পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ
বনদপ্তরের রানাঘাটের আধিকারিক গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, অনেক জায়গাতেই আমরা স-মিল বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু অভিযানের পর ফের গোপনে সেগুলি চালু হয়ে যায়। আমরা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেই।
লাইসেন্সবিহীন স-মিল বন্ধ করতে বনদপ্তর বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়েছে। আদালত এবং পরিবেশ আদালতও একাধিকবার চড়া সুরে এই বেআইনি কারবার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরও এই বেআইনি কারবার বহালতবিয়তে চলছে। পরিবেশকর্মীরা জানান, রানাঘাট ও কল্যাণী মহকুমার মধ্যে কমবেশি প্রায় ৪০টি কাঠচেরাই কল চলছে। এনিয়ে নদীয়া-মুর্শিদাবাদ কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির তরফেও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। পরিবেশকর্মীরাও প্রশাসনের নানা মহলে অভিযোগ করেছেন।
রানাঘাটের পরিবেশকর্মী জ্যোতির্ময় সরস্বতী বলেন, আমরা একাধিকবার বিভিন্ন কাঠচেরাই কল নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তারপরেও বেআইনি মিল বন্ধ হয়নি। বেআইনিভাবে গাছ কাটাও বন্ধ হয়নি। প্রশাসনের প্রতিটি লাইসেন্সবিহীন স-মিল চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বনদপ্তর অভিযান চালিয়ে রানাঘাট শহরের উপকণ্ঠে কায়েতপাড়ায় এরকমই একটি স-মিল বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু সেটি ফের চালু হয়ে গিয়েছে। ওই মিল মালিক বলেন, আমি নতুন লাইসেন্স অনুমোদনের জন্য জমা দিয়েছি। যদিও এখনও ছাড়পত্র পাইনি। এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। আমি নিজেই অনেকদিন ধরে বৈধ পথে মিল চালানোর চেষ্টা করছি। আমি আবেদনের সমস্ত কাগজপত্র দেখাতে পারি। নদীয়া-মুর্শিদাবাদ কাষ্ঠ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মলয় মিত্র বলেন, আমরা এই বেআইনি কারবারের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বেআইনি মিল বন্ধ করার জন্য বহু আবেদন জানিয়েছি। এই বেআইনি কারবার বন্ধের চেষ্টা
চলছে। -নিজস্ব চিত্র