সম্প্রতি টালিগঞ্জ রঙ্গ ব্যঙ্গ অদ্বিতীয়ার আয়োজনে, ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক-এর আর্থিক সহায়তায় কমেডি ড্রামা ফেস্টিভ্যাল হয়ে গেল মুক্তাঙ্গনে। হাসতে ভুলে যাওয়া মানুষদের কাছে একগুচ্ছ হাসির নাট্যসম্ভার উপহার দিলেন তাঁরা। ৬ দিন ব্যাপী এই হাসির নাটকের অনুষ্ঠানে প্রতিদিন দুটি করে মজাদার কমেডি ড্রামা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নাটকগুলির মধ্যে উল্লেখ্য সুশান্তনীল ঘোষের সোনার মাদুলি, মনোজ মিত্রের হারানো প্রাপ্তি, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ছন্দপতন। এছাড়াও চন্দন সেন-এর দর্পণ সাক্ষী। সুচারু দাসের অতলান্ত মঞ্চায়ন হয়েছিল ফেস্টিভ্যাল-এ। ফেস্টিভ্যালের প্রথম দিন প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অ্যাকাডেমির সদস্য সচিব ডঃ হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায় ও প্রখ্যাত সাংবাদিক তথা নাট্য সমালোচক রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়।
শুরুতেই হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, সকলেই হাসতে চাই, ভালোবাসতে চাই। কমেডি নাটকের মধ্য দিয়ে মানুষকে মজার দেশে পৌঁছে দেওয়ার যে আয়োজন রঙ্গ ব্যঙ্গ অদ্বিতীয়া নিয়েছে তা অবশ্যই সাধুবাদ যোগ্য। আগামী দিনে এই উৎসব দেখতে পাব এই আশা রাখি। রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, অদ্বিতীয়া হাসির নাটকের ওপর প্রথম থেকেই কাজ করে এসেছে। হাস্যরস মানুষের মধ্যে একটা উত্তেজনা তৈরি করে। বর্তমান সমাজ খুব কঠিন দিকে নিয়ে যাচ্ছে মানুষকে। এই বিপন্নতার সময় মানুষের মধ্যে যদি একটু হাসিই না থাকে তাহলে জীবনে বেঁচে থাকার অর্থটাই ফিকে হয়ে যাবে।
শৌভিক পাল