সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
ভগিনী নিবেদিতা ‘স্বামীজীকে যেরূপ দেখিয়াছি’ গ্রন্থে একটি অতি মূল্যবান কথা বলেছেন: “স্বামী বিবেকানন্দ ব্যতীত রামকৃষ্ণ সঙ্ঘ যেরূপ নিরর্থক হইত, সেইরূপই তাঁহার রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের ভ্রাতৃগণ তাঁহার অনুগামী না হইলে বিবেকানন্দের জীবন ও কর্ম অসার্থক হইয়া যাইত।” স্বামীজী তাঁর দিকপাল গুরুভাইদের শক্তিমত্তায় নিঃসন্দিহান ছিলেন বলে মন্তব্য করেন: বড়ো গাছের ছায়ার শিশু চারাগাছ বাড়তে পারে না। একটু তলিয়ে দেখলে বোঝা যায় এক্ষেত্রে চারাগাছগুলি বর্ধিত হয়েছিল ভালোভাবেই, কিন্তু জগৎ তখনও সেদিকে তাকানোর অবকাশ পায়নি। ১৯০২ সালের ৪ জুলাই স্বামীজীর অকাল মহাপ্রয়াণের পর তাই সন্দেহ ওঠে রামকৃষ্ণ মঠের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। তা আরও প্রবল আকার ধারণ করে, যখন পক্ষকালের মধ্যেই ভগিনী নিবেদিতা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের সঙ্গে লিখিতভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। কালের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বিস্ময় জাগে, যে সঙ্ঘ সূচনালগ্নেই জনমানসে তার স্থায়িত্বের ঠিকানা প্রায় হারাতে বসেছিল, সেই সঙ্ঘেরই কী বিপুল বিস্তার পরবর্তী একশো বছরে! দ্রুত না হলেও ধীরে ধীরে সঙ্ঘের এই ক্রমবিস্তারের পিছনে যেমন রয়েছে স্বামীজী ও তাঁর গুরুভাইদের অবদান, তেমনই উল্লেখযোগ্য এর প্রথমপর্বে স্বামী ব্রহ্মানন্দের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব। ঈশ্বরকোটিরূপে চিহ্নিত স্বামী ব্রহ্মানন্দ ছিলেন জগন্মাতা কর্তৃক নির্দিষ্ট শ্রীরামকৃষ্ণের ত্যাগী মানসপুত্র, তাঁর প্রভূত অধ্যাত্মসম্পদের উত্তরাধিকারী। শ্রীরামকৃষ্ণসান্নিধ্যে তিনি যখন এসেছিলেন তখন ত্যাগী সন্তানদের অনেকেই এসে পৌঁছাননি।