বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
মাস কয়েকের ব্যবধানে লোকসভার ভোটে বিজেপি-কংগ্রেস দ্বৈরথ জমে উঠেছিল কৃষকদের সুরাহা দেওয়ার প্রতিযোগিতায়। বলা বাহুল্য, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির কৃষকপ্রীতি রাহুল গান্ধীর কৃষকপ্রীতির অধিক বিশ্বাসযোগ্য বলে দেশ মনে করেছে। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতাসীন হয়েই মোদির সরকার কৃষকদের জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে—ধানসহ অনেকগুলি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। ওইসঙ্গে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বেঁধে দিতেও পদক্ষেপ করেছে সরকার। বুধবার এই মর্মে বিল পেশ করা হয়েছে সংসদে। সরকারের এই তৎপর উদ্যোগটি প্রশংসার দাবি রাখে। বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিরক্ষার সূচনা হিসেবেও দেখা যেতে পারে এটাকে। প্রতিটি ভোট রাজনৈতিক দলগুলির কাছে একটি শীতকালের মতো। একটা মাঘ কোনোক্রমে পার করে দিতে পারলেই স্বস্তি মেলে না। যেমন এবছরের শেষের দিকে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিধানসভার ভোট। বড় রাজ্যগুলির মধ্যে আগামী বছর ভোট নেওয়ার কথা বিহারে। আমরা জানি, এই রাজ্যগুলির কৃষিনির্ভরতা কতখানি।
লোকসভার সাফল্য ধরে রাখার জন্যও মোদি সরকারকে কৃষককল্যাণে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হচ্ছে। সেটা ভালো। তবে, এই প্রসঙ্গে বলতে হচ্ছে যে এই উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। কারণ বীজ সার কীটনাশক ডিজেল বিদ্যুৎ এবং অন্যসকল কৃষিউপকরণের দাম ঊর্ধ্বমুখী। অধিকাংশ কৃষক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কঋণের সুবিধা পায় না। মহাজনী সুদ গুনতে গুনতেই তারা ফতুর হয়ে যাচ্ছে। তার উপর একদিকে বৃষ্টির অনিশ্চয়তা, অন্যদিকে বন্যা ঝড় শিলাবৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কোপ থেকেও রক্ষা পাওয়ার উপায় সব কৃষকের নাগালে নেই। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বেঁধে দেওয়ার সময় এই কথাগুলি আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। তা নাহলে কৃষককল্যাণ গালভরা স্লোগানের অতিরিক্ত হয়ে উঠবে না। আটকানো যাবে না কৃষকের আত্মহত্যার মিছিল। কৃষির সঙ্কট অন্যসকল জীবিকার উপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলবে। গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ বেকারত্বের যে কলঙ্ক দেশ এখন বইছে তা থেকে মুক্তির স্বপ্নও অধরা রয়ে যাবে।