পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
মঙ্গলবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের বাকি থাকা সবক’টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সমস্ত কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেওয়ার পরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দলের বঙ্গ শিবিরকে নির্দেশ দিয়ে বলেছে, অবিলম্বে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু দফায় দফায় দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে যেভাবে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মীদের একটি বড় অংশ। সব সামলে কবে সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপানো সম্ভব হবে সেটি এখন কেন্দ্রীয় পার্টির সবথেকে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তারপর থেকেই জল্পনা ছড়াতে থাকে যে, বাংলার এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মিঠুনবাবুকে টিকিট দেবে বিজেপি। বিভিন্ন সময়ে সেই জল্পনায় ইন্ধন জোগান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাই। এমন খবরও ছড়িয়ে পড়ে যে, মিঠুনবাবু কলকাতার ভোটার হয়েছেন। ফলে সবমিলিয়ে তাঁর প্রার্থী হওয়ার জল্পনা আরও তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু এদিন বাকি থাকা আসনগুলির কোনওটিতেই মিঠুন চক্রবর্তীর নামোল্লেখ না করে এই সংক্রান্ত যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইলেও দিলীপবাবু অবশ্য আগেই ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন, তিনি বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হবেন না। পরিবর্তে সমস্ত দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করবেন রাজ্যজুড়ে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই স্পষ্ট, দিলীপবাবুর সেই ইচ্ছেতেই সিলমোহর দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি। চৌরঙ্গী এবং কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রে ইতিপূর্বে মুখ পোড়ার পর সংশ্লিষ্ট দুটি আসনে আর চমকের ঝুঁকি নেয়নি বিজেপি। ওই দুই কেন্দ্রেই প্রার্থী করা হয়েছে দলেরই দু’জন কর্মীকে।
মতুয়া ভোটের কথা মাথায় রেখে গাইঘাটায় যে সুব্রত ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে বিজেপি, তিনি সম্পর্কে দলেরই এমপি শান্তনু ঠাকুরের দাদা। ২০১৫ সালের বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সুব্রতবাবু মমতাবালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন এবং হেরেছিলেন। ওই লোকসভা উপনির্বাচনে সুব্রতবাবুর স্থান ছিল তৃতীয়। তবে মঙ্গলবারের তালিকাতেও দলবদলু-প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি বিজেপি। বাগদা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূলত্যাগী বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে।