উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
ব্লকের বাসিন্দারা বলেন, ব্লক অফিসের মধ্যেই রয়েছে এই জিতু মঞ্চ। কোনও সাধারণ আলোচনা সভা এখানে করা যায়, কিন্তু বড় করে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এখানে করা যায় না। তাই নতুন করে এই মঞ্চটিকে সংস্কার করার প্রয়োজন জরুরি হয়ে পড়েছে। ভালো মঞ্চ না থাকায় খালি জায়গায় অনুষ্ঠান করতে অসুবিধা হয়। এক্ষেত্রে মঞ্চ তৈরি ও অন্যান্য আয়োজনের জন্য বিপুল খরচ বহন করতে হয় উদ্যোক্তাদের। জিতু মঞ্চ আধুনিক হলে আর সেই সমস্যা থাকবে না।
হবিবপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রভাস চৌধুরী বলেন, জিতু মঞ্চ বেশ পুরনো হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে এই মঞ্চ দ্বিতল করে, একাধিক পরিষেবা সহ উন্নয়ন করা দরকার। এটি পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে রয়েছে, তাঁদের আমরা বলব এবিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য। পাশাপাশি জেলা পরিষদকেও জানানো হবে। জিতু মঞ্চ আধুনিক হলে হবিবপুরে ভালো একটা কাজ হবে। দলমত নির্বশেষে সবাই খুশিও হবেন।
হবিবপুরের বাসিন্দা জেলা এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক প্ৰদ্যুত বর্মন বলেন, অনেক বছর আগে এই মঞ্চ বাম আমলে তৈরি হয়েছে। এরপরে আর কোনও সংস্কার করা হয়নি। জিতু মঞ্চকে আধুনিক করার চেষ্টা কেউ করেনি। বসার চেয়ারের অবস্থা ভালো নয়। আমাদের দাবি, গোটা হবিবপুরের দিকে তাকিয়ে জিতু মঞ্চকে আধুনিক করা হোক। ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি প্রেমনাথ চৌধুরী বলেন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই মঞ্চ নতুন করে সংস্কারের দাবি থাকবে।
হবিবপুর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিজেপি’র মধুময় সরকার বলেন,আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বলেই ফেলে রাখা হয়েছে। এই মঞ্চ দ্বিতল করা উচিত, আরও আসন বাড়ানো দরকার। এক কথায় এই জিতু মঞ্চকে আমূল সংস্কার করে আধুনিক করা জরুরি।
হবিবপুর ব্লক আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। এখানকার সংস্কৃতি মনস্ক মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে বাম আমলে এই জিতু মঞ্চ তৈরি হয়েছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোনওদিন এই মঞ্চের সংস্কার করা হয়নি। এলাকার মানুষের কথায়, ব্লকের উন্নয়ন একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে এই মঞ্চ সংস্কার করে আধুনিক করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিধানসভা উপনির্বাচন যত এগিয়ে আসছে,ততই এই দাবি জোরালো হচ্ছে।