উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সজল কুমার বিশ্বাস বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ড এখন পুরনো পদ্ধতি। ময়নাগুড়িতে জায়গার অভাবে আমরা ডাম্পিং গ্রাউন্ড গড়ে তুলতে পারছি না। আমরা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য বেশ কয়েকটি জায়গা দেখেছি। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্মতি না মেলায় আমরা এগোতে পারছি না। কিন্তু এভাবে তো আর চলতে পারে না। এর বিকল্প হিসাবে আমরা দ্রুত ময়নাগুড়িতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে জৈব সার উৎপাদন করার পরিকল্পনা নিতে চলেছি। সেইসঙ্গে একটি বায়োগ্যাস প্লান্টও তৈরি করা হবে। বাজারে পড়ে থাকা সব্জি, মাছ, মাংসের বর্জ্য পদার্থ পচিয়ে তা থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা হবে। এতে রান্না করা সম্ভব হবে এবং তৈরি সার চাষিরা জমিতে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও ব্লক সদরকে প্লাস্টিকমুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগ খুবই ভালো। এই বায়ো গ্যাসের প্লান্ট পরিবেশ দূষণ করে না। একদিকে যেমন এই পদ্ধতিতে গ্যাস তৈরি সম্ভব তেমনি সারও পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে এলাকা পরিচ্ছন্ন থাকবে। সবদিক থেকেই এই পদ্ধতি ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে শতগুণ ভালো। এটার মধ্যে শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা নেই। এক কথায় বলতে গেলে প্রকৃতির জিনিসকে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই প্লান্টের জন্য প্রথমে মাটির নীচে কংক্রিটের মুখ খোলা চৌবাচ্চা তৈরি করতে হয়। এই চৌবাচ্চায় নোংরা, আবর্জনা ফেলা হবে। এই বর্জ্য পদার্থ পাইপের সাহায্যে মাটির নীচে আরেকটি চৌবাচ্চায় পৌঁছে যাবে। সেখানে তৈরি হবে এই বায়োগ্যাস। এরপর ওই গ্যাস হেঁসেলে ব্যবহার করা যাবে। উল্লেখ্য, ময়নাগুড়ির গুরুত্বপূর্ণ পুরাতন বাজার ব্লকের প্রধান বাজার। এই বাজারে নোংরা, আবর্জনায় ড্রেনগুলি বন্ধ হয়ে পড়েছে। মাছ, মাংস বাজারে গন্ধে টেকা যায় না। সমগ্র বাজার নোংরায় ভরে গিয়েছে। এর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ময়নাগুড়ির লাইফ লাইন জর্দা নদী। অতি দ্রুত এই বায়ো গ্যাসের প্লান্ট এর কাজ শুরু না হলে সামনের দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।