উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
মাত্র চার বছর বয়সে টেনিসে হাতেখড়ি। সম্প্রীতি জাপানি তারকা নোয়ামি ওসাকাকে সরিয়ে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের সিঙ্গলসে এক নম্বর নাম করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তরুণী অ্যাশলে বার্টি।
২০১১ সালে পনেরো বছর বয়সে জুনিয়র উইম্বলডন সিঙ্গলস খেলেন। ওই বয়সেই প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়। সেইসঙ্গে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। স্বদেশি খেলোয়াড় কেসি ডেলাকোয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে ২০১৩ সালে অস্ট্রেলীয় ওপেন, উইম্বলডন এবং যুক্তরাষ্ট্র ডাবলসে রানার্স হয়ে বার্টি টেনিস দুনিয়াকে বিস্মিত করেছিলেন। সাড়া জাগানো এক সম্ভাবনাময় তারকা হয়ে উঠেছিলেন।
কিন্তু সতেরো বছর বয়সে তিনটে গ্র্যান্ড ডাবলস খেলার পরেও হঠাৎই খেয়াল বসে টেনিস ছেড়ে ক্রিকেট খেলতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। এমন ঘটনা টেনিসের দুনিয়ায় অভূতপূর্ব। যে টেনিস ছেড়ে মেতেছিলেন ক্রিকেট দুনিয়ায়, সেই বাইশ গজের পিচের লড়াই ছেড়ে ২০১৬ সালে আবার টেনিসে পুনরাগমন বার্টির। টেনিস কোর্টে ফিরে অল্পদিনের মধ্যেই অসামান্য সাফল্য পেয়েছিলেন। প্রত্যাবর্তনের পর এবার সাফল্যের শীর্ষে বার্টি।
ক্রিকেটেও বার্টির ভালো পারফরম্যান্স ছিল। অস্ট্রেলিয়ায় মেয়েদের পেশাদার ক্রিকেট লিগের তিনি ব্যস্ত ক্রিকেটার ছিলেন। যদিও ক্রিকেটের কোনও প্রথাগত ট্রেনিং বার্টির ছিল না। টেনিসে ফিরেছিলেন যে সময়, সেই সময় বার্টির র্যাঙ্কিং ছিল ৬২৩। সিঙ্গলস গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের আগে ২০১৮ সালে গ্র্যান্ডস্ল্যাম ডাবলস জিতেছিলেন বার্টি।
তার কিছুদিন আগেও ডাবলসে পাঁচ নম্বর ছিলেন। এই বছরের শুরুতে অস্ট্রেলীয় ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে পাঁচটি স্ল্যামজয়ী রাশিয়ান তারকা মারিয়া শারাপোভাকে হারিয়ে প্রথমবার গ্র্যান্ডস্ল্যাম সিঙ্গলস কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন। তখনই বোঝা গিয়েছিল তিনিই টেনিস দুনিয়ার উদীয়মান তারকা এবং শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।
কুইন্সল্যান্ডের ২৩ বছরের তরুণী অ্যাশলে বার্টি ফরাসি ওপেনে ছিলেন আট নম্বর বাছাই। দুরন্ত ফর্মে থাকা ১৯ বছরের ভন্ড্রোসোভার মুখোমুখি হয়েছিলেন বার্টি ফাইনালে। সিঙ্গলসে জীবনের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের পর বার্টির মুখে শোনা গিয়েছে, ‘এমন জয়ের কথা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।’ রোলাঁ গারোজে একেবারে স্ট্রেট সেটে ৬-১, ৬-৩ গেমে প্রতিপক্ষ মার্কেতা ভন্ড্রোসোভাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে নজির গড়লেন। নতুন ইতিহাস সৃষ্টি। ১৯৭৩ সালে ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন অস্ট্রেলীয় মার্গারেট। তারপর বার্টির এই জয় ছেচল্লিশ বছর পর বার্টি যেন জাদুমন্ত্রবলে সাফল্য শিখরে।
ক্রিকেট থেকে টেনিসে ফেরাই বার্টির জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। মাছধরা এবং নিজের পোষা প্রাণীদের নিয়ে সময় কাটানো ওঁর বিশেষ হবি। বার্টির কথায়, ‘টেনিস থেকে ওই ব্রেকটা না নিলে আজ হয়তো এই ট্রফিটা হাতে নেওয়াই হতো না। এই জয় আমার জীবন এবং কেরিয়ার এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নিজের মধ্যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছি।’ এই তরুণী টেনিস দুনিয়ার নতুন রানি।