পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, তিন মাস আগে হলদিবাড়ি হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে চলছিল রোগীর ব্লাড প্রেসার মাপা। এবার প্রকাশ্যে এল বাইরের ল্যাবের কর্মী দিয়ে চলছে এক্স-রে পরিষেবা। হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, এমনিতেই গ্রামীণ এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল। তারমধ্যে রাজআমল থেকে হয়ে আসা ময়নাতদন্ত গত একবছর ধরে বন্ধ হলদিবাড়ি হাসপাতালে। এখানে রোগী নিয়ে এলে বেশিরভাগ সময়ই রোগীকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে অভিযোগ।
সোমবার তাঁর মা’কে হাসপাতালে এক্স-রে করাতে নিয়ে এসেছিলেন কমল সরকার। তিনি বলেন, প্রথমে জানতাম ওই ব্যক্তি হাসপাতালেই কর্মী। কিন্তু পরে জানতে পারি বাইরের কোনও ল্যাব থেকে এসেছেন। এটা কী করে হয় বুঝতে পারছি না। আরএক রোগী আশরাফুল হক বলেন, সম্প্রতি বুকে চোট পেয়েছি। চিকিৎসকের পরামর্শে এদিন এক্স-রে করাতে আসি। শুনালাম বাইরে থেকে একজন এসে সংশ্লিষ্ট ইউনিটে এক্স-রে করছেন। এটাও সম্ভব! আমরা চাই, হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করা হোক।
রোগীদের এক্স-রে করা মিলন হক নামে ওই ব্যক্তি বলেন, হাসপাতালের এক্স-রে ইউনিটের কর্মীকে সহাযোগিতা করতে তিনদিন ধরে আসছি। আগে কখনও আসিনি। আমার অন্যায় হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিএমওএইচ ডাঃ সত্যেন্দ্র কুমার বলেন, এটা হতে পারে না। এক্স-রে ইউনিটের দায়িত্বে থাকা কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।