সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ সাহা বলেন, চা বাগানগুলিতে প্রায় ১২ লক্ষ শ্রমিক কাজ করেন। অথচ বাগানগুলিতে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা তেমন ভালো নয়। এখানে যে শ্রমিকরা কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও নেই অনেকেরই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নগদে মজুরি মেটানো ছাড়া উপায় থাকে না। চা বাগানে ব্যাঙ্ক পরিকাঠামো না থাকার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকেও জানানো হয়েছে। এরপর নগদে মজুরি মেটানোর জন্য ব্যাঙ্ক থেকে বছরে এক কোটি টাকার বেশি তুললে এবং তার জন্য সরকার টিডিএস কেটে নিলে, ব্যবসায় নগদ জোগানের সমস্যা হবে। চা শিল্পে তা বোঝা হয়ে দাঁড়াবে, এমনটাই আশঙ্কা শিল্পের। এই শিল্পকে যাতে ওই নিয়মের বাইরে রাখা যায়, তার জন্য আবেদন করেছে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, যতক্ষণ না চা শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই নিয়ম মুলতবি রাখুক কেন্দ্র।
বাজেট প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে যে শ্রম আইনগুলি আছে, সেগুলির সরলীকরণ করতে চারটি শ্রম বিধি তৈরি করা হবে। মজুরি বিধি’র ক্ষেত্রে যাতে চা বাগানগুলিকে বিবেচনা করা হয়, তারও দাবি জানিয়েছে ওই সর্বভারতীয় সংগঠন। তাদের বক্তব্য, চা বাগানে শ্রমিকদের যে মজুরি দেওয়া হয়, সেখানে নগদের পাশাপাশি থাকে হাউজিং, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুবিধা, জ্বালানি, পড়াশোনার খরচ, জল সরবরাহ প্রভৃতি সুবিধা। মজুরি বিধিতে গোটা দেশে ন্যূনতম মজুরি চালু করার বিষয়ে এগবে সরকার। সেক্ষেত্রে চা শিল্পের মজুরির ওই কাঠামোকেও যাতে বিবেচনা করা হয়, তার জন্য আবেদন জানিয়েছে চা শিল্প। পাশাপাশি সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পে জোর দেওয়ার কথা বাজেটে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে চা বাগানগুলির শ্রমিকদের জন্যও যাতে পদক্ষেপ করা হয়, তার জন্য কেন্দ্রকে আবেদন জানিয়েছে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন।