Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

থিমের বিবর্তন
শিল্প হল ‘সর্বজনীন’
ভবতোষ সুতার

পুজোয় প্রথম কাজ ২০০০ সালে। বড়িশা জনকল্যাণ সংঘ। বেহালা চৌরাস্তা ও সখেরবাজারের মধ্যিখানে। স্বল্প পরিচিত একটি ক্লাব। তারাই আমার উপর ভরসা রাখার সাহস দেখিয়েছিল। অক্লান্ত পরিশ্রম সেবার ছিল আমার সঙ্গী। দিনরাতের খেয়াল নেই। এখনও মনে আছে, অনেকদিন মণ্ডপে কাটানোর পর চতুর্থীর সকালে বাড়ি ফিরেছিলাম। সরশুনার ভিতরে ক্ষুদিরাম পল্লিতে আমার বাড়ি। কিছুক্ষণ কাটিয়েই আবার ছুট। তখন তো বয়স কম, প্রচণ্ড এনার্জি। বিশ্রামের প্রয়োজন অনুভব করতাম না। সখেরবাজারে পৌঁছে দেখলাম, চৌরাস্তার দিকে মুখ করে লম্বা লাইন। ৩৭ নম্বর রুটের ট্রাম থেকে পিলপিল করে লোক নামছে। প্রথমে মনে হল, বড়িশা সহযাত্রীর পুজো দেখার ভিড়। কয়েক পা হাঁটতেই ভুল ভাঙল। কালো মাথায় ছয়লাপ তো আমারই কাজ দেখার জন্য। মুহূর্তে মনের ভিতরটা কেমন করে উঠল! অথচ এই কাজটা আমি করতেই চাইনি। সে বছরই গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে ওয়েস্টার্ন পেন্টিং নিয়ে পাশ করেছি। পুজো কমিটির প্রস্তাব ফিরিয়েই দিয়েছিলাম। ঐতিহ্যশালী কলেজ, এত ভালো রেজাল্ট—বিরাট কৌলিন্য ছিল আমার। কিন্তু প্রথম দুর্গাপুজোর কাজ করার পর বুঝলাম, এটাও একটা প্ল্যাটফর্ম। যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে একজন শিল্পীর অনেক কিছু করা সম্ভব। এই উপলব্ধি দ্বিগুণ হল পরের বছর। সেবার বড়িশার সৃষ্টি সুযোগ দেয় প্রতিমা গড়ার। থিম ছিল কাঠপুতুলের আদলে। শিল্পী অমর সরকার। নতুন আঙ্গিকে প্রতিমা আমিই বানিয়ে ছিলাম। যা আমায় ভব থেকে ভবতোষ সুতারে বদলে দিয়েছে।
কলকাতায় অনেকগুলো দফায় দুর্গাপুজোর পট পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের সময় কেন জোয়ার এল? কারণ, আমরা (সমসাময়িক শিল্পীরা) শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর বিষয়-ভাবনা নিয়ে সময় কাটাই না। প্রত্যেকেরই আলাদা আর্ট প্র্যাকটিস রয়েছে। নিরন্তর চর্চাই যে কোনও শিল্প এবং শিল্পীকে উন্নতির পথে পা দিতে শেখায়। আমি, সনাতন দিন্দা, সুশান্ত পাল, আরও কত নাম— প্রত্যেকের নিজস্ব আর্ট ব্যাকগ্রাউন্ড ও চর্চা রয়েছে। শারদোৎসবের হাত ধরে পাবলিক আর্টে তার প্রভাব অবশ্যই পড়েছে।
২০০০ সালের আগে আমরা মূলত দেখতাম কাঁথির ডেকরেটারদের। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ডিজাইন। সুন্দর কাজ। তারপর আমরা এলাম। পুজোর থিমে নবজাগরণ বলাটা বাড়াবাড়ি, কিন্তু সরাসরি আর্টের প্রভাব পড়ল পুজোয়। ক্রমশ অবলুপ্তির পথে এগিয়ে চলা গ্রামগঞ্জের লোকায়ত শিল্পকে মণ্ডপে তুলে ধরা শুরু হল। পট, টেরাকোটা, কাঠের মুখোশ, গালা পুতুল, টেপা পুতুল, ডোকরা আরও কত কী! তা দিয়েই সাজল শহরের দুর্গাপুজো। থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই।
বন্দন রাহার ভাঁড়ের মণ্ডপ কার্যত কলকাতার থিমপুজোর ‘শোলে’। ওই সময় এভাবে এরকম মেটেরিয়াল ব্যবহার করার কথা কেউ ভাবেনি। এত সারল্য। আজ ভাঁড়ের কিছু ভাবা হলে হয়তো সেই উন্মাদনা থাকবে না। কিন্তু তখন মানুষের কাছে ওটাই বিশাল ব্যাপার ছিল।
কিন্তু মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে তাতেও এল ব্যাপক বদল। শিল্পীর নিজস্ব ভাবনার উপস্থাপন এতদিন ছিল না। এবার শুরু হল সেই কাজ। আইডিয়া তুলে ধরার জন্য অনুষঙ্গ হিসেবে আমিও ফোক আর্ট ফর্ম ব্যবহার শুরু করলাম। এটা চলল তিন-চার বছর। তারপর দুর্গাপুজো হয়ে উঠল সরাসরি সামাজিক ইস্যুভিত্তিক থিমের আঙিনা। নারী নির্যাতন, জাতপাত— সমাজের জ্বলন্ত সমস্যা। এখন যেটা চলছে, সেটা পুরোপুরি ‘কনসেপচুয়াল প্র্যাকটিস’। যার সঙ্গে জুড়েছে পাবলিক আর্ট, ইনস্টলেশন আর্টের মতো গালভরা টার্ম। ধর্মীয় বিধি কোথাও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বেড়েছে মানুষের অংশগ্রহণও।
বছরের চারটে মাস শিল্পীরা কখনও গলিতে, কখনও রাস্তায়, কখনও বা মাঠে নিয়ে চলে আসছে তাঁদের স্টুডিও। বিভিন্ন ধরনের শিল্পী-কারিগর এক জায়গায় এসে কাজ করছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে শিল্প সচেতনতা। এটাই বিশাল প্রাপ্তি। কলকাতার মানুষের মনন, চেতনা অনেক বদলে দিয়েছে শহরের দুর্গাপুজোগুলি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আর ১০ বছর পর কল্লোলিনী তিলোত্তমার পুজো বিশ্বের মানচিত্রে স্থায়ী জায়গা করে নেবে। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান যে শিল্প ও সংস্কৃতির উৎসব হয়ে উঠেছে, এ একটা বিরাট ব্যাপার।
আমি কোনওদিন নির্দিষ্ট মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি। যেমন চাইনি হোয়াইট কিউব গ্যালারির মধ্যে শুধু কয়েকজন মানুষ আমার শিল্পের বোদ্ধা হোক। ছোট থেকেই স্কাল্পচার আমায় আকর্ষণ করত। ২০০০ সালে বুঝতে পারলাম, দুর্গাপুজো আমার প্ল্যাটফর্ম হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের চর্চা। নিষ্ঠাভরা সাধনাও। যাতে মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো যায়। আস্তে আস্তে তা বেড়েছে। ধর্মীয় আচারবিধির বাইরে বেরিয়ে এসেছে আজকের দুর্গাপুজো। অনেক রক্ষণশীল জায়গা ছিল প্রতিমার আঙ্গিক নিয়ে। সে সব আর নেই।
কিন্তু তৃপ্তি আসেনি। সন্তুষ্টি এলে হয়তো ২০ বছর ধরে টানা কাজ করে যেতেও পারতাম না। নিজের কাজ বলতে গেলে তিনটি থিমের কথা মনে পড়ে। ২০০৬ সালে লেকটাউন প্রদীপ সঙ্ঘে ‘শব্দ কল্প দ্রুম’, ২০০৭ সালে খিদিরপুর ২৫ পল্লিতে ‘মানবজমিন’ এবং ২০১৬ সালে ঠাকুরপুকুর এসবি পার্কের ‘বাঁক’। কিন্তু অন্যদের কাজ দেখলেই মনে হয়, কিছুই করতে পারিনি। অনেকের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাই। ছোট ছোট শিল্পীদের কাজ দেখি। রাত দুটো পর্যন্ত সুরুচি সঙ্ঘের প্রতিমা রং করতে করতেও সহশিল্পীদের বলি, জেনে রাখো, যদি মাটির মূর্তিতে অনায়াস দক্ষতায় কেউ রঙের আগুন জ্বালতে পারে, সেটা সনাতন দিন্দা। গৌরাঙ্গ কুইল্যা একটা গোটা গ্রামকে পরিচালনা করে। ওই দক্ষতা আমার নেই। ও যে মাপে কাজ করে, যত মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে—তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। প্রদীপ দাস কত ভালো করছে। আমাদের থেকে কত ছোট। গতবার সমাজসেবীর থিম করেছিল। এবারও করছে। পার্থ সেনগুপ্তের কাজও দারুণ। গতবার ঠাকুরপুকুর এসবি পার্ক সর্বজনীনের শিল্পী। ওদের সবার থেকে শিখি। প্রকৃত শিল্পীর ধর্ম এটাই।
আমার মতে আর্ট সেটাই, যা মানুষের কাজে লাগে। তবেই তো উৎসবের সার্থকতা। ধর্মের দিক থেকে দেখি না আমি। শিল্পী হিসেবে সামাজিকভাবে দেবী দুর্গাকে জনজীবনের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়াই আমার থিম। এখন পুজোকে ঘিরে রয়েছে বিশাল ইন্ডাস্ট্রি। শিল্পকলাকে সরাসরি পাকস্থলির সঙ্গে বেঁধে দেওয়া গিয়েছে। যাবতীয় কর্মকাণ্ড সবই মা দুর্গাকে ঘিরে। আমার কাছে দেবী এখানেই জাগ্রত। আমার কাছে থিম ওটাই। মুম্বইয়ের গণেশ পুজো নয়। এখানে সামাজিকীকরণ অনেক গভীর। মানুষের সঙ্গে, সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে পুজো। এখানেই শিল্পীর সার্থকতা। শিল্প তখনই সার্থক, যখন তা মানুষের জন্য হয়ে ওঠে। বিলাসিতার জন্য শিল্প—ভাবতেই পারি না।
 অনুলিখন: সৌম্য নিয়োগী  
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল     
 সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস
11th  October, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
ছৌ নাচের ইতিকথা
মৃন্ময় চন্দ

সিঁদুরের বিন্দু বিন্দু মূষিক বাহন/ নমঃ নারায়ণ/ গণেশদেব হর গৌরীর নন্দন...।  তাক ধিন দা ধিন—বেজে উঠল ঢোল-ধামসা। সূত্রধর সানাইয়ে একতালে ঝুমুরে শুরু করেছে গণেশ বন্দনা। হেলতে দুলতে শুঁড় নাড়াতে নাড়াতে, নাচের তালে পা ফেলে আসরে আগমন গণেশ বাবাজির। বিশদ

04th  October, 2020
নিয়ন্ত্রণের জালে
মৃণালকান্তি দাস

যন্ত্রমানব আজও তো এক ফ্যান্টাসি! যা আমার হুকুম মেনে চলবে। চা বানিয়ে দেবে। গাড়ি চালিয়ে দেবে। হাত-পা টিপে দিতে বললে, তাও। আমারই অঙ্গুলিহেলনে নাচ দেখাবে গান শোনাবে... বিশদ

27th  September, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী।   বিশদ

06th  September, 2020
মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।   বিশদ

06th  September, 2020
একনজরে
গত এক মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সহায়ক মূল্যে ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ধান কেনা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে সহায়ক মূল্যে ...

সীমান্তে পাচার রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বরাবর কোথাও যেন কাঁটাতারবিহীন এলাকা না থাকে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতার নেই মালদহের যে সব সীমান্তে, ...

কৃষক বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল দেশান্তরেও। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিক্ষোভরত ‘রোদে পোড়া, তামাটে’ মানুষগুলোর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি। ...

পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM