পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
মুর্শিদাবাদে ফারাক্কা ব্যারেজের লকগেটগুলি ভালোভাবে কাজ না করায়, তা নতুন করে গড়ার কথা ঘোষণা করেছে ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়া। জলমার্গ বিকাশ প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এল অ্যান্ড টি জিওস্ট্রাকচারকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংস্থার অন্যতম কর্তা এস কানাপ্পান বলেন, এমনভাবে সুইস গেটগুলি তৈরি করা হচ্ছে, যাতে পদ্মার ইলিশ অনায়াসে গঙ্গায় প্রবেশ করতে পারে এবং সরাসরি প্রয়াগরাজ পর্যন্ত পাড়ি দিতে পারবে। নতুন কী কী বৈশিষ্ট্য থাকছে এই ব্যারেজে? কানাপ্পান বলেন, মিটার গেট, কাইসন গেট, বাল্ক গেট ও রেডিয়াল গেটগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে। এগুলি রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে চালিত হবে। এর ফলে পণ্য চলাচলের ক্ষেত্রেও হলদিয়া ও কলকাতা বন্দর সুবিধা পাবে। দেড় হাজার থেকে দু’হাজার টনের পণ্যবাহী ভেসেল সহজেই পেরবে এই লকগেট, দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই লকগেটগুলির কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। তারপরেই ইলিশ প্রবেশের রাস্তা সুগম হবে।
সত্যিই কি এভাবে পদ্মার ইলিশ গঙ্গায় আসা সম্ভব? রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মৎস্য বিভাগের উপদেষ্টা বিজন মণ্ডল বলেন, ইলিশ মাছের প্রবণতাই হল স্রোতের উল্টো দিকে যাওয়া। পদ্মায় উজান পানে চলতে গিয়ে ইলিশের ঝাঁক বাধাপ্রাপ্ত হয় ফারাক্কা ব্যারেজে। এক্ষেত্রে মাছ পারাপারের জন্য সাধারণত ফিশ ল্যাডার ব্যবহার করা হয়। লক গেটগুলিতে যদি এই ধরনের ল্যাডার লাগানো হয়, তাহলে অনায়াসেই সেই ইলিশ চলে আসতে পারে গঙ্গায়।
বাঙালি মাত্রই মৎস্যসুখী। আর ইলিশ হলে তো কথাই নেই। এখন পদ্মার ইলিশ পেতে হলে বাংলাদেশ সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতকেই। তারা যতক্ষণ না রপ্তানির ছাড়পত্র দেয়, ততক্ষণ পশ্চিমবঙ্গ তথা এদেশে ইলিশ আমদানি সম্ভব নয়। গত বছর পুজোর আগে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এদেশে এই সুযোগ মিলেছিল প্রায় সাত বছর পর। এর মধ্যে চোরাপথে যেটুকু ইলিশ এদেশে এসেছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। তাই অতি চড়া দাম দিয়েও সেই ইলিশ হাতে পাওয়া ছিল রীতিমতো ভাগ্যের ব্যাপার। এবার রপ্তানি-আমদানির ঝঞ্ঝাট বা প্রশাসনিক জটিলতা ছাড়াই যদি সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের ইলিশ গঙ্গায় ঢুকে পড়ে, তাহলে সোনায় সোহাগা। ইলিশ আহ্লাদীরা আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে থাকছেন।