উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়াইবাড় গ্রামের রতন মাইতির ছেলে রোহিত। রতনবাবু কলকাতায় মিষ্টির দোকানে কাজ করেন। আর প্রতিবেশী পেশায় রাজমিস্ত্রি পূর্ণেন্দু গিরির মেয়ে পিয়ালি গিরি। রোহিত দ্বিতীয় শ্রেণীতে এবং পিয়ালি প্রথম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। একই বয়সি হওয়ায় দু’জনে একসঙ্গে খেলা করত। পড়াশোনা করতে যেত। মঙ্গলবার রাতে রোহিত তার কাকা কার্তিক মাইতির বিয়েতে নিতবর হিসেবে গিয়েছিল। বুধবারই ছিল বউভাত। তাই সকাল থেকে একদিকে রান্না হচ্ছিল। বিয়েবাড়িতে তখন সবাই নানা কাজে ব্যস্ত। হঠাৎই খোঁজ পড়ে রোহিতের। তখন সকাল ১১টা। তারপর খোঁজ পড়ে প্রতিবেশী পিয়ালিরও। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শেষ পর্যন্ত পিয়ালির বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে দু’জনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সকলেই কাজ ফেলে তখন পুকুরের পাশে ভিড় জমিয়েছেন। দু’জনে স্নান করার জন্য পুকুরে নেমেছিল। বউভাত উপলক্ষে সেই সময় পিয়ালির বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা সকলেই রোহিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এদিকে তাদের ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন রোহিত ও পিয়ালির বাড়ির লোকজন থেকে শুরু করে বিয়েবাড়ি উপলক্ষে আসা আত্মীয়¬স্বজন সকলেই।
এদিন দুপুরের দিকে মাইতি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একদিকে রান্না করা সমস্ত তরকারি পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে, দুই শিশুকন্যার শেষকৃত্যের আয়োজন চলছে। পাড়ার মোড়ে মোড়ে জটলা। প্রতিটি জায়গায় পাড়া-প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়স্বজনদের কান্নায় ভেঙে পড়ার ছবি। রোহিত কিংবা পিয়ালির বাবা-মা কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। কান্নাভেজা গলায় রোহিতের জ্যাঠা তপন মাইতি বলেন, রান্নার সময় বাটিতে মাংস নিয়ে পিয়ালির বাড়ির দিকে গিয়েছিল রোহিত। আমরা সকলে যে যার নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তারপর কোনও এক সময় ঘটনাটি ঘটে যায়। এর আগে রোহিত ওই পুকুরে কখনও স্নান করতে যায়নি। কী করে যে ঘটনা ঘটে গেল, তা আমরা বুঝতেই পারছি না।
আত্মীয় তপতী দাস ও প্রতিবেশী গৌরীশঙ্কর মল্লিক বলেন, কী মর্মান্তিক পরিস্থিতি, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। এই ঘটনাটি আমরা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না।