মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
বিজেপির পোস্টারে বিজেপির মুখ হিসেবে রাখা হয়েছিল শুধুমাত্র মোদিকে। কিন্তু, ভোটের সমস্ত কাজের দায়িত্বে ছিলেন অমিত শাহ। তিনি শহরে মোট ৫২টি রোড শো করেছিলেন। বিজেপি গত এক মাসের বেশি সময়ে ৬,৫৭৭টি প্রকাশ্য সভা করেছে। শাহিনবাগ ও সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ বিজেপির প্রচারে ঢুকে পড়েছিল জানুয়ারি মাস থেকে। প্রায় ৩০টি ভাষণে অমিত শাহ বলেছেন, ইভিএমের পদ্ম বোতামে এত জোরে চাপ দিতে যে তার থেকে কারেন্ট গিয়ে শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের যেন হঠিয়ে দিতে পারে। একইরকম বার্তা এসেছে অন্যদের কাছ থেকেও। অনুরাগ ঠাকুর স্লোগান দিয়েছেন, দেশকে গদ্দারো কো, জনতা আওয়াজ তুলেছে গোলি মারো শালো কো। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিক্ষোভকারীদের বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছেন। ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট এসব কথা কোনও সাড়া ফেলেনি। অমিত শাহ নিজেকেই বাজি রেখে অবতীর্ণ হয়েছিলেন দিল্লি ভোটে। বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ার পর যখন প্রকাশ্যে এলেন, হার কবুল করে জানালেন, দিল্লি ভোট মূল্যায়নে তাঁর ‘ভুল’ হয়েছিল। ‘চাণক্য’ তকমাও আর চান না তিনি। একইসঙ্গে স্বীকার করলেন, ‘দেশকে গদ্দারকো, গোলি মারো শালো কো’ বা ‘দিল্লি ভোট ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ’—বিজেপি নেতাদের এ ধরনের মন্তব্যের জন্যও ভোটে খেসারত দিতে হয়ে থাকতে পারে। এ সব বলা ‘উচিত’ হয়নি।
এ বছরের শেষে বিহার ভোট। সামনের বছর ভোট পশ্চিমবঙ্গে। প্রশ্ন হল, দিল্লির ‘শিক্ষা’ কি রাজ্য বিজেপি নেবে? দিল্লি ভোটের প্রচারে বার বার মেরুকরণের তাস খেললেও তা কাজে আসেনি বিজেপির। একথা অজানা নয় বঙ্গ বিজেপির। তবুও কুকথা বলে বিতর্কে জড়ানোর ধারা অব্যাহত রেখেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। মমতার উন্নয়নের প্রচারের বিরুদ্ধে বঙ্গ বিজেপির মেরুকরণের তাসও যে উড়ে যাবে তা উপনির্বাচনেই টের পাওয়া গিয়েছে। সেই পথে এগলে দিল্লির মতোই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভরাডুবি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা!