Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেই যে যেখানে মগজ ধোলাই কক্ষে সমস্ত জনগণের প্রতিনিধি হয়ে গুপি হীরক রাজার দিকে আঙুল তুলে বলছেন, ‘রাজা দুষ্টু, রাজা মন্দ, রাজা ধূর্ত, রাজা ভণ্ড, রাজা নীচ, রাজা ক্রূর, রাজা খল... রাজা আনে দেশে ঘোর অমঙ্গল। রাজা ধিক, রাজা ধিক। ...এইবার রাজা শোনো, জেনো নিস্তার নেই কোনও।’ তারপরই উদয়ন পণ্ডিত নতুন প্রজন্মের হাত ধরে হুঁশিয়ারি দেয়, ‘নাই কোনও পরিত্রাণ, হীরকের রাজা শয়তান।’ এর পরের দৃশ্যে দেখা যায়, সকলে মূর্তির মাঠে ছুটে যায়। সেখানে হীরক রাজার বর্ষপূর্তি উৎসবে তার বিশাল মূর্তির উন্মোচন হওয়ার কথা। উদয়ন পণ্ডিত সমস্ত মানুষকে একমন্ত্রে জাগিয়ে দিয়ে হাঁক দেয়, ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান।’ সেখানে একসঙ্গে হাত মেলায় দেশের কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, ছাত্র, অমাত্য, এমনকী রাজা নিজেও। নতুন মন্ত্রে এক গণজাগরণ! 
কী অসাধারণ সাযুজ্য বর্তমান সময়ের সঙ্গে! মোদি সরকারের দশম বর্ষ পূর্তির প্রাক্কালে সারা দেশের মানুষের মধ্যে যে গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষা চলছে, সেখানে নিঃশব্দে আমরা এই গণজাগরণের পদধ্বনিই যেন শুনতে পাচ্ছি। তাই এবারের নির্বাচনে ট্যাগলাইন হতে পারে, ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান।’ যে কোনও যুগে বা যে কোনও দেশে স্বৈরাচারী শাসকরা মানুষের মঙ্গল করতে পারেন না। এটা ইতিহাসে বারবার প্রতিষ্ঠিত। সোনার দেশ গড়তে গিয়ে মানুষ যে বড় দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দিয়েছিলেন, তিনি তা পালন করতে পারেননি। উল্টে দশ বছরে দেশের নানা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, চাকরি, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, গণতন্ত্র, সংবিধান সব লাটে তুলে দিয়ে তিনি হিন্দুত্বের জপমালা জপছেন। একনায়কতন্ত্র মানসিকতা নিয়ে বিরোধী রাজনীতিকে ধ্বংস করার খেলা খেলছেন। আর সর্বত্র অসত্য প্রচার করে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করে চলেছেন। 
দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। বিজ্ঞানকে ধ্বংস করে বৈদিক শিক্ষা চালুর চেষ্টা চলছে। সংবিধানকে ধ্বংস করে মনু সমাজের দিকে দেশকে নিয়ে যাওয়া চোরা চেষ্টা চলছে। ভুলে ভরা ইতিহাস ও বিজ্ঞান শিখিয়ে দেশের নতুন প্রজন্মকে বিপথগামী করার চেষ্টা চলছে। তাদের মনে বিষ সঞ্চারের চেষ্টা হচ্ছে। পাশ করার পর কোনও দিশা নেই! ধনীর ছেলেরা, নেতাদের সন্তানরা বিদেশ চলে যাবেন। আর আম জনতার সন্তানরা চাকরি না পেয়ে ‘হিন্দু-মুসলমান’ নিয়ে ঠেসাঠেসি করবে! ওদের মনে আর কত বিষবাষ্প ঢুকবে! একটা সময় ফ্যাসিজম, নাৎসিজমের ভয়ঙ্কর চেহারা আমরা দেখেছি। এখন দেখছি ‘মোদিজম’! ভয়াবহ সেই মতবাদ গত দশ বছর ধরে দেশটাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। দশ বছরই বা বলি কেন, ২০০২ সালের গোধরা কাণ্ড থেকেই সেই ইজমের বহিঃপ্রকাশ। আজ তা গোটা দেশকে গ্রাস করতে চলেছে।
কী পাওয়া গেল এই দশ বছরে? চাকরিহীন যুবক, উপার্জনহীন যৌবন, চাকরিচ্যূত মধ্যবিত্ত, অন্নহীন নিচুতলার মানুষ, লাঞ্ছিত নারী, স্বপ্নহীন ভারত, বিষাক্ত আবহাওয়া, পরস্পরের প্রতি ঘৃণা। আরও আছে! যে প্রবীণ মানুষটি তাঁর চাকরি জীবনের সঞ্চয়টুকু ব্যাঙ্কে রেখে জীবনযাপন করতেন, তাঁর সমকালও এই সরকার নরক করে দিয়েছে। একদিকে ব্যাঙ্কের সুদ কমিয়ে তাঁকে আর্থিক দুর্দশার দিকে ঠেলে দিয়েছে, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে রেকর্ড জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। নিজেদের তহবিলে মোটা টাকার ভেট নিয়ে ওষুধের দেদার কালোবাজারি করতে সরকারি সিলমোহর মেরে দিয়েছে। হিটলার বলতেন, মানুষকে এমন নিষ্পেষণের মধ্যে রাখবে, যাতে একটু শ্বাস নিতে পারলে তার মনে হয়, এই তো বেশ ভালো আছি। অন্তত আগের থেকে তো ভালো।  তাই যখন গ্যাসের দাম চারশো টাকা বাড়িয়ে একশো টাকা কমানো হয়, আমরা বলি, দেখেছো, কী ভালো ব্যবস্থা! জ্বালানি তেলের দাম পঞ্চাশ টাকা বাড়িয়ে দু’ টাকা কমানো হলে আমাদের মনে হয়, এই তো রাজামশাই কত বড় প্রজাহিতৈষী! আবার যখন সোনার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গিয়ে সাতশো টাকা কমে যায়, তখন অনেকেই বলেন, যাক বাবা, বিয়ের মরশুমে একটু সুবিধা হল। জুমলাতন্ত্রের মোহতে আবিষ্ট হলে যুক্তিজ্ঞান হারিয়ে যায়। আর এই যে ‘চান্দা দো ধান্ধা লো’ থিয়োরি, এটা হিটলারও চালু করেছিলেন। হিটলারের তহবিলে মোটা চাঁদা দিয়ে বেশ কিছু কোম্পানি তাঁর আশীর্বাদ পেতে চেয়েছিলেন। যেমন বিএমডব্লু, ডয়েশ ব্যাঙ্ক, ফক্সওয়াগন, মার্সেডিজ বেঞ্চ, পোর্সা প্রভৃতি। সেই ট্র্যাডিশন আজও চলে আসছে। 
এই মুহূর্তের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে কোনও ধর্মগোষ্ঠী নয়, কোনও সম্প্রদায় নয়, কোনও জাতপাতের অঙ্ক নয়, এবার দেশে সরকার গড়বে মহিলা এবং যুবশক্তি। তাঁরাই এই সরকারের আমলে সবথেকে বঞ্চিত শ্রেণি। যুবকদের কথা ধরা যাক। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বা  সিএমআইই’র একটা হিসাবে দেখা গিয়েছে এদেশের ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে কাজ করার বয়স রয়েছে ১১০ কোটি মানুষের। এদের বলা হয় ওয়ার্কিং এজ গ্রুপ। এই সংখ্যার মধ্যে ৬৮ কোটি মানুষ বেকার। বাকিদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষের যা আয়, তাতে দু’বেলা পেট ভরে না। ওই হিসাবেই দেখা যাচ্ছে, গত আট বছরে অর্থাৎ মোদি জমানায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। অর্থাৎ যিনি বছরে দু’কোটি চাকরি দেওয়ার ধাপ্পা দিয়েছিলেন, তিনি বাস্তবে গড়ে বছরে এক কোটি মানুষের চাকরি খেয়ে নিয়েছেন। তার ফল যে কী মারাত্মক, তা শুনলে বুক কেঁপে উঠবে। প্রতি বছর শত শত অবসাদগ্রস্ত যুবক আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন। মোদির মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই সংসদে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন যে, দেশে ৯ হাজারেরও বেশি যুবক চাকরি না পেয়ে অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। মোদির ব্যর্থতা একটা প্রজন্মকে ক্রমেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই বেরোজগারি চিত্রই যেন নিরুচ্চারে বলে ওঠে, ‘রাজা ধিক, রাজা ধিক।’ তাই এখনই তো তাই দড়ি ধরে টান মারার সময়। নাহলে আরও বড় মূল্য দিতে হবে দেশের মানুষকে।  
মহিলাদের কথা ভাবুন। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি এত কাঁদছে, কিন্তু প্রদীপের নীচে অন্ধকারে কতটা ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তা বোঝা যায়নি! পরে কী দেখা গেল? অভিযোগ উঠল, গরিব মহিলাদের হাতে দু’হাজার টাকা গুঁজে দিয়ে তাঁদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে ‘ধর্ষিতা’ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। অভিযোগ করছেন কারা? যাঁদের নিয়ে বিজেপি নোংরা খেলা খেলতে চেয়েছিল। এটা যে নারীজাতির প্রতি কতটা অপমান, তা ক্ষমতালোভীরা বুঝবেন না। শকুনির পাশা খেলায় সন্দেশখলির নারীরা যেন বিজেপির পাশার দান। অথচ  নরেন্দ্র মোদির মুখে মণিপুরের নাম নেই। মণিপুরের চিত্রাঙ্গদারা কীভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন, সারা বিশ্বের মানুষ দেখেছেন। যে সরকার মহিলাদের জন্য কাঁদে, সেই সরকারের অঙ্গুলি হেলনে ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তরা জেলের বাইরে কলার তুলে ঘুরে বেড়ায়। তাদের সরকারের প্রশ্রয়ে ধর্ষিতা মেয়েকে পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়। তাদের বিধায়কই ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে জেল খাটেন। তাদেরই নির্বাচিত রাজ্যপালের গায়ে লেগে যায় শ্লীলতাহানির কলঙ্কের অভিযোগ। আবার তিনিই রক্ষাকবচের জোরে গলা উঁচিয়ে নির্দেশ দেন, তদন্তে সহযোগিতা করা হবে না। 
হাওয়া যে বদলাচ্ছে, মানুষের মনে যে দড়ি ধরে টান মারার একটা ব্যাকুলতা তৈরি হয়েছে, সেটা রাজামশাই নিজেও বুঝেছেন। তাই তাঁকেও বেশ নার্ভাস দেখাচ্ছে। তাই বিভিন্ন মঞ্চে তিনি উল্টোপাল্টা বলছেন। সেসব বলে দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁর পদমর্যাদাকে খাটো করে তুলছেন। এসবই হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকে। বাংলায় এসে কত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বাংলাকে যাঁরা এতদিন ভাতে মারার চেষ্টা করেছেন, বাংলাকে নিয়ে যাঁরা এতদিন ব্যঙ্গ করেছেন, তাঁরাই আজ বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে গলায় গামছা দিয়ে করজোড়ে ভোট ভিক্ষা করছেন। 
দড়ি ধরে টান মারাটা গণতন্ত্রের একটা বড় শক্তি। অবশ্য তার একটা উপযুক্ত সময় থাকে। সেটা মিস করলে তার খেসারত দিতে হয় মানুষকেই। ২০১৯-এর নির্বাচনে পুলওয়ামা কাণ্ডের পর সহানুভূতির ভোটে মোদি জয়ের ডিঙা ভাসিয়েছিলেন। সেই কাণ্ডের কোনও তদন্ত রিপোর্ট আজও পাওয়া যায়নি। প্রমাণ করা যায়নি পাকিস্তানের চক্রান্ত। এভাবে নেপোয় দই মারার ঘটনা এবার ঘটবে না। তাই শেষ পর্বের নির্বাচনী ভাষণে মোদির গলায় বিষণ্ণতার সুর। বিসর্জনের বাদ্যি তিনিও শুনতে পাচ্ছেন কি?  
15th  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
একনজরে
রবিবার পুরুলিয়া শহরে কার্যত জনজোয়ারে ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোড শো চলার মাঝেই কোথাও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট মেয়েকে আদর করলেন, কোথাও আবার বৃদ্ধাকে ...

লোকাল ট্রেনে বিনা টিকিটে সফর করার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। প্রযুক্তির যুগে কাউন্টারের দীর্ঘ লাইন এড়িয়ে মোবাইল কিংবা বিকল্প উপায়ে ট্রেনের টিকিট কাটার সুযোগ রয়েছে। ...

দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার। রবিবার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে এই ঘটনা ঘটে। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। ...

বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এক নার্সকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিলেন। প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু পরে বিয়ের জন্য জোর দিতে থাকেন শালু তিওয়ারি নামে ওই নার্স। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস
১৪৯৮ - ভাস্কো ডা গামা প্রথম ইউরোপীয়, যিনি আজকের দিনে জলপথে ভারতের কালিকট বন্দরে উপস্থিত হন
১৫০৬- ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মৃত্যু
১৬০৯ - শেক্সপিয়ারের সনেট প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডনে। প্রকাশক ছিলেন থমাস থর্প
১৮৫৪ - বিশিষ্ট বাঙালি ব্যবসায়ী,সমাজসেবী ও দানবীর মতিলাল শীলের মৃত্যু
১৮৬৭ - মহারানি ভিক্টোরিয়া আজকের দিনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রয়াল অ্যালবার্ট হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৩২- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের মৃত্যু
১৯৩২ - ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা ‍যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক পাড়ি দেন
১৯৪৭ - বিশিষ্ট কবি প্রবন্ধকার ও শিশুসাহিত্যিক প্যারীমোহন সেনগুপ্তর মৃত্যু
১৯৫২ – প্রাক্তন ক্যামেরুনিয়ান ফুটবলার রজার মিল্লার জন্ম
১৯৭৪ - চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৮৩ - এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম প্রকাশিত হয় সায়েন্স ম্যাগাজিনে
১৯৮৬ - বাংলা ভাষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রতিষ্ঠিত
২০১৯ - বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক অদ্রীশ বর্ধনের মৃত্যু
২০১৯ -  লেখক, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক অদ্রীশ বর্ধনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৩ টাকা ৮৪.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৩ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.২৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম)  
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম)  
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম)  
রূপার বাট (প্রতি কেজি)  
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি)  
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে, ২০২৪। দ্বাদশী ২২/৩৩ দিবা ৩/৫৯। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৪/৫৮/২৩, সূর্যাস্ত ৬/৭/৫৩। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৯ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩২ গতে ৪/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।   
৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে, ২০২৪। দ্বাদশী দিবা ৩/১৭। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০ গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩০ গতে ৪/১২ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৩ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।
১১ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় কোন রাজ্যে কত শতাংশ ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় আজ, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ৭টি কেন্দ্র সহ ...বিশদ

08:22:49 PM

শ্রীরামপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
ভরসন্ধ্যায় শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুর এলাকার একটি স্টকহাউসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। ...বিশদ

07:56:49 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(পঞ্চম দফা): বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোন রাজ্যে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণপর্ব চলছে। আজ, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ৭টি ...বিশদ

06:30:00 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(পঞ্চম দফা): বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কোথায় কত ভোট
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণপর্ব চলছে। গোটা দেশের একাধিক রাজ্যের ...বিশদ

06:20:00 PM

কল্যাণীর গয়েশপুরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের উপর কেন্দ্রীয়বাহিনীর বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ

05:35:00 PM

মোদি আপনাদের উন্নয়নে দিন-রাত কাজ করে: মোদি

04:57:00 PM