পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ
গ্রামে চিতাবাঘ ঘাঁটি গেড়েছে শুনে এদিন আতঙ্ক ওঠে চরমে। চিতাবাঘের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে হইহই পড়ে যায়। ঠাকুর ঘরে চিতাবাঘের ঢুকে পড়ায় উত্সুক জনতা তরুণবাবুর বাড়িতে ভিড় করেন। বাড়ির মালিক তরুণ রায় বলেন, সকালে গোয়াল ঘরে ছাগল ডাকার শব্দ কানে আসে। ভেবেছিলাম সেখানে শিয়াল ঢুকেছে। কিন্তু, দরজার সামনে গিয়ে দেখি চিতাবাঘ। ভয়ে আতঙ্কে সেখান থেকে দৌড়ে এসে সকলকে ডাকতে শুরু করি। আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। সকলের চিত্কার চেঁচামেচিতে চিতাবাঘটি ভয়ে ঠাকুর ঘরে ঢুকে পড়ে। সেই সময় বাড়ির লোকজন ঠাকুর ঘরের দরজা বাইরের থেকে আটকে দেন। ফলে সেখানেই চিতাবাঘটি আটকে যায়।
চিতাবাঘের আতঙ্কের মধ্যেই খবর পাঠানো হয় বনদপ্তরের পুণ্ডিবাড়ি রেঞ্জে। এরপর পুণ্ডিবাড়ির পাশাপাশি চিলাপাতা ও জলদাপাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা দ্রুত গ্রামে আসে। এরপর থেকে শুরু হয় চিতাবাঘ ধরার অপারেশন। ঠাকুরঘরের চারদিক জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন বনকর্মীরা। এরই মাঝে ঘুমপাড়ানিগুলিতে চিতাবাঘটিকে কাবু করে খাঁচায় ভরা হয়। এরপর চিতাবাঘটিকে তরুণবাবুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে জলদাপাড়ায় নিয়ে যান বনদপ্তরের কর্মীরা। আর তাতেই হাফ ছেড়ে বাঁচেন বাড়ির মালিক ও গ্রামের বাসিন্দারা।
এবিষয়ে কোচবিহারের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেছেন, কোচবিহার-২ ব্লকের পাতলাখাওয়ার সুখধনেরকুঠি এলাকায় একটি চিতাবাঘের ঢুকেছে বলে আমরা খবর পাই। আমাদের পুণ্ডিবাড়ি, চিলাপাতা ও জলদাপাড়া রেঞ্জের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। ঘুমপাড়ানি গুলি করে চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করে চিলাপাতা জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।