গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
তোমাদের সঙ্গে এক মিনিট। জানি তোমাদের হাতে অনেক কাজ, একদম সময় নেই। তবুও এক মিনিট দাঁড়িয়ে আমার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর যদি দিয়ে যেতে!
আমার প্রশ্ন: ১। বাড়ি, স্কুল, কাজের জায়গা, তোমার শহর, গোটা পৃথিবী—অনেক কিছুর জন্য তুমি সময় দাও। কিন্তু একবারও ভেবেছ কি, তোমার নিজের জন্য কতটা সময় রেখেছ? ২। জান তো, এই পৃথিবীটা একটা রঙ্গমঞ্চ, আর জীবন আদতে পুরোটাই একটা নাটক। এই নাটকে বাবা, মা, ছেলে, মেয়ে, ভাই, বোন, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিল্পপতি, চাকুরে—এই যেকোনও একটা রূপে সবসময়ই আমরা অভিনয় করে যাচ্ছি। কিন্তু, এই চেহারাগুলির বাইরেও যে তোমার বা আমার একটা আলাদা সত্তা আছে তার কথা আলাদা করে কি কখনও ভেবেছ? ৩। পড়শোনা, কাজ, কর্তব্য তো আছেই—প্রতিমুহূর্তে জীবনের লক্ষ্যপথে তুমি দৌড়ে চলেছ। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ কি—আমাদের কে চালাচ্ছে? জীবন কি আমাদের চালাচ্ছে? নাকি আমরাই জীবনকে চালাচ্ছি? শুধু বেঁচে থাকা আর বাঁচার মতো বাঁচা—এই দুটোর পার্থক্য কি কখনও আলাদা করে চিন্তা করেছ? আচ্ছা, এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার মধ্যেই কি জীবনের সার্থকতা লুকিয়ে নেই? আর সত্যি কথা বলতে গেলে, তাতে অনেক ভাবনারও অবসান হয়ে যায়। হ্যাঁ, তুমি যদি জীবনের কিছু ‘প্রাথমিক’ বা মৌলিক সত্য বুঝে নাও তবে এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবে।
কারণ, ১। তুমি যা জানছ বা যা পড়ছ, সেই জ্ঞাত বা অধীত বিষয়ের সঙ্গে তোমার জীবনের যোগ খুঁজে নেওয়াই তো বুদ্ধিমত্তা। ২। আগেকার দিনে সহজসরল জীবনযাত্রার সঙ্গে উচ্চ চিন্তাও ছিল। আজ যেন উল্টোটা—জীবনযাত্রায় লোক-দেখানো চাকচিক্যের ঘটা কিন্তু ভাবনায় চিন্তায় উদারতার অভাব—সংকীর্ণতা। ৩। শিক্ষা হওয়া উচিত জীবনের জন্য কিন্তু এখন তার বদলে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে পেশাভিত্তিক শিক্ষা এসে পড়েছে। তাই মানুষের জাগতিক উন্নতি আর ঐহিক প্রাপ্তিটাই শুধু সমাজে স্বীকৃতি পাচ্ছে। মানুষের নৈতিক জীবন, তার উচ্চচিন্তা বা তার চরিত্রের দৃঢ়তাকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। ৪। এ যেন অনেকটা জীবনের ভিত তৈরি করার আগেই আমরা দোতলা-তিনতলা গাঁথতে চলেছি।
সমাধান
আজকের এই সমস্যার সমাধান কোথায়?
জ্ঞানীরা বলে থাকেন, ‘আমাদের জীবন হবে সরল, সঙ্গে থাকবে উচ্চ চিন্তা’। কিন্তু শুধুমাত্র সহজসরল জীবনযাত্রা কি আজ আমাদের তৃপ্তি দেয়? অথবা পরিবারের বা সমাজের যারা আমাদের ওপর নির্ভর করে আছে তারাও কি এতে আনন্দ পাবে? আচ্ছা, দেখি তো, সহজসরল অথচ উচ্চচিন্তাসম্পন্ন কোনও মানুষকে আমরা আমাদের আজকের জীবনের জন্য রোল মডেল হিসেবে পেতে পারি কি না?
উত্তর—হ্যাঁ, পেতে পারি। সারা পৃথিবীর বিশেষ করে ভারতবর্ষের ইতিহাসে এইরকম অনেক আদর্শ ব্যক্তি ছিলেন।