গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
মাতা রামো মৎপিতা রামচন্দ্রঃ/ স্বামী রামো মৎসখো রামচন্দ্রঃ।
সর্ব্বস্বং মে রামচন্দ্রো দয়ালু-/ র্নান্যং জানে নৈব জানে ন জানে।।
আহা! বড় মধুর এই স্তবটি। বল বল, কবে আমার নিশ্চয় ধারণা হবে, মাতা পিতা, স্বামী সখা সর্ব্বস্ব আমার রাম ছাড়া আর কিছু নেই। আমার রাম অসুর সংহার করবার জন্য বার-বার নরাকারে সংসারে আসেন, আবার আমার রামের শরীরেই চতুর্দ্দশ ভুবন শোভা পায়। অনন্তকোটি ব্রহ্মাণ্ডের অধিষ্ঠান চৈতন্যরূপে তুমিই বিরাজ কচ্ছ। সব সেজে তুমিই আছ। এত বড় সত্য কথাটা ভুলে গিয়ে মন তোমায় না দেখে—মানুষ, গরু, ছাগল, গাছ, পাতা, লতা সব দেখে। মনের মত এত বড় বোকা আর নেই। যা সত্য তা দেখবে না—দেখবে কি না ছাই, রাই। জন্ম জন্মান্তর ধরে কত কি সাজ পোষাক পরে সংসারে আসবে, আর হাহাকার করবে।
যাক্, মনের কথা ছেড়ে দিই। আচ্ছা, একি বল দেখি—
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই/ চিরদিন কেন পাই না?
কেন মেঘ আসে হৃদয় আকাশে/ তোমারে দেখিতে দেয় না?
বল, মাঝে মাঝে তোমার দেখা পাই, কেন চিরদিন পাই না? তার কারণ কি? আমি তো সেই থাকি, কি গুণে মাঝে মাঝে দেখা দাও, আর কি দোষে অন্তর্হিত হয়ে পড়ো? কত সাধাসাধি করি, একবার উঁকিও মার না। হৃদয়টা শুকিয়ে যায়, চোখে একবিন্দুও জল আসে না। সে কি যাতনা? সে যাতনা যে কি তা তুমি বোঝ না। যদি বুঝতে, তা হলে এমন করে লুকিয়ে পড়তে না, এরূপভাবে সব কেড়ে নিয়ে মজা দেখতে না। তুমি যখন দূরে যাও, তখন কি দারুণ অতৃপ্তি। কিছু ভাল লাগে না, লাগাতে পারি না। বড় বড় ভাবের কথা, কোথায় কি হয়ে যায়। একটু স্পর্শও পাই না। তোমার এ ব্যবহার বুকে বড় বাজে। তথাপি ভাবি আহা! এ বেদনা বাঞ্ছিত বেদনা। তুমি আস্ছ না, তুমি স্পর্শ করছ না, তুমি কথা কচ্ছ না, এর জন্য প্রাণের যাতনা। মনে হয় এ যাতনাও মধুর। এ জন্ম-জন্মান্তরের সাধনার ফল। তোমার অসীম কৃপা।‘