ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
দিল্লি ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকায় একাধিক সতর্কতকামূলক ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয় ১৩ নভেম্বর থেকে। দূষণের মাত্রা সহনসীমার মধ্যে না এলেও, সোমবার থেকে খুলে দেওয়া হয় স্কুল। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আদালত বলে, ‘তিন-চার বছর বয়সিরা স্কুল যাচ্ছে, আর বড়রা বাড়িতে বসে অফিস করছে। এটা হতে পারে না।’ দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে অভিষেক মনু সিংভি জানান, ‘স্কুল খোলা নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সশরীরে ক্লাস না হলে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। সেই কারণে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত। তবে অনলাইনে ক্লাসের বিকল্পও চালু রয়েছে।’ সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনা বলেন, ‘আপনি বলছেন অনলাইনে ক্লাসের বিকল্প আছে। কিন্তু কে বাড়িতে বসে থাকতে চায়? অমাদেরও ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি আছে। করোনা শুরুর পর্ব থেকে তারা বহু সমস্যার মুখোমুখি। আপনারা ব্যবস্থা না নিলে, কাল আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব।’ জানতে চাওয়া হয়, স্কুল ও অফিসের ব্যপারে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে দিল্লি সরকার। আদালতের এই মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে আপ সরকার। পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানান, শুক্রবার থেকে দিল্লির সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত স্কুল খুলবে না। তবে অনলাইনে চালু থাকবে ক্লাস। যে সব পরীক্ষা আগেই ঘোষণা হয়েছে, তা অনলাইনে নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিশোদিয়া বলেন, ‘সমস্ত বোর্ডের পরীক্ষা সূচি মেনে নেওয়া হবে।’
দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কলকারখানা ও যানবাহনের ব্যাপারে প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাও জানতে চায় আদালত। সলিসিটার জেলারেল তুষার মেহতাকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘আপনারা বারবার বলছেন ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু এতদিন ধরে দূষণ কমছে না কেন? কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন আপনারা? আমলাদের বলে দিতে হবে কীভাবে কাজ করতে হয়! দূষণ নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটি কী করছে!’ আজ, শুক্রবার ফের আদালতে উঠবে মামলাটি।