Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জোট হল সহযোগিতার রাজনীতি
পি চিদম্বরম

একসময় একটা বলিষ্ঠ আইডিয়া বা মতাদর্শ বিভিন্ন রাজ্য, ভাষা, ধর্মবিশ্বাস ও বর্ণের মানুষকে এবং আর্থিকভাবে বিভক্ত নানা শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এরকম এক একটা বেসিক আইডিয়া বা মতাদর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি হয়েছিল। এই বিষয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্তটির নাম ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (ভারতের জাতীয় কংগ্রেস)।
কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা ব্যক্তিত্বদের মূল্য লক্ষ্য ছিল—‘সরকারে শিক্ষিত ভারতবাসীদের জন্য একটা বড় জায়গা দখল করা এবং একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি 
করে নেওয়া, যেটাকে ভিত্তি করে তাঁরা ইংরেজের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পেতে পারেন।’ স্বাধীনতালাভের কোনও ভাবনাচিন্তা তখনও পর্যন্ত ছিল না। ব্যাপারটা এসেছে অনেক পরে—১৯১৯ থেকে ১৯২৯ সালের ভিতরে।
আর একটা দৃষ্টান্ত হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস), যদিও তাদের তরফে প্রতিবাদ করে বলা হয়েছে যে আরএসএস কোনও রাজনৈতিক দল নয়। হিন্দু রাষ্ট্রের ধারণা তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। গোড়ার দিকে যাই বোঝানো হোক না কেন, আজ 
এটা অ্যাটাভিসটিক (পূর্বপুরুষদের লক্ষণ ফিরে আসায় বিশ্বাস) এবং জেনোফোবিক ইডিওলজি (বিদেশিদের সম্পর্কে আতঙ্কের মতাদর্শ) মাত্র, 
যার লক্ষ্য হয়ে উঠেছে মুসলিম, খ্রিস্টান, দলিত, অভিবাসী এবং সূক্ষ্মভাবে মহিলা, অহিন্দিভাষী জনগণ এবং অন্যসকল পিছিয়ে পড়া মানুষ—এদের সবা‌ই঩কে হেয় করা।
রাজ্যস্তরে অনেক উদাহরণ রয়েছে। আঞ্চলিক অহঙ্কার, তামিল-প্রীতি, আত্মসম্মান, কুসংস্কার ও জাতিভেদের বিরুদ্ধে অবস্থান থেকে তৈরি হয়েছিল ডিএমকে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, ডিএমকে ভেঙে বেরিয়ে এসে, কিছু নেতা মিলে তৈরি করেছিলেন এআইএডিএমকে।
মতাদর্শের বিকাশ
কোনও মতাদর্শই অপরিবর্তিত থাকে না। বছরের পর বছর গিয়েছে, কংগ্রেস দেশকে স্বাধীন করার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেছে, রক্ষণশীল ও প্রগতিশীল উভয়পক্ষকেই শামিল করেছে, বামপন্থার দিকে ঝুঁকেছে, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র গ্রহণ করেছে, কেন্দ্রীয়ভাবে সমর্থন করেছে বাজার অর্থনীতিকে, সাদরে বরণ করেছে কল্যাণরাষ্ট্রের ধারণাকে। 
সেই অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি আজকের বিজেপির থেকে কংগ্রেসকে পৃথক হিসেবে চিনিয়ে দিচ্ছে। বিজেপি কুণ্ঠাহীনভাবে আরও হিন্দু জাতীয়তাবাদী এবং আরও ধনতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। কমিউনিস্ট পার্টিগুলো বহুদলীয় গণতন্ত্রকে 
স্বীকার করে নিয়েছে। আঞ্চলিক দলগুলোও তাদের নীতি ও অবস্থান মধ্যপন্থায় পাল্টে নিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, ডিএমকে ভেঙে তৈরি হওয়া এআইএডিএমকে শুরু থেকেই ছিল ঈশ্বরবিশ্বাসী এবং  সম্প্রতি ডিএমকে নির্দিষ্টভাবে তাদের নাস্তিক্য-নীতি ত্যাগ করেছে।
এইসব রাজনৈতিক দল এবং পরিবর্তনশীল মতাদর্শগুলোর উপর আমার মতামত আমি নানা সময়ে দিয়েছি। প্রত্যেকটা মতাদর্শ মনে হয় যে ঈশ্বরবিশ্বাসীদের যুক্ত করে এবং নাস্তিকদের বাদ দিয়ে, যদিও তাদের ভোট ও সমর্থন ঈশ্বরবিশ্বাসীদের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। নিরন্তর বদল এবং শামিল করার গুরুত্বটা এখানেই। অবিশ্বাসীরা নিজেদের বিচ্ছিন্ন ভেবে আলাদা দল তৈরি করেছিল, যার ভিতরে ছিল তাদের প্রতি সহানভূতি অথবা প্রতিবাদের প্রকাশ। এরকম বিশেষ ধরনের প্রতিবাদের ভিতর দিয়েই তৈরি হয়েছিল কংগ্রেস (ও) এবং কংগ্রেস (আর), জনতা দল, এসপি, এনসিপি, বিজেডি, তেলুগু দেশম প্রভৃতি। একটা পৃথক রাজ্য কিংবা আরও বেশি স্বশাসনের চাহিদা ছিল টিআরএস এবং অগপ দল গঠনের প্রেরণা।
বর্জনের রাজনীতি
তবু, ভারতের বহু রাজনৈতিক দলের তরফে, জনগণের ভিতরে তাৎপর্যপূর্ণ কিছু শ্রেণিকে বাদ দেওয়া হয়েছিল অথবা তারা বাদ পড়ে গিয়েছে বলে ভেবেছিল—এবং এখনও তারা সেইরকমই ভাবে। তাদের ম঩ধ্যে রয়েছে মুসলিম এবং দলিতরা। এই শ্রেণিগুলোকে সাম্প্রদায়িক বা জাতিবাদী বলে দোষ দেওয়া যাবে না। মূলস্রোতের রাজনীতি থেকে যতদিন তাদের বাইরে রাখা হবে, এই শ্রেণিগুলো ততদিন নিজ নিজ স্বার্থবাহী রাজনৈতিক দল গঠনে প্রবৃত্ত হবে, যা ন্যায্যও বটে। আমার মতে, ভারতীয় রাজনীতি এবং কোয়ালিশন গঠনের আকাঙ্ক্ষার বিষয়টার গুরুত্ব, বিধিসম্মত অথবা কার্যত, ওই বর্জন থেকেই বুঝে নিতে হবে।
আমি স্মরণ করতে পারি যে, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশে কোনও মুসলিম প্রার্থী দেয়নি। অথচ, গুজরাতের জনসংখ্যার ৯.৬৫ শতাংশ মুসলিম এবং সেখানে বিধানসভার আসন সংখ্যা ছিল ১৮২। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে মোট জনসংখ্যার ১৯.৩ শতাংশ মুসলিম এবং সেখানে বিধানসভায় মোট আসন ছিল ৪০২টি। তাহলে ওই দুই রাজ্যের মুসলিমদের করণীয় কী ছিল? অন্য দলগুলো অবশ্যই অন্যভাবে এগিয়েছিল, তারা মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা প্রতীকী ব্যাপারের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। দলিতদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সব দলই তাদের প্রার্থী করেছে কেবলমাত্র ‘সংরক্ষিত’ আসনগুলোতে। তার 
ফলে মোদ্দা এই দাঁড়াল যে, রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্তিকরণের বদলে আরও বর্জনের 
রাজনীতি করা হল। এই অবসরে মুসলিম, দলিত এবং বর্জনের রাজনীতির শিকার অন্য শ্রেণিগুলো পৃথক দল গড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল। আত্মরক্ষা এবং নিজ নিজ স্বার্থরক্ষার প্রয়োজনেই তাদের এই উপলব্ধিটা হল।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের প্রতিষ্ঠা ১৯০৬ সালে। স্বাধীন ভারতে মুসলিমদের তরফে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে: আইইউএমএল, এআইইউডিএফ, এআইএমআইএম এবং এগুলোর থেকে ছোট আরও কিছু দল। এমনিভাবে দলিতদের তরফে তৈরি করা হয়েছে বিএসপি, এলজেপি (বিহারে) এবং ভিসিকে (তামিলনাড়ুতে)। আরএসএস এবং বিজেপি মুসলিমদের তৈরি দলগুলোকে তফাতে রাখলেও, দলিতদের তৈরি দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়ে—এর থেকে বেশি বিদ্বেষ আর কী হবে! (অবশ্য শোনা যায় যে, অসমের একটা জেলা পরিষদের ভোটে এআইইউডিএফের সঙ্গে বিজেপি জোট করেছিল।)
প্রশাসনের জন্য আরও ভালো
এই ধরনের ‘এক্সক্লুসিভ’ (বিশেষ ধরনের) পার্টিগুলো আছে বলেই কোয়ালিশন তত ‘ইনক্লুসিভ’ (অন্তর্ভুক্তির) রাজনীতির পথ দেখিয়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে মুসলিম এবং দলিতদের হাতে গড়া রাজনৈতিক দলগুলো অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে কোয়ালিশন বা জোটের ভিতরে তাদের জন্য বিশেষ জায়গা করে নিতে তারা সক্ষম হয়েছে। আমি মনে করি, এটা উত্তম ব্যাপার। এই দলগুলো একা লড়তে গেলে তাদের পক্ষে বিধানসভায় প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ত এবং জিতলেও তারা বাধ্য হতো কক্ষে গিয়ে নীরব নিষ্ক্রিয় দর্শক অথবা নিছক প্রতিবাদী থেকে যেতে। তার থেকে ভালো হবে যে তারা সংসদে ও বিধানসভায় প্রবেশাধিকার পাবে এবং রাজ্যে ও দেশের প্রশাসনে অংশ নিতে পারবে।
প্রত্যেকটা দলই একটা কোয়ালিশন বা জোট করার চেষ্টা করে। একটা দল নিজের জোরে কিছু নির্বাচনে কিছু রাজ্যে গরিষ্ঠা পেয়ে যেতে পারে, কিন্তু এই ক্ষেত্রগুলোতেও ওই দলটা আরও কিছু দলের ভোট একত্র করতে চায়, যাতে তার গরিষ্ঠতা আরও সুদৃঢ় হতে পারে। এখন বেশিরভাগ নির্বাচন কোয়ালিশনগুলোর মধ্যে লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক বিধানসভার ভোটে অসম, কেরল, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং পুদুচেরি কেন্দ্রাশাসিত অঞ্চলে দু’টো বড় কোয়ালিশন গড়ে উঠেছে। সমান শক্তিশালী না-হলেও, পশ্চিমবঙ্গে তিনটে কোয়ালিশন তৎপর রয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, একটা কোয়ালিশন সরকার একদলীয় সরকারের তুলনায় অনেক বেশি দায়িত্বশীল এবং কর্মতৎপর হয়ে থাকে। 
বাজপেয়ি এবং মনমোহন সিংয়ের সরকার ছিল কোয়ালিশন। সুতরাং নির্বচনী জোট কিংবা কোয়ালিশন সরকারগুলোকে তাচ্ছিল্য করা আমাদের উচিত 
হবে না। একদলের স্বৈরতান্ত্রিক জমানার চেয়ে এই ধরনের কোয়ালিশন সরকার অনেক ভালো এবং কোয়ালিশন সরকারই দেশের জন্য আরও বেশি কাজ করতে পারে।  
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 
মতামত ব্যক্তিগত
22nd  March, 2021
মরণঝাঁপের জন্য তৈরি
তো? যে প্রশ্নটি গোপন
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় স্বচ্ছতার পাঠ চালু করার আগে পিএম কেয়ার্স ঘিরে ওঠা গুরুতর প্রশ্নগুলিরও জবাব দিন মোদি।  জবাব যতদিন না মিলবে ততদিন রাজনৈতিক প্রতারণায় নবতম সংযোজন হিসেবেই গণ্য হবে ৬৮ পাতার এই গাঁজাখুরি সংকল্পপত্রটি। বিশদ

দায় শুধু নেত্রীর নয়, কর্মীদেরও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কে সেই ‘আসল’ উপরতলা? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আধাসেনায় ছেয়ে যাচ্ছে ভোট-জেলাগুলি। প্রথম দফায় ৩০টা আসনে ভোট, তাতে কি লাখ খানেক জওয়ান থাকবে? কেন্দ্রীয় সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে, বাংলা যুদ্ধক্ষেত্র? বিশদ

23rd  March, 2021
বিজেপি’র অনাচার থেকে
বাংলাকে বাঁচাতেই হবে
হিমাংশু সিংহ

একটা সামান্য তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরেই যেভাবে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে আর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। অর্থ আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর সীমাহীন অন্যায় এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে বহিরাগত বর্গী, মেনন, দেওধরদের দিকেই। বিশদ

21st  March, 2021
শেষ পর্যন্ত কি খুলে গেল
ডাস্টবিনের ঢাকনা
তন্ময় মল্লিক

প্রার্থী নিয়েই যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়, তাহলে জিতলে কী হবে? সেটা বুঝেই ‘বিজেপির চাণক্য’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। তাতেও সূত্র না মেলায় বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছেন। যে কোনও মূল্যে বিক্ষোভ সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু এ তো জয়নগরের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাবে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপির এখন শাঁখের করাতের অবস্থা। বিশদ

20th  March, 2021
স্বাস্থ্যসাথী, ২ টাকার চাল, কন্যাশ্রী 
কি বিজেপি বন্ধ করে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সোনার বাংলা ব্যাপারটা ঠিক কী? আমরা তো ‘সোনার উত্তরপ্রদেশ’, ‘সোনার ত্রিপুরা’, ‘সোনার অসম’, ‘সোনার হরিয়ানা’, ‘সোনার মধ্যপ্রদেশ’ বলিও না। শুনিও না।  বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটি রাজ্য যদি সোনার হয়ে যায়, তাহলে ২০১৮ সালে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল? বিশদ

19th  March, 2021
ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সাধারণ মানুষ, বিপুল মুনাফা লুটবে কর্পোরেট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোটি কোটি ছোট কৃষক, ছোট ব্যবসাদার, অল্প পুঁজির কারখানার মালিক, যাদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা চালু রয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গ্রামে ছোট শহরে। এই শ্রেণি হারিয়ে যাবে আর্থিক উন্নয়নের মানচিত্র থেকে। বিশদ

18th  March, 2021
টিকিট-কোন্দলে গেরুয়া
শিবিরে নরক গুলজার
সন্দীপন বিশ্বাস

সবকিছু দেখে মোদি-শাহ জুটি এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, যে জুমলার জোরে অন্য রাজ্যে সরকার গড়া যায়, সেই একই জুমলায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ হবে না। তাঁদের সব জুমলাবাজি রাজ্যের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। বিশদ

17th  March, 2021
বিশ্বাসযোগ্যতার দাঁড়িপাল্লায় ভোট রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কিছু মনে কোরো না বাবা, ভোটটা এবার তোমাদের দিতে পারব না। এখানে যে মমতা দাঁড়িয়েছে! অনেক করেছে মেয়েটা আমাদের জন্য। যদি ও না দাঁড়াত... অন্যরকম ছিল। বিশদ

16th  March, 2021
কুকথার বান রুখতে সহবতের
পাঠ দিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ 
জয়ন্ত কুশারী

‘তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না,/ করে শুধু মিছে কোলাহল। / সুধা সাগরের তীরেতে বসিয়া পান/ করে শুধু হলাহল।’ —কথাগুলো বলছেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর গানের মাধ্যমে। এ তো কেবল গান নয়। এ হল তাঁর নীরব অভিমান। এক কথায় বলা যায়, এ হল কবি সার্বভৌমের খেদোক্তি।  
বিশদ

15th  March, 2021
নিখোঁজ মধ্যবিত্ত শ্রেণির করুণ কাহিনি 
পি চিদম্বরম

১৩৮ কোটি মানুষের একটা দেশে, যেখানে মাথাপিছু গড় আয়ের পরিমাণ ৯৮ হাজার টাকা এবং চরম আর্থিক বৈষম্য রয়েছে, সেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ কত আছে সেটা আন্দাজ করা কঠিন।  
বিশদ

15th  March, 2021
আঘাত তাঁকে কাবু
করতে পারেনি কখনও
হিমাংশু সিংহ

আজ ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রাম দিবস। ১৪ বছর আগের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও প্রত্যেক নন্দীগ্রামবাসীর স্মৃতিতে টাটকা। সেদিন বামফ্রন্টের পুলিসের নির্বিচারে গুলিচালনা, প্রাণহানি এবং তাঁর প্রতিবাদে বাংলাজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন এত সহজে ভোলার নয়। বিশদ

14th  March, 2021
ছিল ‘ওয়াশিং মেশিন’
হয়ে গেল ‘ডাস্টবিন’
তন্ময় মল্লিক

জনমত সমীক্ষার কোনও রিপোর্টই তৃণমূলকে টেনে হিঁচড়ে ১৫০ এর নীচে নামাতে পারেনি। অন্যদিকে সিবিআই, ইডি লেলিয়ে দিয়েও বিজেপির সেঞ্চুরি হাঁকাতেই দম বেরিয়ে যাচ্ছে। আদিরা চটলো না পটলো, তা নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই। তাই যোগদান চলছে এবং চলবে। যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। বিশদ

13th  March, 2021
একনজরে
কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবার নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর সাফ জবাব, কংগ্রেস মানেই গান্ধী পরিবার নয়, একটা দর্শন — যাকে ...

গয়েশপুর শহরে ফের নতুন করে করোনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। পাশাপাশি হরিণঘাটার কাষ্ঠডাঙা এলাকাতেও ইউকে স্ট্রেইনে এক যুবক আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। লকডাউন শুরুর বর্ষপূর্তির ঠিক আগের দিনের এই খবরে ফের উদ্বেগ বাড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। ...

গেরুয়া ঝড়ে গত লোকসভা ভোটে গোটা পুরুলিয়া জেলাতেই ভরাডুবি হয়েছিল শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের। ব্যতিক্রম অবশ্যই মানবাজার। পুরুলিয়া লোকসভার অন্তগর্ত ন’টি বিধানসভা আসনের মধ্যে একমাত্র এই ...

কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম (৮৩) অসুস্থ হয়ে বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে তিনি এখন স্থিতিশীল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
১৬০৩ - প্রথম এলিজাবেথ, ইংল্যান্ডের রানী
১৬৯৩ - ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসনের জন্ম
১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়
১৯০৫- ফরাসি লেখক জুল ভার্নের মৃত্যু
১৯৩৩: এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন
১৯৫৬: পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়।
১৯৭৯- অভিনেতা ইমরান হাসমির জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৫৪ টাকা ৭৩.২৫ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫৫ টাকা ১০২.০০ টাকা
ইউরো ৮৪.৮১ টাকা ৮৭.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ চৈত্র ১৪২৭, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১। দশমী ১১/৪৮ দিবা ১০/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ৪৩/৪৮ রাত্রি ১১/১২। সূর্যোদয় ৫/৪০/৫৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ৯/৪১ গতে ১১/১৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২০ মধ্যে, রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/১১ মধ্যে। 
১০ চৈত্র ১৪২৭, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১। দশমী প্রাতঃ ৬/১। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪১ গতে ৩/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৩ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ১/১৫ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৩ গতে ৪/১৩ মধ্যে।
৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জীতেন তিওয়ারিকে শোকজ
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া জীতেন তিওয়ারিকে শোকজ ...বিশদ

03:44:07 PM

দেশের এক নম্বর মিথ্যাবাদী মোদি, ফের বললেন মমতা
‘দেশের এক নম্বর মিথ্যাবাদী।’ আমি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটাকে সম্মান করতাম। এখনও ...বিশদ

03:13:00 PM

কালনা  বিধানসভা  কেন্দ্রের  মনোনয়নপত্র  জমা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবপ্রসাদ বাগ

01:53:53 PM

আইএসএসএফ শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা ভারতের
আইএসএসএফ শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জিতলেন ভারতের চিঙ্কি যাদব। তিনি ২৫ ...বিশদ

01:51:26 PM

অভিনেতা আমির খান করোনা পজিটিভ
করোনা পজিটিভ হলেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। তিনি এখন হোম ...বিশদ

01:36:47 PM

বিমল গুরুংকে নজরে রাখতে আলোচনা নির্বাচন কমিশনে
বিমল গুরুংকে নজরে রাখার ব্যাপারে আলোচনা নির্বাচন কমিশনে। বুধবার শিলিগুড়িতে ...বিশদ

12:58:31 PM