বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বিপুল জনাদেশ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। মোদি সরকার বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবে সেটাই প্রত্যাশিত। যদিও, কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার জানিয়েছেন, সারা দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন সময়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। হয়েছে প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম, মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম ইত্যাদি। সে না হয় হল, কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ২০১৮ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট অফ এক্সপেন্ডিচার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে শূন্যপদের যে খতিয়ান পেশ করেছেন তা যথেষ্ট হতাশাজনক। ওই তথ্যে জানা গিয়েছে, সারা দেশে সরকারি ক্ষেত্রে মোট অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৩৮ লক্ষ ২৭৫৯টি। মোট অনুমোদিত পদের মধ্যে ৩১ লক্ষ ১৮৯৫৬টি পদে কর্মী আছেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে শূন্যপদের সংখ্যা মোট ৬ লক্ষ ৮৩৮২৩টি । বলা বাহুল্য, ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে নিঃসন্দেহে আরও কিছু পদ শূন্য হয়েছে। সরকার যদি ওই শূন্যপদগুলিতে কর্মী নিয়োগ করত তাহলে নিঃসন্দেহে দেশের প্রায় ৭ লক্ষ বেকারের মুখে হাসি ফুটত। লাভবান হতো সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলি।
এ প্রসঙ্গে আরও একটি বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দেওয়া দরকার। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোদি সরকার দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্ব দিতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়বৃদ্ধিও ঘটিয়েছে। বিরোধীরা রাফাল ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে যতই শোরগোল তুলুক না কেন, সরকার দেশের স্বার্থের প্রসঙ্গ তুলে তাতে কর্ণপাত করেনি। অবাক লাগে, এই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেই শূন্যপদের সংখ্যা মোট ১ লক্ষ ৮৭০৫৪টি। রেলও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। সেই রেলেই শূন্যপদের সংখ্যা আড়াই লক্ষেরও বেশি। তুলনামূলকভাবে অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে শূন্যপদ রয়েছে মাত্র ৭২৩৬৫টি এবং শ্রমমন্ত্রকে শূন্যপদের সংখ্যা ২২৬৬টি। যা-ই হোক, ভয়াবহ বেকার সমস্যার কারণে দেশের মানুষের রাতের ঘুম যখন ছুটে যাচ্ছে তখন দেশের সরকারের অন্যতম কাজ হল কর্মসংস্থানের লক্ষ্যপূরণের কাজটিতে অগ্রাধিকার দেওয়া। তাই, সবার আগে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে যেসব পদ শূন্য আছে তা পূরণের অবিলম্বে ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক আশা-ভরসা নিয়ে দেশের মানুষ মোদি সরকারকে মসনদে বসিয়েছে। বেকারদের কর্মসংস্থানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে আশা করা যায় কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মানুষের সেই চাহিদা পূরণের কাজে অগ্রণী হবে।