শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী বলেন, পড়ুয়া না হওয়ার জন্য জেলার শহরাঞ্চলের ওই পাঁচটি স্কুলে এবছর থেকে প্রাক্ প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে ইংরেজি মাধ্যম চালু করা হয়েছে। ইংরেজি মাধ্যম চালু হতেই স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের ভিড় উপচে পড়েছে। কিন্তু পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য স্কুলগুলি সবাইকে ভরতি নিতে পারছে না। পরিকাঠামোগত সমস্যা মেটাতে দ্রুত স্কুলগুলিতে গৃহ নির্মাণ করা হবে।
জেলার স্কুল পরিদর্শক(প্রাথমিক) শ্যামল রায়ও বলেন, ইংরেজি মাধ্যমের ওই পাঁচটি প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য অভিভাবকদের মাধ্যমে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। কিন্তু জায়গা না থাকায় সবাইকে ভরতি নেওয়া সম্ভব নয়। তবু আবেদনকারী একজন পড়ুয়াও যাতে বঞ্চিত না হয় তা দেখা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি কৌশিক সরকার বলেন, পড়ুয়া না হওয়ায় বাম আমল থেকে জেলার ওই পাঁচটি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু বাম সরকার স্কুলগুলিকে বাঁচাতে কোনও উদ্যোগই নেয়নি। আমরা খুশি বিদ্যালয় সংসদ কর্তৃপক্ষ কৌশল করে ইংরেজি মাধ্যম চালু করে স্কুলগুলিকে বন্ধ হওয়ার উপক্রম থেকে বাঁচিয়েছে।
ইংরেজি মাধ্যম চালু হওয়া ওই পাঁচটি স্কুল হল জেলা সদরের কলেজিয়েট প্রাথমিক স্কুল, ম্যাকউইলিয়াম আর আর প্রাথমিক, শান্তিনগর আর আর প্রাথমিক স্কুল, মাদারিহাটের বীরপাড়া লেবার ওয়েলফেয়ার প্রাথমিক ও ফালকাটা-২ নম্বর স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক স্কুল।
এই পাঁচটি স্কুলকে বন্ধ হওয়ার উপক্রম থেকে বাঁচাতেই এবছর থেকে স্কুলগুলির প্রাক্ প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে ইংরেজি মাধ্যম চালু করা হয়েছে। আপাতত প্রাক্ প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে এই ইংরেজি মাধ্যম চালু করা হয়েছে। পরের বছর থেকে একটি করে শ্রেণী বাড়বে ইংরেজি মাধ্যমে।
কিন্তু ইংরেজি মাধ্যম চালু করার আগে স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত সমস্যার দিকে নজরই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার জন্য স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের ভিড় একেবারে উপচে পড়ায় সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি বেজায় বিপাকে পড়েছে। কারণ, ইংরেজি মাধ্যম চালু করলেও স্কুলগুলিতে গৃহ, পড়ুয়া অনুপাতে শিক্ষক ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত সমস্যার দিকে নজরই দেওয়া হয়নি।
ম্যাকউইলিয়াম আর আর প্রাথমিক স্কুলের এক সহকারী শিক্ষক প্রীতম দে বলেন, ইংরেজি মাধ্যমে প্রাক্ প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণি পড়ার জন্য আমাদের স্কুলে এখনও পর্যন্ত ১২৫ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে। ভর্তির জন্য আরও পড়ুয়া আসছে। কিন্তু জায়গা না থাকায় তাদের ভর্তি নেওয়া যাচ্ছে না। জেলা সদরের শান্তিনগর আর আর প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অপূর্ব সরকারও বলেন, ইংরেজি মাধ্যমে ভরতির জন্য প্রচন্ড চাপ আসছে। কিন্তু জায়গা না থাকায় আমরা নিরুপায়।