কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
কিন্তু টেনশন হয়নি? আন্দাজ করেছিলেন আপনি করোনা আক্রান্ত? আপনার জন্যই দিল্লি তথা আগ্রার কয়েকজন এই রোগের শিকার হল বলেও তো আঙুল উঠছে? জানতে চাওয়ায় রোগ সারার পরেও কোয়ারেন্টাইন পর্ব সদ্য কাটিয়ে ওঠা রোহিতবাবু টেলিফোনে বললেন, বুঝিই তো নি যে করোনা হয়েছে। ভারতে তখন সেভাবে কোভিড-১৯ নিয়ে তেমন জোরদার প্রচার হয়নি। কিন্তু দু’ দুবার জ্বর হতেই ডাক্তার দেখাই। তখনই ধরা পড়ে।
২১ ফেব্রুয়ারি ইতালিতে ছিলেন রোহিতবাবু। সঙ্গে দুই শ্যালক। তাঁরা আগ্রার বাসিন্দা। ইতালি থেকে বুদাপেস্ট হয়ে ২৪ তারিখ ভিয়েনা থেকে দিল্লি। ২৫ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ফিরে সামান্য জ্বর। সামান্যই। তাই প্যারাসিটামল খান। তিনদিন পর ২৮ তারিখ হায়াত হোটেলে ছেলের জন্মদিনের পার্টি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রোহিতবাবুর দুই ছেলে, স্ত্রী, মা। সঙ্গে ছেলে এবং নিজের সপরিবার বন্ধুরা। সেদিনও রাতে ফের আসে জ্বর। ততক্ষণে মিডিয়াতে জোরদার খবর চলছে বিশ্বজুড়ে করোনার। তাই আর বিলম্ব না করেই পরেরদিন স্ত্রীকে নিয়ে সোজা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল।
মুখের মধ্যে গলার কাছ থেকে লালা নিয়ে হল পরীক্ষা। কিন্তু জানানো হল না কিছুই। রোহিতবাবুর স্ত্রীরও পরীক্ষা হল। ছেড়েও দেওয়া হল তাঁকে। কিন্তু রোহিতবাবুকে বলা হল, ভর্তি হতে। ১ মার্চ সকালে জানানো হল আপনার করোনা। ভর্তি থাকতে হবে সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। নিজের কথা জানিয়ে দিল্লির এই প্রথম করোনা রোগী বললেন, করোনার শিকার জেনে রাতে অহেতুক ভয় পেয়ে যেতে পারি, মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারি, এইসব ভেবেই সকালে জানানো হল এবং ১৪ দিন একলা ঘরে রেখে চলল মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনার চিকিৎসা।