উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কোথাও শাড়ির গায়ে বাংলা হরফ, আবার কোথাও বাংলা কবিতা ও রাবীন্দ্রিক আঁকিবুঁকিতে উড়ছে আঁচল। বর্ণমালাকে ভালোবেসে তার নকশা শাড়ির জমিনে ফুটিয়ে তোলা ফ্যাশন দুনিয়ায় খুব নতুন নয়। এই হরফকে আপন করে প্রথমে ব্লক প্রিন্টের মাধ্যমে তা শাড়ি বা অন্য পোশাকে ফুটিয়ে তোলার কাজ চলত। পরে সেই নকশার বুনন ও পদ্ধতিতেও এসেছে পরিবর্তন। ব্লকের নকশা বেশ প্রচলিত হওয়ায় অনেকেই এমন হরফ পোশাকে বসানোর জন্য টেকসই জারদৌসির কাজকে বেছে নিয়েছেন। যেমন কলকাতার ডিজাইনার ইরানি মিত্র। নিজের নামেই ব্র্যান্ড ‘ইরানি মিত্র’। তবে শুধু শাড়িতেই নয়, শাল ও জ্যাকেটেও জারদৌসি কাজের বর্ণমালা হরফ ছাপিয়ে নকশা বোনেন তিনি।
ইরানি জানালেন, তাঁর শুরুটা ঠিক অন্যদের কনসেপ্ট দেখে তাঁতিদের দিয়ে ব্লক বানিয়ে হয়নি। বরং ২০২০-র ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র আগে তিনি একটি নজিরবিহীন ঘোষণা করেন। ‘নিজের ফেসবুক পেজে জানাই প্রিয় মানুষের জন্য বাংলায় দু’তিন পঙ্ক্তি প্রিয় কথা লিখে দিতে। পছন্দসই পঙ্ক্তি পোশাকের বুননে ফুটে উঠবে দাতার নাম সহ,’ বলেন ইরানি। এই অভিনব ঘোষণায় কয়েকশো লেখা জমা পড়ে। সেখান থেকেই বেছে নিয়ে শাল ও জ্যাকেটে সেসব লেখা জারদৌসির কাজে ফুটিয়ে তোলেন তিনি। তাঁর নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক পেজ থেকে অর্ডার দেওয়া যায় ব্র্যান্ড ইরানি মিত্র। বাজেট ২৫০০-৩৫০০ টাকা হলেই এমন জ্যাকেট মিলবে। শাল শুরু ৬০০০ টাকা থেকে। ইরানি যেমন জারদৌসি কাজে এমন বর্ণমালা ফুটিয়ে তোলেন, ‘নক্স দ্য লেবেল’-এর গৌরী ও সন্দীপ সাহা আবার এখনও ব্লকেই আস্থা রাখেন। তবে গৌরীর মতে, ‘বর্ণমালা বলতে কিন্তু শুধুই বাংলা বর্ণ নয়, বরং যে কোনও মাতৃভাষার হরফকেই আমার পোশাকে ঠাঁই দিয়েছি। বাংলা, অসমীয়া, ককবরক, মণিপুরি, হিন্দি নানা ভাষার আধিপত্য রয়েছে পোশাকে।’ সেই মতোই শাড়ি, ব্লাউজ ও ব্যাগে ফুটে উঠেছে নানা হরফের খেলা। নিজে হরফের নকশা এঁকে তা তাঁতিদের দিয়ে ব্লক প্রিন্ট করিয়ে শাড়িতে ছাপানোর কাজ বছর চারেক ধরেই করে আসছেন গৌরী সাহা। নকশা আঁকা থেকে পোশাক তৈরি সারতে প্রায় দিন ৮-১০ সময় লাগে। ২০০০-৩০০০ টাকা বাজেট হলেই পাবেন এমন পোশাক ও ব্যাগ। অর্ডার করতে পারেন নক্স-এর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম পেজ ও www.nakshthelabel.com-এ। যোগাযোগ: ইরানি মিত্র, ৯৮৩০৫৯১৯৭৩,
নক্স দ্য লেবেল, ৯৯২০২৪০৩৯৯