পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ
মূলত নদীবাঁধ ভাঙনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে কোনও জেটিঘাট তৈরি করা হয়নি। তাই এবার ঘোড়ামারা দ্বীপের রায়পাড়া এলাকায় জেটিঘাট নির্মাণের দাবি তুললেন এলাকাবাসীরা। কারণ বোল্ডার ফেলার পর থেকে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কোনও ভাঙন হয়নি। এলাকাবাসীদের দাবি, রায়পাড়া এলাকায় জেটিঘাট নির্মাণ করা হলে সেটি স্থায়ী হবে। রোজ এই দ্বীপ থেকে একটি ভুটভুটি কাকদ্বীপে দশবার যাতায়াত করে। প্রতিদিনই এক হাজারের বেশি মানুষ ভুটভুটিতে যাতায়াত করেন। কিন্তু জেটিঘাট না থাকায় তাঁদের বিপজ্জনকভাবে যাতায়াত করতে হয়।
এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বিভূতিভূষণ জানা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর আগে এই এলাকায় একটি জেটিঘাট নির্মাণ করা হয়েছিল। তার আগেও একটি জেটিঘাট ছিল। কিন্তু সেই দুটি ঘাট মুড়িগঙ্গা নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। এখন দ্বীপের মন্দিরতলা এলাকায় ভুটভুটি এসে দাঁড়ায়। যাত্রীদের খুবই কষ্ট করে ওঠানামা করতে হয়। ভাটার সময় আবার কাঠের সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে হয়। রায়পাড়ায় একটি জেটিঘাট নির্মাণ করা হলে খুবই সুবিধা হয়।
এবিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, আমার কাছেও ওই এলাকায় একটি জেটিঘাট তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। আমি শীঘ্রই ওই এলাকা পরিদর্শনে যাব। যদি পরিস্থিতি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বিধায়কের তহবিল থেকে ওই এলাকায় একটি জেটিঘাট নির্মাণ করার ব্যবস্থা করা হবে। -নিজস্ব চিত্র