পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ
বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল ইন্দ্রানুজের জখম হওয়ার ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীকেই দায়ী করে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। যদিও, অমিতবাবু এই দাবির সঙ্গে সহমত নন। তাঁর বক্তব্য, প্রতিটি পদেরই মর্যাদা থাকা উচিত। তিনি বরং ইন্দ্রানুজ এবং অন্যান্য পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে, সেগুলি তুলে নেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এদিকে, অশান্তি এবং ছাত্রভোটের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে হওয়া মামলাটি বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠতে চলেছে।
এসএফআইকে অবশ্য তুলোধোনাই করে চলেছে তৃণমূল। দলের আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক করে এসএফআইকে কাঠগড়ায় তোলেন। তিনি দাবি করেন, ইন্দ্রানুজের গাড়ি চাপা পড়ার ছবি (স্থিরচিত্র) এসএফআই বিকৃত করে দেখাচ্ছে। কোনও ভিডিও নেই। গাড়ি চাপা পড়লে মাথার এক পাশে এবং চোখে কেন চোট থাকবে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি নেওয়ার পরেও মিথ্যাচার করে চলেছে তারা।
টিএমসিপি সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য স্কটিশ চার্চ কলেজের পোর্টালের একটি ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, ওই তথ্য অনুযায়ী ইন্দ্রানুজ এখনও ওই কলেজের বিএসসি ছাত্র, আবার একইসঙ্গে তিনি যাদবপুরেও পড়াশোনা করছেন! এর ব্যাখ্যা কী, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর উপর আক্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকুরিয়া মধুসূদন মঞ্চ পর্যন্ত মিছিল করে অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা। আজ, বুধবার বিকেল পর্যন্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে ক্যাম্পাসে ঢোকার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে হবে তাঁকে। জখম ছাত্রদের চিকিৎসা এবং আইনি খরচের ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় নেবে, সেই প্রতিশ্রুতিও দিতে হবে। মঙ্গলবার কোনও পড়ুয়াই ক্লাসে হাজিরা দেয়নি। বুধবারও সেই প্রক্রিয়া চলবে।
এদিকে, এদিন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআই অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে জখম করা এবং সাংবাদিকদের ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দেয়। এসএফআই নেতা সবুজ দাসের দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে হামলা চালিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কিল, চড়, ঘুষি মেরেছে টিএমসিপি। রানাঘাটের টিএমসিপি নেতা আকাশ দাসের দাবি, তাঁদের পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ফেরার সময় পড়ুয়াদের উপর আক্রমণ করেছে এসএফআই।
এদিন মেদিনীপুর কলেজে গিয়েছিলেন এসএফআইয়ের অন্যতম শীর্ষনেতা সৃজন ভট্টাচার্য। তাঁদের অনুগামীদের উপর সংঘটিত আক্রমণের অভিযোগ নিয়ে সোমবার অধ্যক্ষের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। মেদিনীপুর শহরে মিছিল করে ডিএসও-সহ একাধিক বামদল। হাওড়াতেও এসএফআইয়ের সদর কার্যালয় থেকে মিছিল বেরয়। হওড়া ময়দানের কাছে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে তারা।