কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্তে মৃত মহিলার বাড়ি কালিম্পং জেলার ওবে রোডে। মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার আগে সাতদিন তিনি কালিম্পং ও শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকায় যাতায়াত করেন। তখন তাঁর শরীরে জ্বর ও কাশি ছিল। সেই সময় তাঁর সংস্পর্শে কতজন এসেছিলেন, তা জানতে শনিবার থেকেই প্রশাসন সক্রিয় হয়ে ওঠে। এদিকে যাঁরা তাঁর সঙ্গে চেন্নাই থেকে বিমানে বাগডোগরা নামেন তাঁদেরও চিহ্নত করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিম্পং, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য, পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা যৌথভাবে ওই অভিযানে নেমেছেন। তিনদিন ধরে তাঁরা অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ জনকে চিহ্নিত করেছেন। এরমধ্যে কালিম্পংয়ের বাসিন্দার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ৬৫ জন। তাঁদের অধিকাংশ মৃত মহিলার প্রতিবেশী। তাঁদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে মৃত মহিলা শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার জ্যোতিনগরে আত্মীয়র বাড়িতে দু’বার এসেছিলেন। সংশ্লিষ্ট এলাকা জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে পড়ে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্যোতিনগরের প্রায় ১৪ জন ওই মহিলার সংস্পর্শে ওই সময়ে এসেছিলেন। তাঁদেরকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এখানে মৃতের আত্মীয়রা ছাড়াও গাড়ি চালক, ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্মী, মুদিখানা দোকানের ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে মৃতের তিন আত্মীয়কে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে থাকা বাসিন্দাদের সোয়াব টেস্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ভক্তিনগর থানার জ্যোতিনগরে এদিন জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়। পুরসভা ও স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা দিনভর ওই এলাকায় স্প্রে করেন। অপরদিকে, সাহুডাঙ্গির শ্মশানে মৃত মহিলার দেহ সৎকার করা নিয়ে আপত্তি তোলেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা শ্মশানঘাটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। যদিও বিকেল ৪টের পর সেখানে মৃতদেহ পোড়ানো হয়।