছে, দিল্লিতে জওহর ভবনে একটা ছোট্ট ঘরে বসতেন তিনি।
১৯৯১ সালের লোকসভা ভোট। রাজীব গান্ধীর হত্যার পর। নরসিমা রাও প্রধানমন্ত্রী হলেন। যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হল প্রণবদাকে। তখন আবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হল বটে, তবে কোনওদিনই আমি প্রণববাবুর গোষ্ঠীতে ছিলাম না। প্রিয়দার লোক হিসেবেই পরিচিত ছিলাম। তা সত্ত্বেও ’৯৩তে আমি প্রণবদাকে রাজ্যসভায় ভোট দিই। এরপরেও ’৯৯ সালেও তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছি। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তাঁকে ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।
২০০১ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসে ছিলাম বলে নিত্য যোগাযোগ ছিল প্রণবদার সঙ্গে। কিন্তু মতভেদটা শুরু হল ওই সময়। প্রণবদা তখন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি। কংগ্রেসের মিটিংয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া উচিত। কিন্তু প্রণবদা মানলেন না। বললেন, ‘যতক্ষণ শরিক হিসেবে মমতার সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ আছে, ততক্ষণ কোনওভাবেই সমঝোতা হতে পারে না।’ খুব রাগারাগি করলেন আমার প্রস্তাবে। আমিও রেগে পাল্টা জবাব দিলাম। সম্পর্ক ছিন্ন হল কংগ্রেসের সঙ্গে। যোগ দিলাম তৃণমূলে। এবং বিধায়ক হলাম। এত মতপার্থক্যের পরও কিন্তু আমার প্রতি প্রণবদার স্নেহের ঘাটতি হয়নি।
মনে আছে, ২০০৪ সালে রেল কলোনির সমস্যা নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। বুলুও (সুখেন্দুশেখর রায়) সঙ্গে ছিল। আমরা দেখা করতে গিয়ে দেখি, এনগেজমেন্ট পেপারে লেখা আছে সেনাপ্রধান তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। প্রণবদা তখন আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন। এদিকে সেনাপ্রধানের দেখা করার সময় এগিয়ে আসছে। প্রণবদা তাঁর সেক্রেটারিকে ডেকে পাঠালেন। বললেন, ‘আর্মি চিফকে বলো ১৫ মিনিট পরে দেখা করব। এখন আমি সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি।’ এমনই ছিলেন প্রণবদা। কে কত বড় মাপের অফিসার, সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। কোনওদিনও না।
২০০৯-এ লোকসভায় জিতে এমপি হলাম। প্রণবদা তখন লোকসভার নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই সময়ে অনেকবার প্রণবদার ঘরে গিয়েছি। সংসদে তাঁর অফিস ঘরে মমতার নিয়ে যাওয়া কেক কেটে জন্মদিনও পালন করতে দেখেছি প্রণবদাকে। লোকসভায় অর্থনৈতিক বিষয়ে প্রণবদা অত্যন্ত ভাল বক্তৃতা দিতেন। তথ্যে ভরপুর থাকত তাঁর ভাষণ। তাঁর বক্তৃতার সময় গোটা সভায় থাকত পিন পতনের নীরবতা। তখন থেকেই দেখেছি, প্রণবদা ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল। এবং কী অসাধারণ তাঁর স্মৃতিশক্তি।
কলকাতায় আশুতোষ কলেজের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান। আমি তখন কলেজের গভর্নিং বডির প্রধান। ‘রাষ্ট্রপতি’ প্রণব মুখোপাধ্যায়কে কলেজের অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানালাম। কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় উনি আসতে পারলেন না। মাস দুয়েক পরে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ফোন... প্রণবদা। ফোন ধরেই বললেন, ‘তোমার কলেজের ফাংশানে যাব।’ নিজে ডেট দিলেন। এবং এলেনও যথা সময়ে। মঞ্চে উঠেছিলেন ছাপানো ইংরেজি বক্তৃতা নিয়ে। কিন্তু আমার এক অনুরোধেই সেই ছাপানো ইংরেজি বক্তৃতা সরিয়ে দিলেন। পুরোটা বললেন ঝরঝরে বাংলায়। এই ঘটনা ভুলব না। মানুষের মন জয় করার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল প্রণবদার।
এক পার্টি বা গোষ্ঠীতে না থাকলেও আমি বরাবর প্রণবদার গুণগ্রাহী। কাজেকর্মে বরাবর তাঁকে অনুসরণের চেষ্টা করেছি। তিনি ভারতবাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে অভিজাত এবং ধনী পরিবারের সদস্য না হয়েও শুধু মেধা, পরিশ্রম, শৃঙ্খলা এবং নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে একজন মানুষ দেশের সর্বোচ্চ পদে পৌঁছতে পারে। এবং হয়ে উঠতে পারে নির্ভরশীলতা ও অপরিহার্যতার প্রতীক। ইংরেজিতে যাকে বলে ডিপেন্ডেবল অ্যান্ড ইনডিসপেন্সেবল। দেশবাসী মনে রাখবে তাঁকে। অনুসরণ করবে...।
.........................................................
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায় 
06th  September, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
শিল্প হল ‘সর্বজনীন’
ভবতোষ সুতার

 পুজোয় প্রথম কাজ ২০০০ সালে। বড়িশা জনকল্যাণ সংঘ। বেহালা চৌরাস্তা ও সখেরবাজারের মধ্যিখানে। স্বল্প পরিচিত একটি ক্লাব। তারাই আমার উপর ভরসা রাখার সাহস দেখিয়েছিল। অক্লান্ত পরিশ্রম সেবার ছিল আমার সঙ্গী। দিনরাতের খেয়াল নেই। বিশদ

11th  October, 2020
ছৌ নাচের ইতিকথা
মৃন্ময় চন্দ

সিঁদুরের বিন্দু বিন্দু মূষিক বাহন/ নমঃ নারায়ণ/ গণেশদেব হর গৌরীর নন্দন...।  তাক ধিন দা ধিন—বেজে উঠল ঢোল-ধামসা। সূত্রধর সানাইয়ে একতালে ঝুমুরে শুরু করেছে গণেশ বন্দনা। হেলতে দুলতে শুঁড় নাড়াতে নাড়াতে, নাচের তালে পা ফেলে আসরে আগমন গণেশ বাবাজির। বিশদ

04th  October, 2020
নিয়ন্ত্রণের জালে
মৃণালকান্তি দাস

যন্ত্রমানব আজও তো এক ফ্যান্টাসি! যা আমার হুকুম মেনে চলবে। চা বানিয়ে দেবে। গাড়ি চালিয়ে দেবে। হাত-পা টিপে দিতে বললে, তাও। আমারই অঙ্গুলিহেলনে নাচ দেখাবে গান শোনাবে... বিশদ

27th  September, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।   বিশদ

06th  September, 2020
একনজরে
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে কুৎসামূলক প্রচার নিয়ে এবার বিজেপি’র এক উগ্র সমর্থকের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিসে অভিযোগ দায়ের হল। মঙ্গলবার শেক্সপিয়র সরণী থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে তথা দলের সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্র। ...

গত এক মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সহায়ক মূল্যে ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ধান কেনা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে সহায়ক মূল্যে ...

কৃষক বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল দেশান্তরেও। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিক্ষোভরত ‘রোদে পোড়া, তামাটে’ মানুষগুলোর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি। ...

উম-পুন পরবর্তী ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার তিন মাসের মধ্যে তদন্তসাপেক্ষে ক্যাগকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM