পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে লেক থানা এলাকায় এক বৃদ্ধার সোনার হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বাইকে করে এসে দুই দুষ্কৃতী হার ছিনিয়ে চম্পট দিয়েছিল। দু’জনের মাথাতেই ছিল হেলমেট। বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে লেক থানা ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাইকের নম্বর হাতে পান তদন্তকারীরা। ওই নম্বরের বাইকের সন্ধান চালাতে গিয়ে জানা যায়, সেটি মহেশতলা থানা এলাকা থেকে চুরি গিয়েছে। ডুপ্লিকেট চাবি ব্যবহার করে বাইকটি হাতিয়েছে দুষ্কৃতীরা। স্বভাবতই ছিনতাইয়ের তদন্তের সঙ্গে জুড়ে যায় বাইক চুরির মামলা। এরপর কলকাতা ও লাগোয়া জেলায় বাইক চুরি চক্রের সদস্যদের খোঁজ শুরু হয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই দুই দুষ্কৃতীর মুখের ছবি হাতে পায় পুলিস। বিভিন্ন থানায় তা দেখানোর পর তদন্তকারীরা জানতে পারেন, অভিযুক্তদের একজন হল ইমরান নাজির, অন্যজন সুরজ সোনকার। তারাই মহেশতলা এলাকা থেকে বাইক চুরি করেছিল। ওই বাইকে করে গিয়েই ছিনতাই করেছিল তারা। এরপর দু’জনকে মহেশতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, তারা কলকাতার বিভিন্ন থানা এলাকা সহ লাগোয়া জেলায় বাইক চুরি করে বেড়াত। চোরাই বাইক ভিন রাজ্যে পাচার করত তারা। বাংলা-বিহারের সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার পর বদল করা হতো বাইকের নম্বর প্লেট। তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতরা আন্তঃরাজ্য বাইক পাচার চক্রের বড় মাথা। চুরির পর বাইকের রং বদলে জাল নম্বর প্লেট লাগাত তারা। ইমরান আবার চোরাই বাইক নিয়েই অ্যাপ নির্ভর সংস্থায় যাত্রী পরিষেবা দিত। যে বাইকে চড়ে তারা ছিনতাই করেছিল, সেটি অ্যাপ-বাইক হিসেবেই ব্যবহার করত সে। এখনও পর্যন্ত কতগুলি বাইক তারা হাতিয়েছে এবং সেগুলি কোথায় রয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।