দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
ছবির গল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিচালক রাজা সেন জানান, ‘মূলতঃ একজন সিঙ্গল মাদারের গল্প নিয়ে ছবির কাহিনী গড়ে ওঠে। বিজ্ঞাপন সংস্থায় কর্মরত ইমতিয়াজ আকস্মিক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেলে বাচ্চা মেয়ে মিমিকে নিয়ে বৈশাখী একাকী নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। মেয়েকে নিয়ে অসহায় বৈশাখীর জীবনযুদ্ধ শুরু হয়। সমাজের এমন কিছু মানুষ যাঁদের বৈশাখী চিরকাল এড়িয়ে এসেছে তারাই এখন তার জীবন সংগ্রামের সঙ্গী। যে মানুষেরা বৈশাখীর অসময়ের সঙ্গী
হয় তাদের মধ্যে আছে পাড়ার মস্তান গোছের লোক পল্টন যে ক্লাবের পুজো বন্ধ করে টাকা জোগাড় করে। অন্যদিকে আবার পাশের বাড়ির মদ্যপ মানুষ ভবেশ বাচ্চা মেয়ে মি
মির জন্য তার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দেয় শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে। অথচ বৈশাখীর আপন দিদি অঞ্জলি এবং জামাইবাবু সাগর এই দুঃসময়ে তাদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। এমতাবস্থায় বৈশাখী তার স্বামীর সংস্থায় একটা কাজ পায়। এরপর কী হয়? এই সমাজের মানসিকতার গল্পের মোড়কে ছবিটি একটি মানবতার কাহিনী বলে পরিচালকের কাছ থেকে জানা গেল।
ছবির শিল্পীরা হলেন, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (পল্টন), দেবীকা সেনগুপ্ত (বৈশাখী), সুপ্রিয় দত্ত (ভবেশ), রুপাঞ্জনা মিত্র (অঞ্জলি), প্রিয়ম (ইমতিয়াজ), কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় (সাগর), পাভি (মিমি)। এছাড়াও অন্য শিল্পী হলেন, চিত্রা সেন, দুলাল লাহিড়ী, দেবদূত ঘোষ, পার্থপ্রতিম দাস, সঞ্জয় বিশ্বাস প্রমুখ।
ছবির কেন্দ্রিয় চরিত্রদের পোশাক সম্পর্কে কসটিউম ডিজাইনার রুমা বলেন, ‘ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী চরিত্রদের সাজপোশাকে আর্দি টোন ব্যবহার করা হয়েছে। পল্টন অর্থাৎ শাশ্বত এখানে পাড়ার মস্তান গোছের মানুষ হলেও সে মানুষের অসময়ে পাশে এসে দাঁড়ায়। তাঁকে বডি হাগিং রাউন্ডনেকের টিশার্টের ওপর ওভারসাইজ শার্টে দেখা যাবে। এই শার্টের বুকের ওপর ডাবল পকেট, দু’ কাঁধে স্ট্র্যাপ আছে। সঙ্গে কমফোর্ট ফিটের ডেনিম, পায়ে কখনও স্নিকার্স বা ব্ল্যাক পয়েনটেড স্যু, কোমরে ব্রাইট লেদার বেল্ট, বাঁ হাতে ব্ল্যাক লেদার ব্যান্ডের ঘড়ি, গলায় সিলভার পেনডেন্ট সমেত চেন তিনি ব্যবহার করেছেন। তাঁর সরু গোঁফের সঙ্গে মানানসই সাইড পাটিং হেয়ার স্টাইল কানে দুল রয়েছে। নানা ধরনের স্কোয়ারিশ ফ্রেমের সানগ্লাস পরিহিত অবস্থায় তাঁকে দেখা যাবে। তার পোশাকের কালার প্যালেট হোয়াইট, ব্ল্যাক, স্টিল গ্রে, অ্যাশ, স্ন্যাপ, ব্রাউনিশ টোন। ডেনিমের ক্ষেত্রে কখনও তাঁকে ব্লু এবং ব্ল্যাক কালারে দেখা যাবে।’ অন্যদিকে বৈশাখী ওরফে দেবিকা সেনগুপ্ত যেহেতু একজন বিধবা তাই তার শাড়ির কালার প্যালেট, মাস্টারড ইয়ালো, ব্রাউন, ব্ল্যাক ইত্যাদি। কখনও হোয়াইটের ওপর ব্ল্যাক ব্লকপ্রিন্টেড শাড়িতে দেখা যাবে।
আবার কটন হ্যান্ডলুমের উইভ নকশা বর্ডারের শাড়ির সঙ্গে লং স্লিভের প্লেন অথবা হালকা কাঁথাস্টিচ বা এমব্রয়ডারি করা ব্লাউজে তিনি ধরা দেবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হালকা খোঁপা ঘাড়ের কাছে বা বিনুনি হেয়ার স্টাইলে তাঁকে দেখা যাবে। গলায়, হাতে, কানে খুব হালকা গয়না রয়েছে। তবে ঘরের দৃশ্যে লেগিংসের সঙ্গে বাটিক বা ব্লক প্রিন্টেড সিজিনড করা কুর্তি তাঁকে পরানো হয়েছে। চাকরি করতে যাওয়ার সময় কাঁধে ব্ল্যাক কালারের ব্যাগ এবং পায়ে চটি তিনি পরেছেন। এমন কথা শোনা গেল রুমার কাছ থেকে। তাই ছবির জন্য বেশিরভাগ কসটিউম স্পনসর করেছেন টু ট্রুইল সংস্থার সুজাতা।
ভবেশরূপী সুপ্রিয় দত্তকে টিশার্ট এবং ট্র্যাক প্যান্টে তাঁকে দেখা যাবে। উইভ করা নকশা পাড়ের কটন হ্যান্ডলুম শাড়ির সঙ্গে প্লেন বা হালকা সুতোর কাজ করা স্লিভের ব্লাউজ পরেছেন চিত্রা সেন। সঙ্গে হাতে শাঁখা, গলা, নোয়া, চুড়ি, বালা, গলায় সরু চেন, কানে ছোট দুল, কপালে সিঁদুরের টিপ ও সিঁথিতে সিঁদুর রয়েছে। দুলাল লাহিড়িকে ঢোলা পাজামার সঙ্গে লম্বা পাঞ্জাবিতে দেখা যাবে।
রূপাঞ্জনা মিত্র অর্থাৎ অঞ্জলি ঘরের দৃশ্যে এলাইট ড্রেস ব্যবহার করলেও বর্হিদৃশ্যে তসরের ওপর ব্লক প্রিন্টেড শাড়ি পরেছেন। সাগর ওরফে কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় ডেনিমের সঙ্গে সলিড ব্রাইট কালারের টি শার্ট এবং একটি দৃশ্যে পাজামা পাঞ্জাবি পরেছেন। ইমতিয়াজ ওরফে প্রিয়মকে একটা দৃশ্যে দেখা যায়। তিনি কুর্তির সঙ্গে ডেনিম পরেছেন। মিমিরূপী পাভিকে স্কুলের হোয়াইট ও ব্লু ইউনিফর্মে দেখা যায়।
বাড়িতে প্রিন্টেড শর্টস ও টি শার্টও ছোট্ট পাভি পরেছে। স্টিল গ্রে, ব্রাউনিশ টোনের স্যুটে দেবদূত ঘোষকে দেখা যাবে বলে জানা গেল রুমার কাছ থেকে। তবে ছবিতে বৈশাখী অর্থাৎ দেবিকা সেনগুপ্তকে ফ্ল্যাশব্যাকে দুটি দৃশ্যে সধবা অবস্থায় রেড টোনের শাড়িতে দেখা যাবে।
ছবির কাহিনী ডঃ প্রসেনজিৎ চৌধুরীর। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন ডঃ প্রসেনজিৎ চৌধুরী, রাজা সেন, সুপ্রীতি চৌধুরী।
ক্যামেরায় মৃন্ময় মণ্ডল, সম্পাদনা অর্ঘ্যকমল মিত্র। সুরকার নচিকেতা চক্রবর্তী, পার্থ সেনগুপ্ত।
গান গেয়েছেন ইন্দ্রাণী সেন, ইমন, তিতলি চট্টোপাধ্যায়, ধানসিড়ি প্রমুখ।
প্রযোজনা করেছে সিলভার লাইন মোশন পিকচার্স। প্রযোজক সুশান্ত চৌধুরী।