উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মন্ত্রী বলেন, এসেন্স দিছি- গন্ধ তো নয় মন্দ! সুকুমার রায়ের ‘গন্ধবিচার’-এর কৌতূহলী রাজা এসেন্সের ‘মন্দ-ভালো’ জানতে মেলা লোক ডেকেছিলেন। সুগন্ধির শখ যাঁদের আছে, তাঁরা অবশ্য দেশ বিদেশ যেখানেই যান, মনভোলানো সুবাসটি ঠিক খুঁজে বের করে নিজের সংগ্রহে রেখে দেন। অনেকে আবার ব্র্যান্ড বা দামের পরোয়া করেন না। নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যে গন্ধটা যায়, বেছে নেন ঠিক সেটিকেই। তা সে পারফিউম হোক বা কোলন, কিছুতেই আপত্তি নেই তাঁদের।
সাধারণত ভালো ব্র্যান্ডেড পারফিউমের দাম একটু বেশিই হয়। কারণ তাতে এসেন্সের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। শ্যানেল, দোলচে অ্যান্ড গাবানা, ডিওর, গুচি— এই ব্র্যান্ডগুলো পারফিউম-প্রেমীদের কাছে খুবই পরিচিত। তবে অনেকে আবার চমকে যেতে পারেন এই সব সুগন্ধির দাম শুনে। কিন্তু ওই যে বললাম, আপনি যদি তেমন শৌখিন হন, তাহলে দাম নিয়ে মাথাব্যথা থাকবেই না। মনমাতানো সুগন্ধই তখন শেষ কথা। কোনও কোনও দামি পারফিউমের সুবাস আট ঘণ্টা পর্যন্ত সঙ্গে থাকে। মহিলা এবং পুরুষদের পারফিউম অবশ্যই আলাদা। ব্রিটিশ একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মহিলাদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে ফুলেল সুবাস (ফ্লোরাল ফ্রেগরেন্স)। আর পুরুষরা পছন্দ করেন একটু উডি স্মেল। তবে এগুলো সাধারণ প্রবণতা। অবশ্যই এর ব্যতিক্রম রয়েছে।
কিন্তু পারফিউমকে সাধারণ ডিওডোরেন্ট বা বডি স্প্রে-র সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। এটি অভিজাত। তাই সারা গায়ে একগাদা পারফিউম স্প্রে কেউ করে বেরিয়ে পড়েন না। হাতের রিস্টের ভিতরের দিক, কানের লতির পিছনে এবং কনুইয়ের ভিতরের দিকে অল্প করে লাগিয়ে তার আভিজাত্য বজায় রাখুন। খুব কড়া বা উগ্র গন্ধ কিন্তু সবার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই নয়। খেয়াল রাখবেন সেটাও। আর সবচেয়ে জরুরি কথা, দিনের বেলার জন্য বেশি উপযোগী কোলন। রাতের জন্য রাখুন পারফিউম। আপনার ব্যক্তিত্বকে ছাপিয়ে যায়, এমন গন্ধ কখনওই কিনবেন না। অর্থাৎ কারও সামনে দাঁড়ালে আপনার পারফিউমের গন্ধটাই যদি বেশি গুরুত্ব পেয়ে যায়, সেটা খুব সুখকর হবে না। তার চেয়ে বরং এমন সুবাস বেছে নিন যা আপনাকে সতেজ রাখে আর আপনি এসে দাঁড়ালে স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে সকলের মন।