Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে। এটাই বিধুবাবুর সিংহাসন। গত ২৩ বছর ধরে প্রকাণ্ড এই ফটকের ধারে বসে থাকেন তিনি। এতগুলো বছরে অনেক কিছু বদলেছে। মালিক বদলেছে। কোম্পানির সিকিউরিটি এসেছে। কত লেবার এসেছে... চলেও গিয়েছে। বদলায়নি বিধুবাবুর চেয়ারটা... বসার জায়গাটা... আর, বিধুবাবু নিজে।
পাশে একটা তাপ্পি মারা জংলা রঙের ব্যাগ পড়ে আছে বিধুবাবুর। ঘড়ির কাঁটা বিকেল চারটে ছুঁইছুঁই। আজ কারখানার দরজাটা খোলেনি। খুলবে না। কিন্তু এই দিনটা তো কারখানার ফটকটা হাঁ করে খোলা থাকে! অন্যদিন কালিঝুলি মাখা জামা গলানো ছেলেগুলো ফিটবাবুটি সেজে এই দিনটায় কারখানায় আসে... কব্জি ডুবিয়ে মাংস খায়... পকেট থেকে ফস করে সিগারেটের প্যাকেট বের করে নবীন বা জীবন। এগিয়ে দিয়ে বলে... ‘বিধুদা, নাও নাও, সারা বছর তো বিড়িই খাও। আজ না হয় একটা...’। মুখ বেঁকান বিধুবাবু, ‘তোরা যেন বছরভর কিং সিগারেট খাস!’ খৈনি খাওয়া দাঁত বের করে হাসে নবীন। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটাই এমন! এখানকার হাওয়া-বাতাসটা বদলে বদলে যায়। ভোরবেলা যখন চেয়ারটা বাইরে এনে বিধুবাবু বসেন, পাশের ঘাসগুলোতে তখনও ভেসে থাকে শিশির। বড্ড ভালো লাগে বিধুবাবুর। অন্যবার... অন্য বছর। এবার হাওয়াটা ভারী ভারী লাগছে তাঁর। অভ্যেস মতো সকাল সকাল চেয়ারটা টেনে বসেছেন ঠিকই, কিন্তু চারদিকটা খাঁ খাঁ করছে। আজ বিশ্বকর্মা পুজো হয়নি। কারখানা বন্ধ। সেই লকডাউনের শুরু থেকে। ভেবেছিলেন, আবার সব আগের মতো হবে... ক’টা দিন তো! মাসের পর মাস চলে গেল। মালিক বলেছে, কারখানা আর চালাবে না। ওরা কেউ কেউ এল... যারা কাছেপিঠে থাকে। চেঁচামেচি করল, অত বড় দরজাটা সবাই মিলে ঝাঁকাল, তারপর বসে পড়ল মাটিতে... চোখ বেয়ে জল নামছিল ওদের। বিধুবাবু একপাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। নবীন বলছিল, ‘বিধুদা... তিন তিনটে ছেলেমেয়ে... খাওয়াব কী করে?’ উত্তর দিতে পারেননি বিধুবাবু।
ছেলে দু’টো বড় হয়ে গিয়েছে। বড়টা তাও বারো ক্লাস পর্যন্ত পড়েছে। ছোটটা কোনওরকমে আট ক্লাস। তারপর আর পড়েনি। বখে গিয়েছে। ক্যানিংয়ের বাড়িতে গেলেই গিন্নি মুখ করে... ‘সংসারের দিকে নজর নেই, মাসে দু’মাসে একবার আসো। ছোট ছেলেটা যে রাতবিরেতেও রাস্তায় পড়ে থাকে! নজর কে দেবে? পড়শি?’ কিছু বলতে পারেন না বিধুবাবু। বড়টা তাও খেতে খামারে যা কাজ পায় করে। ১০০ দিনের কাজটাজও করে টুকটাক। আগেরবার বাড়ি গিয়ে শুনছিলেন, কোন এক সর্দার ধরেছে। পুজোয় শহরে আসবে... কুমোরটুলিতে। ঠাকুর বয়ে নিয়ে গেলে নাকি ভালো টাকা পাওয়া যায়। বিশ বাইশ জনের দল হয়। ছোট ঠাকুর কুমোরটুলি থেকে তুলে প্যান্ডেল পর্যন্ত পৌঁছে দিলেই হাজার পাঁচেক। আর ঠাকুর বড় হলে বা কাঠামো বেশি হলে তো কথাই নেই। দর বাড়বে চড়চড় করে। গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়ার সময় রেট আরও বেশি। পাঁচ ফুটের ঠাকুর ১০-১২ হাজার। সাত পাক ঘোরাতে হয়, কায়দা করে জলে নামাতে হয়... এত ঝক্কির জন্য পয়সাটাও তো বেশি লাগবে নাকি!
মাঝে ফোন করেছিলেন বাড়িতে... ছেলে বলল, ওটা এবার বোধহয় হবে না। সর্দার লোক কাটছাঁট করেছে। ১২ জন নিয়ে যাবে এবার। ট্রেন তো চলছে না... তাহলে কীভাবে যাবে? ছেলে বলল, বাসে, ট্রাকে... যেভাবে হোক। কয়েকজন আগে চলে যাবে। সর্দার পরে। এবার নাকি সবাই নম নম করে সারবে। টাকা উঠবে না... আনকোরা লোক নিয়ে গিয়ে লাভ নেই।
ঠাকুর কেন এবারই এমন করল...? চোখ ঝাপসা হয়ে আসে বিধুবাবুর। সকাল থেকেই এটা হচ্ছে... সামলাতে পারছেন না। আজ তো মহালয়াও। কত বছর পর এমনটা হল... বিশ্বকর্মা পুজো, আর মহালয়া একসাথে। চেয়ারে বসেই ঘাড়টা তুললেন আকাশের দিকে... নাঃ, ঘুড়িও তো দেখা যায় না। ওই একটা চাঁদিয়াল উড়ছে মনে হয়। বয়সের ভারে চোখ ধূসর হয়েছে। এখন আর ভালো ঠাহর করতে পারেন না। শুনছেন... দেখছেন... লোকের চাকরি নেই। টাকা নেই। ব্যবসা নেই। মহামারী শরীরে নয়... লেগেছে সংসারেও। ঘরে ঘরে এক রোগ... এক কান্না। না পাওয়ার যন্ত্রণা... সব হারানোর দুঃখ। গিন্নি সেদিন বলছিল, পাশের বাড়ির অজিত নাকি গলায় দড়ি দিয়েছে। একটা প্রাইভেট বাসে কন্ডাক্টরের কাজ করত ও। বাস চলছে না... টাকা যা ছিল, শেষ। কেউ ধার দেয় না... খেতে না পাওয়া ছেলেমেয়েগুলোর দিকে তাকাতে পারত না। গলায় দড়ি দিয়ে প্রাণ জুড়োলো। তাঁর সংসার কীভাবে চলছে, জানেন না বিধুবাবু। মার্চ মাসের শুরুতে একবার বাড়ি গিয়েছিলেন। তারপর আর হয়ে ওঠেনি। সব বন্ধ হয়ে গেল... চাইলেও যেতে পারলেন না। গত মাসে শেষ মাইনে পেয়েছিলেন। ওই শেষ। তাও রংচটা চেয়ারটা ছেড়ে উঠতে পারেননি। বড্ড বড় দায়িত্ব যে তাঁর... ভেতরে কত লোহালক্কড় আছে, চুরি হয়ে গেলে? সেই মাইনের টাকাটাও শেষ হয়ে আসছে। ছেঁড়া, তাপ্পি মারা ব্যাগটা থেকে পুরনো একটা রেডিও বের করে কিছুক্ষণ সেটার উপর হাত বোলালেন বিধুবাবু। রেডিও না... টু ইন ওয়ান। আগের মালিক দিয়েছিল। এখনও যত্নে রেখে দিয়েছেন বিধুবাবু। মহালয়ার দিন অ্যালার্ম দিতে হয় না তাঁকে। কীভাবে যেন চারটের ঠিক একটু আগে ঘুম ভেঙে যায়। বড় ভালো লাগে তাঁর... আশ্বিনের শারদ প্রাতে... মনে হয় মা এসে গিয়েছেন। দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর ছোট্ট চৌকিটার পাশে। মাকে বুঝে উঠতে পারেননি বিধুবাবু। দশের কোঠায় পা দেওয়ার আগেই মা তাঁর পাড়ি দিয়েছেন তারার জগতে। এই দিনটায় মাকে খুব মনে পড়ে... আবছা হাসিমুখটা ধরা দেয় মনের আয়নায়। লাল পাড় সাদা শাড়ি পরা রক্তমাংসের একটা মানুষ আশীর্বাদ দেওয়ার মতো করে হাতটা তুলে রয়েছে... বলছে... ‘অ বিধু, আর কতক্ষণ খাবারটা আঢাকা ফেলে রাখবি বাবা... খেয়ে নে!’ চোখটা ঝাপসা হয়ে যায়... তখনকার মতো। দু’টো ক্যাসেট আছে তাঁর। একটা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের। ডিউটি শেষ করে জামা কাপড় ছেড়ে লুঙ্গি পরে তক্তাপোশে বসেন বিধুবাবু। তারপর চালিয়ে দেন ক্যাসেটটা। রোজ। ভারি ভালো লাগে তাঁর... হেমন্তবাবু যখন ধরেন ‘ও নদী রে...’। কত কথা যে তাঁর নিজেরও শুধোতে ইচ্ছে করে... এই কারখানাকে, সামনের হাড় বের করা রাস্তাকে, ট্রেন লাইনের ওপারে যে জায়গাটা একটু জলা মতো হয়ে আছে... ওই জায়গাটাকে।
চোখটা বড় জ্বালাচ্ছে আজ... ঝাপসা হচ্ছে বারবার। সাড়ে চারটে বাজে। আর আধঘণ্টা পর উঠবেন তিনি। ওই জায়গাটা বড় ডাকছে আজকে। বর্ষায় জল ভরে যায় নিচু এলাকাটায়... সূর্যের তাপে শুষে নিতে সময় লাগে। তারই মধ্যে আকাশে এসে যায় তুলোর মতো মেঘ। ওখানে কাশফুল হয়। দেখেছেন বিধুবাবু। দেখেন বিধুবাবু... ফি বছর। একটু সময় ছুটি নেন কারখানার ফটকটা থেকে। বসে থাকেন ওখানে। টু ইন ওয়ানটা ব্যাটারিতেও চলে। সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। আগমনির এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকে বিধুবাবুর দ্বিতীয় ক্যাসেটটা। ওখানে... রেললাইনের ধারে কাশের হাওয়ায় চালান ওই ক্যাসেটটা। শোনা যায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলা... ‘যা দেবী সর্বভূতেষু...’। মানে বোঝেন না বিধুবাবু। কিন্তু অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়। মা আসছে, মা আসছে অনুভূতি...। আজও যাবেন। এই আধ ঘণ্টা পর।
পুজো নাকি এবার তেমন ভালো করে হবে না। শুনছেন বিধুবাবু। পাশের বস্তিতে থাকে বিলে। এলাকার দাদা গোছের। বলছিল, হোয়াটসঅ্যাপে নাকি কীসব মেসেজ এসেছে... এবার অঞ্জলি দেওয়া যাবে না, সিঁদুর খেলা হবে না। ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ নেই বিধুবাবুর। খায়, না মাথায় দেয় জানেন না। শুধু লোকজনের কাছে দেখেন, এতে লেখা আসে, ছবি আসে...। তবে বিলে খবর রাখে। সেটা জানেন তিনি। ও যখন বলছে, খুব কি ভুল বলবে? কিন্তু পুজো হবে, আর অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়া যাবে না... এ আবার হয় নাকি? মানতে পারেন না বিধুবাবু। কুমোরটুলিতেও বিলের ভালো যাতায়াত আছে। ওখানে এক-দু’বার গিয়েছেন তিনি। মেন রোডের পাশে সরু গলিটা দিয়ে ঢুকেই যে এমন দক্ষযজ্ঞ ব্যাপার থাকতে পারে, ভাবতে পারেননি তিনি। ওইটুকু গলি দিয়েই অত বড় বড় প্রতিমা বেরিয়ে আসছে, উঠে যাচ্ছে ম্যাটাডোরে... হাত জোড় করে কতক্ষণ দাঁড়িয়েছিলেন বিধুবাবু। বিলে বলেছিল, ‘কাকা, সারাদিন হাত জুড়ে থাকতে হবে। এবার নড়াচড়া করো!’ গলির মুখে বেশ কয়েকটা খাবার দোকান আছে। সেখানেও বিলের খুব খাতির। টোটন, মদন... আরও কত নাম। বিলে বলছিল, এবার নাকি বাজার খুব খারাপ। বছরের এমন একটা সময়ে হাঁফ ফেলার সময় পায় না ওরা। সারাদিন বিক্রি হয় ডিম-টোস্ট, হাঁসের ডিম সেদ্ধ, ঘুগনি, আর চা...। এ বছর কী একটা রোগ এল, পথে বসিয়ে দিল কত লোককে। বিলে বলছিল, ‘বুঝলে কাকা, ফরেনাররা আসে ওখানে। ওরা এলেই আশপাশের সবাই চনমন করে ওঠে। ওরা খায়, গাইড ভাড়া করে... কত কী! এবার আর কিচ্ছুটি নেই। আগেরবার যে সাইজের ঠাকুর ৭০ হাজারে বিক্রি হয়েছিল, এবার সেটাই ৩০-৪০ হাজারে ছাড়তে হচ্ছে। বেশিরভাগ লোকই এ বছর ছোট ছোট ঠাকুর বায়না করছে। যে কি না ১২ ফুটের ঠাকুর নিত, সে বলছে, সাড়ে পাঁচ-ছ’ফুটের বেশি নিতে পারব না। আর কুমোরটুলির কারিগররাও তাতেই ছেড়ে দিচ্ছে। কী করবে বলো... কিছু টাকা তো ঘরে আসেবে! কিছু তো খাওয়া জুটবে! বড় শিল্পীদের না হয় রেস্ত কিছু আছে... ছোটখাট কারিগররা কী করবে বলো?’
এসব শুনে বিধুবাবুর বড় ব্যথা লাগে। সত্যি তো... খেতে না পেলে তো মরা ছাড়া গতি নেই! মনে পড়ে অজিতের কথা। গলায় দড়ি দিল ছেলেটা...! বড় ছেলেটার জন্য বিলেকেই ধরপাকড় করবেন ভেবেছিলেন... এসব শুনে বুঝতে পারেন, বলে লাভ নেই। ঠিক যেমন ছেলেকে সর্দার বলেছে। ওটাই সার কথা। এবার কিছু হওয়ার নেই। বিলে বলে চলে, ‘কমপ্রোমাইজ করতে হচ্ছে সব্বাইকে... বুঝলে কাকা। একচালার ঠাকুর এবার বেশি হচ্ছে। ক্যারিং কস্ট কম লাগবে। একটা গাড়িতেই হয়ে যাবে। গয়নাপত্র পর্যন্ত কমিয়ে দিচ্ছে লোকজন। আগের বছর যারা ঠাকুর তৈরি করে ২৮-৩০ লাখের ব্যবসা করেছিল, এবার ওরাই বলছে ১০-১২ লাখ হলে বেঁচে যাই। আর ছোট ছোট কারিগরদের মুখের দিকে তাকানো যায় না! কী দিন এল! বছরটা গেলে বাঁচি।’
বিধুবাবুরও মনে হয়, বছরটা সত্যি খুব খারাপ। একটাও ভালো খবর নেই। একটা মানুষও ভালো নেই। এটা দুঃস্বপ্ন নয় তো! হলেই বোধহয় ভালো হতো। মহালয়ার এক মাস পর পুজো... শেষ কবে হয়েছে, মনে নেই বিধুবাবুর। বছরটা খারাপ বলেই এসব হচ্ছে। একটা খারাপ মাস ঢুকে পড়েছে পুজোর মধ্যে। মা দুগ্গা এসে গেলে নিশ্চয়ই এর একটা বিহিত করবেন। সব ঠিক হয়ে যাবে...।
আশায় বাঁচেন বিধুবাবু। সব শেষ হয়েও তাই শেষ হয়ে যায় না...। অতি যত্নে কিছুটা বাঁচিয়ে রেখে দেন। ঠিক যেভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন মাকে। শরতের শুরুতে ফিরিয়ে আনেন তাঁকে। দেবীর আগমনির সঙ্গে মিলেমিশে এক হয়ে যায় মায়ের ছবিটা। পাঁচটা বাজল। এবার উঠবেন বিধুবাবু। ওরা বলেছে, চেয়ারটা আর ভেতরে ঢোকানোর দরকার নেই। বাইরেই পড়ে থাক। আর ভেতরে রাখবেনই বা কী করে... ফটকে মস্ত একটা তালা ঝুলছে। আজই বেলায় বেলায় এসে ওটা ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে ওরা। তখনই ওই ছেঁড়া ব্যাগটায় করে সর্বস্ব বেঁধে বাইরে এনে রেখেছেন বিধুবাবু। আর একটা বিগ শপারে রয়েছে মা দুর্গার একটা ছবি। দেওয়ালে ঝুলছিল। এবার রওনা দেবে বিধুবাবুর সঙ্গে। ওরা তখনই চলে যেতে বলেছিল। বিধুবাবু যাননি। যাবেন কী করে! ডিউটি যে পাঁচটা অবধি!
কীভাবে ক্যানিং ফিরবেন... জানেন না বিধুবাবু। তাও বেরিয়ে পড়েছেন। আগে যাবেন রেললাইনের ওপাশের জলাটার ধারে। বসবেন কিছুক্ষণ। ক্যাসেটটা বুকপকেটে রেখেছেন তিনি। হাত কাছে পেতে চান... মনে হলেই।
কাশফুল দুলছে হাওয়ায়... বেশ লাগছে। সন্ধ্যা নামবে এবার। টু ইন ওয়ানটায় ক্যাসেট ঢুকিয়ে অল্প ভল্যুমে চালালেন বিধুবাবু... ‘শক্তিরূপেণ সংস্থিতা...’। চোখটা আবার ঝাপসা হয়ে এল। মায়ের মুখটা এখন আর মনে পড়ছে না। শিউলি ফুলের গন্ধের সঙ্গে জমাট বাঁধছে আর একটা মুখ... উমার। কতই বা বয়স ছিল ওর... পাঁচ? ছয়? সাতও হতে পারে। মনে নেই বিধুবাবুর। একরাতের পেটের যন্ত্রণায় শেষ হয়ে গিয়েছিল মেয়েটা। ডিউটিতে ছিলেন বিধুবাবু। ফিরতে পারেননি সেদিন। খবর যখন পেয়েছিলেন, শেষ ট্রেন ছেড়ে গিয়েছে। পরেরদিন ফার্স্ট ট্রেনে রওনা দিয়েছিলেন। যখন পৌঁছলেন... উমা নেই। যন্ত্রণায় বুকের একটা পাশে তখন থেকে পাথর বসে রয়েছে বিধুশেখর বিশ্বাসের। মানতে পারেননি... মানতে পারেন না... মা এমন অবিচার করতে পারে? মুখটা মনে আনতে চান না বিধুবাবু। কিন্তু ফিরে আসে... বিসর্জনের সময়। জলে ধীরে ধীরে ডুবে যাওয়া... দেবী চললেন... ওই দৃশ্যটা দেখতে মন চায় না তাঁর। কখনও না। মেয়েটার কী এমন বয়স ছিল...। উমা যেদিন চলে গেল তাঁকে ছেড়ে...।
বুকটা ধক করে উঠল বিধুবাবুর... সেদিনটাও যে মহালয়াই ছিল...।
 ছবি : সোমনাথ পাল ও মুকুল রহমান
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায় 
20th  September, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
শিল্প হল ‘সর্বজনীন’
ভবতোষ সুতার

 পুজোয় প্রথম কাজ ২০০০ সালে। বড়িশা জনকল্যাণ সংঘ। বেহালা চৌরাস্তা ও সখেরবাজারের মধ্যিখানে। স্বল্প পরিচিত একটি ক্লাব। তারাই আমার উপর ভরসা রাখার সাহস দেখিয়েছিল। অক্লান্ত পরিশ্রম সেবার ছিল আমার সঙ্গী। দিনরাতের খেয়াল নেই। বিশদ

11th  October, 2020
ছৌ নাচের ইতিকথা
মৃন্ময় চন্দ

সিঁদুরের বিন্দু বিন্দু মূষিক বাহন/ নমঃ নারায়ণ/ গণেশদেব হর গৌরীর নন্দন...।  তাক ধিন দা ধিন—বেজে উঠল ঢোল-ধামসা। সূত্রধর সানাইয়ে একতালে ঝুমুরে শুরু করেছে গণেশ বন্দনা। হেলতে দুলতে শুঁড় নাড়াতে নাড়াতে, নাচের তালে পা ফেলে আসরে আগমন গণেশ বাবাজির। বিশদ

04th  October, 2020
নিয়ন্ত্রণের জালে
মৃণালকান্তি দাস

যন্ত্রমানব আজও তো এক ফ্যান্টাসি! যা আমার হুকুম মেনে চলবে। চা বানিয়ে দেবে। গাড়ি চালিয়ে দেবে। হাত-পা টিপে দিতে বললে, তাও। আমারই অঙ্গুলিহেলনে নাচ দেখাবে গান শোনাবে... বিশদ

27th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী।   বিশদ

06th  September, 2020
মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।   বিশদ

06th  September, 2020
একনজরে
পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...

উম-পুন পরবর্তী ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার তিন মাসের মধ্যে তদন্তসাপেক্ষে ক্যাগকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। ...

কৃষক বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল দেশান্তরেও। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিক্ষোভরত ‘রোদে পোড়া, তামাটে’ মানুষগুলোর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি। ...

সীমান্তে পাচার রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বরাবর কোথাও যেন কাঁটাতারবিহীন এলাকা না থাকে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতার নেই মালদহের যে সব সীমান্তে, ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM