উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মরশুম অনুযায়ী এখনও কিছু আতরের চাহিদা বাড়ে। যেমন শীতে শামামা, হিনা, মুস্কের গন্ধে মাতোয়ারা হতে চান আতরপ্রেমীরা। আবার গরমে জুঁই, গোলাপ, রজনীগন্ধার চাহিদা তুঙ্গে। পাটের খসে আতর মেশানো জল আলাদা করে রুম ফ্রেশনারের কাজ করত এক সময়। এখন সেই বিলাসেও অনেকটা দাঁড়ি টেনেছেন গন্ধবিলাসীরা। তবে ঈদ, দুর্গাপুজো, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নিকাহ, বনেদি বিয়েবাড়িতে এখনও আতরের চল রয়েছে। আতরের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় শামামা, উদ ও সাবা আতর। ভারতীয় মিষ্টি গন্ধের নানা মশলার সংমিশ্রণে তৈরি হয় শামামা আতর। অগরু গাছ থেকে বিশেষ উপায়ে তৈরি হয় উদ। এই আতর বেশ খরচসাপেক্ষ ও দামি। কয়েক রকম খাঁটি আতর মিশিয়ে তৈরি হয় সাবা আতর।
আতর ভালোবাসতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির হিসেবের খাতায় চোখ রাখলে গোলাপ ও জুঁইয়ের আতরের খরচ নজরে আসে। নেতাজি, চিত্তরঞ্জন দাশ, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ আতরপ্রেমীদের তালিকা একসময় ছিল মণিমাণিক্যে ঠাসা। আজ সে জৌলুস হারিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আতরশিল্পকে জ্যান্ত করে তুলতে অনলাইনে আতর বিক্রির সুযোগ করে নিতে চাইছেন সওকত, ইমরান, তাহেররা। চাইছেন সরকারি সহযোগিতাও। সরকারও পিছিয়ে নেই। আজকাল বিশ্ব বাংলার নানা বিপণিতে গোলাপ,জুঁই, অপ্সরা, চন্দন, ফিরদৌস, জান্নাতুলের মতো আতর বিক্রি হচ্ছে। তবে সেই ভরসার হাত ধরে গন্ধবিলাসীদের মনে আতরপ্রেম আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে কি না এখন সেটাই প্রশ্ন।