পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ
এদিন সকালে ছেলেকে নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে এসেছিলেন শহর লাগোয়া ৭৩ মোড়ের বাসিন্দা সুমি ধর। বলেন, পথ কুকুরে কামড়ায় ছেলেকে। এদিন ভ্যাকসিন নেওয়ার তারিখ ছিল। সেইমতো সকালেই চলে আসি। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভ্যাকসিন নেই। পরে খোঁজ নিতে হবে। এ ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন ওই মহিলা। তাঁর বক্তব্য, যেদিন ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা, সেদিন যদি না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে সমস্যা হবে কি না বুঝতে পারছি না। এটা তো কোনও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নয়, মেডিক্যাল কলেজ। অথচ সেখানে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক অমিল হয় কীভাবে, বুঝতে পারছি না।
একইভাবে ছেলের জন্য এআরভি না পেয়ে এদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দেন নাজিরপাড়ার বাসিন্দা নিমাইচন্দ্র বর্মন। তিনি বলেন, ছেলেকে কুকুরে আঁচড়ে দেয়। চিকিৎসক ভ্যাকসিন নিতে বলেন। সেইমতো ভ্যাকসিনের দু’টো ডোজ নেওয়া হয়েছে। এদিন তৃতীয় ডোজ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাসপাতালে এসে জানতে পারি, ভ্যাকসিন নেই। বলা হচ্ছে, পরে এসে খোঁজ নিতে হবে। ভ্যাকসিন এলে পাওয়া যাবে। কাজকর্ম ফেলে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কতবার করে হাসপাতালে আসব বুঝতে পারছি না। একই অভিযোগ জলপাইগুড়ির বাসিন্দা দীপক ঘোষের। ছেলেকে বিড়ালে আঁচড়ে দিয়েছে। এদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন। চিকিৎসক দেখে বলে দেন, অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন নিতে হবে। কিন্তু হাসপাতালে যেখান থেকে ওই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ভ্যাকসিন নেই। পরে আসতে হবে। বাইরে থেকে ওই ভ্যাকসিন কিনে দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। কী করব বুঝতে পারছি না।
এই ব্যাপারে মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খাঁ জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে। স্থানীয়ভাবে জোগাড় করে কাজ চালানোর চেষ্টা চলছে। বিষয়টি এদিন স্বাস্থ্যভবনকেও জানানো হয়েছে। আশাকরি, শুক্র-শনিবারের মধ্যে আমরা এআরভি পেয়ে যাব। সুপারের দাবি, অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন যে আমাদের কাছে একেবারে নেই তা নয়। দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু এআরভি জোগাড় করেছি আমরা। কিন্তু যেহেতু ঘাটতি রয়েছে, তাই এই মুহূর্তে সবাইকে ওই ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যাদের খুবই প্রয়োজন, তাদের দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের কয়েকটা দিন ম্যানেজ করে নিতে হবে। এছাড়া কোনও উপায় নেই।