শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, জলপাইগুড়ি শহরে সম্প্রতি বাজারে একের পর এক মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে চলছিল। মোবাইল চুরির ঘটনায় একের পর এক অভিযোগ কোতোয়ালি থানায় জমাও পড়তে থাকে। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সন্দীপন দাসকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের কাছে দুটি চোরাই এনড্রয়েড মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তাকে জেরা করে বাকি তিনজনের হদিশ মেলে। তাদের হেফাজত থেকে আরও পাঁচটি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্বার করা হয়। ধৃত পরীক্ষার্থী জানায়, রেস্তোরাঁ খাওয়া, ভালো জামাকাপড় কেনার শখ হতো। কিন্তু বাবার সামর্থ ছিল না। তাই সমবয়সী কয়েকজন বন্ধু মিলে টাকা জোগাতে চুরির পথে বেছে নেয় তারা। ধৃত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাবা স্বপন দাস বলেন, দুই ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। অভাবের সংসারে দিনমজুরি করে সংসার চালাই। নিজে লেখাপড়া করিনি। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে এবারে উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। কিন্তু তারমধ্যে এরকম একটা খবর শোনার পর আকাশটাই যেন আমার মাথায় ভেঙে পড়েছে। ছেলে লেখাপড়া করে চাকরি করবে ভেবেছিলাম। কিন্তু ওর নামে চোর বদনাম আমাকে শুনতে হচ্ছে। লজ্জায় নিজেকে লুকোতে পারছি না। কোনওদিন বুঝতেই পারিনি ছেলে এরকম বিপথে চলে গিয়েছে।