উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই প্রবল জ্বরের দাপট কাবু করেছিল মালদহকে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেই জ্বরের কারণ ডেঙ্গু বলে জানানো হয়েছিল বেসরকারি বেশ কয়েকটি প্যাথলজি কেন্দ্র থেকে। তবে ডেঙ্গু নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যথাবিহিত এলাইজা পদ্ধতি ওই বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলি অনুসরণ করেনি বলে রিপোর্ট আসে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে। সেই রিপোর্ট রয়েছে রাজ্য সরকারের কাছেও।
সঠিক রিপোর্ট না পাওয়ার ফলে একদিকে যেমন অযথা প্রবল আতঙ্কে ভোগেন রোগী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনরা তেমনই সঠিক চিকিৎসা পরিষেবাও প্রভাবিত হয় বলে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামত আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা। নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি উঠে গেলেই এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি প্যাথলজি সেন্টারগুলির সঙ্গে পুরসভার প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে।
একই সঙ্গে বেশ কিছু ফগিং মেশিনও প্রয়োজনের ভিত্তিতে কেনা হতে পারে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। এর কারণ হিসাবে পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, একটি ওয়ার্ডে ফগিং করার সময় মশার ঝাঁক অনেক সময় লাগোয়া ওয়ার্ডে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেই কারণে একই সঙ্গে পাশাপাশি ওয়ার্ডগুলিতে ফগিং করা প্রয়োজন। ইংলিশবাজার পুরসভার হাতে আপাতত নয়টি ফগিং মেশিন রয়েছে। আরও কয়েকটি কেনার প্রয়োজন হতে পারে।
পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ বলেন, অজানা জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের রাজ্য সরকার ও বিশেষজ্ঞদের নির্ধারিত পদ্ধতি মেনেই রক্ত পরীক্ষা করতে হবে বেসরকারি প্যাথলজি সেন্টারগুলিকে। পাশাপাশি, পুরসভার মাতৃ সদনে বিনামূল্যে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা ফগিং মেশিং কেনার বিষয়টিও বিবেচনা করব।
ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রুখতে রাজ্য সরকারের বিশেষ নির্দেশ এসেছে ইংলিশবাজার পুরসভায়। নিয়মিত সাফাই কর্মী ও পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুন করে তিনজন করে কর্মীও নিয়োগ করছে পুরসভা। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, সাফাই কর্মীদের নিয়ে ১০ মে আমি এবং চেয়ারম্যান বিশেষ বৈঠক করেছি। পুর এলাকার সমস্ত ড্রেনগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এরজন্য তাঁরা অতিরিক্ত ভাতা পাবেন। একই সঙ্গে পুরসভা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জমা জল সরিয়ে ফেলার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন। ডেঙ্গু মরশুমে প্রতি মাসে প্রথম পাঁচ দিন ও শেষ পাঁচদিন এই বিশেষ অভিযান চলবে।
পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনজন করে অতিরিক্ত কর্মী অস্থায়ী ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন এই তিন সদস্যের বিশেষ দলে একজন করে সুপারভাইজার থাকবেন। এই দলের কাজ হবে ওয়ার্ডের কোথাও জল জমছে কি না তা খতিয়ে দেখা। নিয়মিত এই পর্যবেক্ষণ চলবে। জমা জল দেখা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সদস্যদের প্রত্যেককে মাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। ডেঙ্গু রুখতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুলালবাবু।