ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
প্রাক্তন চেলসি ফুটবলার ইডেন হ্যাজার্ড কেন আপনার প্রিয় ফুটবলার? এবার কলকাতা ডার্বির আগে নাওরেমের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছিলাম। উত্তরে নাওরেম বললেন, ‘হ্যাজার্ডের ক্রিয়েটিভিটি, স্পিড, ড্রিবলিং ও পাসিং যত দেখি ততই মুগ্ধ হই। ওঁকে অনুকরণ করার চেষ্টা করি।’
মণিপুরের ওয়াবাগাইতে জন্ম নাওরেমের। তাঁর প্রতিবেশী প্রাক্তন ভারতীয় মিডফিল্ডার রেনেডি সিং। তবুও রেনেডি’র বাড়ি নাওরেমের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে। রেনেডিকে খুব কাছ থেকে দেখে বড় হয়েছেন নাওরেম। সেটপিসে রেনেডি একদা ভারতসেরা ফুটবলার ছিলেন। ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে প্রাক্তন এই টিএফএ’র ক্যাডেটই নাওরেমের কাছে আদর্শ ফুটবলার। কিন্তু রেনেডির মতো সেটপিসে দক্ষতা এখনও তৈরি হয়নি নাওরেমের। কিন্তু স্পিড, এজিলিটি, ড্রিবলিং, পাসিংয়ে কোচ কিবু ভিকুনার মন জয় করে নিয়ে নিয়েছেন নাওরেম। ২০১৭ সালের আই লিগে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হয়ে লাজংয়ের বিরুদ্ধে পাঁচজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নাওরেমের গোলটি আই লিগের ইতিহাসে প্রথম তিনটি সেরা গোলের মধ্যে থাকবে।
মোহন বাগান অনুশীলনে জুনিয়র ফুটবলারদের মূলত প্র্যাকটিস করান সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরী। তাঁকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন চিফ কোচ কিবু ভিকুনা। রঞ্জন প্রায় প্রতিদিনই জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে রিপোর্ট দেন কিবু ভিকুনাকে। তার ফলে লিগের প্রায় প্রতি ম্যাচে ফুটবলার রোটেড করে খেলাতে সুবিধা হয় সবুজ-মেরুন কোচের। রবিবার জর্জ টেলিগ্রাফকে হারানোর পর স্প্যানিশ কোচ বলছিলেন, ‘আমি রোটেশনে ফুটবলার খেলানোর সুফল পাচ্ছি। নাওরেম, শেখ সাহিলদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।’ জি-বাংলা জুনিয়র ফুটবল থেকে উঠে আসা শুভ ঘোষ, দীপ সাহা, কিয়ান নাসিরিরা মানসিকতায় একটু নমনীয়। ফলে তাঁদের থেকে লড়াকু মানসিকতা বেশি বলে নাওরেম, শেখ সাহিল মোহন বাগান কোচের মননে স্থান করে নিয়েছেন পাকাপাকিভাবে।
গোল করতে পারেন। সঙ্গে গোল করাতেও পারেন। ভারতীয় ফুটবলে এমন ফুটবলার ক্রমেই কমে আসছে। নংডাম্বা নাওরেম এই তালিকায় মুক্ত অক্সিজেন। মোহন বাগানের স্প্যানিশ ব্রিগেডের মাঝেও উজ্জ্বল এই তরুণ ফুটবলার। বুধবার ভোরে শহরে আসছেন মোহন বাগানের ষষ্ঠ বিদেশি ফুটবলার জুলেন কলিনাস ওলাইজোলা। স্প্যানিশ এই অ্যাটাকার উইং দিয়েই খেলতে বেশি স্বচ্ছন্দ। মোহন বাগানে স্প্যানিশ ফুটবলারদের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে চান না নাওরেম। টিকে থাকতে চান স্বকীয় ছন্দে। ডিএসকে শিবাজিয়ান্স ও পরে মিনার্ভা পাঞ্জাব ইউথ টিম থেকে উঠে আসা নাওরেম বলছিলেন, ‘স্প্যানিশ ফুটবলারদের সঙ্গে খেলে একটা সুবিধা পাওয়া যায়। ওরা পাসিং ফুটবলে খুবই দক্ষ।’ অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলা ফুটবলারটি আইএসএলের ক্লাব কেরল ব্লাস্টার্স থেকে লিয়েনে এবছর মোহন বাগানে এসেছেন। মণিপুরে নাওরেম নামটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। নাওরেম শব্দের অর্থ, ব্যতিক্রমী ও প্রতিভাবান। নংডাম্বা নিজের নামের প্রতি সুবিচার করছেন। এটা তিনি কতদিন ধরে রাখতে পারেন সেটাই দেখার।