Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিশ্বাসযোগ্যতার দাঁড়িপাল্লায় ভোট রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তুখোড় এক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের কাছে শুনেছিলাম কথাটা... নামের শেষের টাইটেলটা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যায়, সম্পত্তি, রাজত্বও পাওয়া যায়। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতা? ওটা অর্জন করতে হয়... তিলে তিলে। ২০১৪ সালে কিন্তু ‘তিলে তিলে’র কোনও গল্প ছিল না। এক দমকা হাওয়ায় চাওয়ালা প্রধানমন্ত্রী পেয়ে গিয়েছিল ভারত। সেই হাওয়া ছড়িয়েছিল বিস্তর। জাতীয় থেকে রাজ্য রাজনীতি... সর্বত্র। তারই ফসল ছিল একে একে রাজ্য দখল। হাতের কাছে উদাহরণও আছে... ত্রিপুরা, অসম। সেই অসমে ভোট ফিরে এসেছে। ১২৬টা আসন, তিন দফায় নির্বাচন। কিন্তু এই ভোটের মুখেই বেশ কিছু প্রশ্ন উত্তর পূর্বের রাজ্যটিতে উঠতে শুরু করেছে। প্রথম প্রশ্নটি তুলেছেন দিলীপ  পাল। দিলীপবাবু শিলচরে বিজেপির দু’বারের বিধায়ক। কিন্তু না, এখন আর বিজেপি লেখা যাবে না। তিনি গেরুয়া শিবিরকে বিদায় দিয়েছেন। আর জনসমক্ষে বলেছেন, বরাক উপত্যকায় সুপুরি বোঝাই লরিতে পাচার হচ্ছে অস্ত্র আর মাদক। যার পান্ডা, শিলচরের বিজেপি সাংসদ রাজদ্বীপ রায়। সঙ্গে রয়েছেন কাছাড় জেলার বিজেপি সভাপতি কৌশিক রাইও। এই দু’জনের নেতৃত্বেই নাকি অসমে গড়ে উঠেছে কয়লার সিন্ডিকেট। বিষয়টা হজম করতে একটু সমস্যা হতেই পারে। বাংলায় এসে যে বিজেপির চালক-পরিচালকরা লাগাতার সিন্ডিকেটের নামে তোপবর্ষণ করেন, তাঁদের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ অসমেই নাকি সিন্ডিকেট রাজ? নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের কাছে বোধহয় এই খবরটা পৌঁছয়নি। বা তাঁরা শুনতে চাননি। জানলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতেন (আশাটুকু করলে দোষ কী)। এবং সবচেয়ে বড় কথা, অন্য রাজ্যে গিয়ে অন্তত সিন্ডিকেট নিয়ে নীতিপাঠ দিতেন না। যাই হোক, কিছু একটা ভুল বোঝাবুঝি নিশ্চয়ই হয়েছে। দিলীপবাবু ডাহা মিথ্যাকথা বলছেন, সেটাও বলা যাচ্ছে না। তাহলে তিনি নিঃস্বার্থভাবে দল ছাড়তেন না। আর হিমন্ত বিশ্বশর্মাও তড়িঘড়ি ছুটে গিয়ে তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টাচরিত্র করতেন না। শুধু কি আর শিলচরের বিধায়ক? লাইন দিয়েছেন আরও এমএলএ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিলাদিত্য দেবও। কোন শিলাদিত্য? যিনি অসমিয়া এবং বাঙালিদের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতির জন্য সুনাম কিনেছিলেন। সুভাষচন্দ্র বসুকে উগ্রপন্থী বলেও প্রচারের আলো দেখেছিলেন শিলাদিত্য। তিনিও বিজেপিতে দমবন্ধ অবস্থা অনুভব করছেন। টিকিট পাচ্ছেন না, দল ছাড়ছেন এবং নির্দল হিসেবে দাঁড়াবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। অর্থাৎ, অসমে বিজেপির পায়ের নীচের জমি সরছে। তাহলে এই পর্যায়ে প্রথমেই একটি প্রশ্ন ওঠে। তা হল, নিজের ঘর বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, সেটা না সামলে পাশের বাড়ি দখলের চেষ্টা কেন? আর অদ্ভুতভাবে, যে সব অভিযোগ তুলে বাংলাকে তাঁরা আক্রমণ করছেন, সেই এক ধরনের নালিশ তাঁদের বিরুদ্ধেই উঠছে! নরেন্দ্র মোদির বিজেপির জন্য এটা মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়। এরপরও তিনি বঙ্গে আসবেন, বক্তৃতা দেবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করবেন। মানুষ কিন্তু তখন দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসবে... বিশ্বাস-অবিশ্বাসের।
এমনিতেই বঙ্গ বিজেপির প্রার্থী তালিকা এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে। বহু অপ্রত্যাশিত নাম, আদি-নব্য দ্বন্দ্ব, টিকিট না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভের পাহাড়... অমিত শাহরা চাইলেও সব আসনে প্রার্থীর নাম একসঙ্গে ঘোষণা করতে পারছেন না। তাঁরা জানেন, যত বেশি সংখ্যক প্রার্থী ঘোষণা, ততই বিদ্রোহের আগুন। প্রার্থী কারা? দলবদলু বেশ কিছু নেতা-নেত্রী, তৃণমূলের ফর্মুলা মেনে টেলি তারকা এবং গত লোকসভা ভোটে জিতে আসা এমপিরা। এ এক ভয়ানক জাঁতাকল বটে। তৃণমূলের ‘সেলিব্রিটি’ নেতা-মন্ত্রীরা দল বদলে বিজেপিতে গিয়েছেন। তাঁদের আব্দার তো মানতেই হবে! আগে যতই ঘোষণা হোক না কেন, ‘তৃণমূলের থেকে আসা সব নেতা টিকিট পাবেন না। পেলেও কঠিন কেন্দ্রে।’... সেই তত্ত্ব ফাইনাল কাউন্টডাউনে এসে আর খাটল না। আর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা মাত্র শুরু হল বিক্ষোভ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে তো বিজেপি কর্মীদের এমন স্লোগানও দিতে শোনা গেল, ‘ক্যারেকটারলেস প্রার্থী মানছি না, মানব না।’ লালমোহন গাঙ্গুলি থাকলে নিশ্চিত বলতেন, ‘বোঝো ঠ্যালা’। খড়্গপুরের চৌরঙ্গি মোড়ে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল এক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে। সাফ বললেন, ‘এই প্রার্থী চলবে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কি ছবি দেখাব? বলব, এই যে হিরণ... আমাদের প্রার্থী? এঁকে ভোট দিন?’ তিনি আদি কর্মী। বিজেপিটা ধান্দায় নয়, ভালোবেসে করেন। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে রোড-শো করে ফের অমিত শাহ দাবি করে গেলেন, ‘২০০ আসন নিয়ে মোদিজির নেতৃত্বে আমরা সরকার গড়ব।’ সত্যিই কি তাই? সেই আদি কর্মী একটু থামলেন। তারপর বললেন, ‘এবার আমাদের সরকার হবে বলে মনে হয় না জানেন...। খুব বেশি হলে ১০০ সিট। এর বেশি হওয়া মুশকিল।’
হয়তো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সেটা জানে। তাই ‘সেফ সিটে’ জোর পড়ছে। আর পরিচিত কিছু নামে। স্বপন দাশগুপ্ত, নিশীথ প্রামাণিক, লকেট চট্টোপাধ্যায়...। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও রয়েছেন তালিকায়। ভাঁড়ার কি এতই খালি? মনে পড়ছে সেই কুমিরছানার গল্পটা। একই কুমিরছানাকে সাতবার বের করে দেখানো... এই তো আমাদের কাছে সাত রাজার ধন আছে। যে চার এমপিকে বিজেপি আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করেছে, তাঁরা অবশ্যই পরীক্ষিত। ধরা যাক এই সাংসদ প্রার্থীরা জিতেও গেলেন। তারপরই কিন্তু তাহলে চারটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে হবে। মানে, বাংলার মানুষের করের টাকায় আবার নির্বাচনী শ্রাদ্ধ। যার প্রয়োজন আছে বলে বাংলার মানুষ অন্তত মনে করে না। অর্থাৎ, আবার দাঁড়িপাল্লা। 
একুশের যুদ্ধে প্রতিপক্ষ তিন। এবং তিন পক্ষেরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য শুধু ভোট জয়ের লক্ষ্যে সীমাবদ্ধ নয়! যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়... গত ১০ বছর তিনি বাংলা শাসন করছেন। উন্নয়নমূলক বহু কাজ। কিন্তু এরপরও নিচুতলায় দুর্নীতির অভিযোগ আছে। ১০ বছর সরকার চালানোর পর প্রতিষ্ঠান বিরোধী একটা হাওয়া তৈরি হয়। এই ধরনের অভিযোগ তারই বহিঃপ্রকাশ। এখানেও ভোটাররা দাঁড়িপাল্লা নিয়ে ওজন করতে বসেন, কোন দিকটা বেশি ভারী... মানুষের স্বার্থে সরকারি কাজ, সমাজের নিরাপত্তা, নাকি দলীয় কর্মীদের একাংশের দুর্নীতি? এই প্রাক-ভোট পর্বে বহু জেলার মানুষের সঙ্গে কথা বলে আপাতত একটা সারাংশ খাড়া করা যাচ্ছে। তা হল, সরকারটা খারাপ নয়, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ভালো... সব সময় ইতিবাচক কিছু করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে দলের সেই ‘একাংশ’কে নিয়ে। তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কনফিডেন্ট। এই ভাঙা পা নিয়েও। তিনি জানেন, এটা তাঁর প্রেস্টিজ ফাইট। ভোটের মুখে দশ দিক থেকে দশ রকম বিপত্তি আঘাত করেছে তাঁকে। সবই ধীরে ধীরে সামাল দিয়েছেন। তারপর এগিয়েছেন ভোটের নিশানায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, এই ম্যাচ তাঁর হারলে চলবে না। 
দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষ বাম-কংগ্রেস জোট। গত সাত বছরে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস মোটেও খুব সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। মাঝে কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে ঠিকই, কিন্তু তা সত্ত্বেও সামগ্রিক চালচিত্রে খুব একটা বদল আসেনি। শতাব্দীপ্রাচীন এই দল বাংলায় প্রায় সাইনবোর্ডের পর্যায়ে। ফলে বামেদের সঙ্গে জোট গঠন ছাড়া উপায় ছিল না অধীর চৌধুরীদের। সিপিএমকে দেখে কিন্তু এবার মনে হচ্ছে, আসন্ন ভোটটা তারা সিরিয়াসলি লড়বে। অন্তত প্রার্থী বাছাইতে তারই ইঙ্গিত। কেন্দ্র অনুযায়ী ঠিকঠাক প্রার্থী, বার্ধক্যের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা এবং নবীন প্রজন্মে গুরুত্ব। কারণ সিপিএম জানে, এবারের নির্বাচন বড় কঠিন ঠাঁই। জিতে ক্ষমতায় আসাটা কিন্তু মূল লক্ষ্য নয়! উদ্দেশ্য একটাই, বাংলার রাজনীতিতে বামেদের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে আনা... অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।
আর থাকল বিজেপি। চেনা ফর্মুলা... আগেই ভোটব্যাঙ্কটাকে ধর্মের নিরিখে দু’ভাগ করে দাও। তারপর শুরু হোক প্রচার। সংখ্যালঘুরা কিন্তু বিজেপির টার্গেট ভোটার নন! সেটা গেরুয়া শিবিরের কর্তাব্যক্তিরা বারবার আসছেন। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সেটাই বোঝাচ্ছেন। মেরুকরণ কর্মসূচি চলছে... পুরোদমে। কারণ, বাংলা এবার বিজেপির কাছে মরিয়া লড়াই। নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার আধার যে শূন্য হয়ে যায়নি, তা প্রমাণ করতেই হবে। বিরুদ্ধ ইস্যু কিন্তু কম নেই! নোট বাতিল, বেকারত্ব, প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া, নাগরিকত্ব এবং কৃষি আইন... তারপরও বিজেপি চাইছে এ রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে। চাইছে বলাটা ভুল হল... চলছে মরিয়া চেষ্টা। এ যুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গেলে গোটা দেশে আরও অনেকটা পিছনের সারিতে চলে যাবেন মোদি। সংঘবদ্ধ হয়ে ভেসে উঠবে বিরোধী মহাজোট। যার মুখ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে বালিচক স্টেশন। তার সামনে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল বছর ষাটেকের এক ভদ্রলোকের সঙ্গে। কর্মসূত্রে তাঁকে দুই মেদিনীপুরই চষে বেড়াতে হয়। একটা অদ্ভুত অঙ্ক শোনালেন তিনি... ‘আমাদের রাজ্যে মুসলিম ভোটার কত বলুন তো? মেরেকেটে ২৭ শতাংশ। ধরা যাক, বাম-কংগ্রেস-আব্বাসের জোট তার পাঁচ-সাত শতাংশ পাবে। মেরুকরণের জন্য বিজেপিকে এখান থেকে ভাগ দেওয়া যাচ্ছে না। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাবেন ২০ শতাংশ! মানেটা বুঝলেন? মমতা কিন্তু একশোয় ২০ নম্বর হাতে নিয়ে পরীক্ষায় বসছেন। বাকি অঙ্কটা এবার বুঝে নিন।’
হয়তো সাধারণ পাটিগণিতের হিসেব। হয়তো ভোটের সমীকরণ এত সহজ নয়। তারপরও কিন্তু ওই বৃদ্ধের কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটার সত্যিই একটা ওজন আছে... এই ভাঙা পায়ে ওজনটা আরও বেড়েছে। বাড়ছে। মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে মহাজোটের প্রার্থী। তাঁর হয়ে ভোট চাইতে গিয়েছেন কর্মীরা... এক বাম সমর্থকের ঘরেই। বয়স্কা ভোটার বললেন, ‘কিছু মনে কোরো না বাবা, ভোটটা এবার তোমাদের দিতে পারব না। এখানে যে মমতা দাঁড়িয়েছে! অনেক করেছে মেয়েটা আমাদের জন্য। যদি ও না দাঁড়াত... অন্যরকম ছিল। তা তো নয়! নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা... আর ওকে ভোট দেব না!’
এ যে বিজেপির কাছে বড্ড অসম ফাইট। ঝাড়গ্রামের সার্কাস ময়দানের সামনে দাঁড়িয়ে ওই আদিবাসী ভদ্রলোকও কিন্তু বলছিলেন... ‘বিজেপি তিন নম্বর হয়ে গেলেও আশ্চয্যি হবো না গো’।
16th  March, 2021
মরণঝাঁপের জন্য তৈরি
তো? যে প্রশ্নটি গোপন
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় স্বচ্ছতার পাঠ চালু করার আগে পিএম কেয়ার্স ঘিরে ওঠা গুরুতর প্রশ্নগুলিরও জবাব দিন মোদি।  জবাব যতদিন না মিলবে ততদিন রাজনৈতিক প্রতারণায় নবতম সংযোজন হিসেবেই গণ্য হবে ৬৮ পাতার এই গাঁজাখুরি সংকল্পপত্রটি। বিশদ

দায় শুধু নেত্রীর নয়, কর্মীদেরও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কে সেই ‘আসল’ উপরতলা? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আধাসেনায় ছেয়ে যাচ্ছে ভোট-জেলাগুলি। প্রথম দফায় ৩০টা আসনে ভোট, তাতে কি লাখ খানেক জওয়ান থাকবে? কেন্দ্রীয় সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে, বাংলা যুদ্ধক্ষেত্র? বিশদ

23rd  March, 2021
জোট হল সহযোগিতার রাজনীতি
পি চিদম্বরম

একসময় একটা বলিষ্ঠ আইডিয়া বা মতাদর্শ বিভিন্ন রাজ্য, ভাষা, ধর্মবিশ্বাস ও বর্ণের মানুষকে এবং আর্থিকভাবে বিভক্ত নানা শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এরকম এক একটা বেসিক আইডিয়া বা মতাদর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি হয়েছিল। বিশদ

22nd  March, 2021
বিজেপি’র অনাচার থেকে
বাংলাকে বাঁচাতেই হবে
হিমাংশু সিংহ

একটা সামান্য তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরেই যেভাবে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে আর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। অর্থ আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর সীমাহীন অন্যায় এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে বহিরাগত বর্গী, মেনন, দেওধরদের দিকেই। বিশদ

21st  March, 2021
শেষ পর্যন্ত কি খুলে গেল
ডাস্টবিনের ঢাকনা
তন্ময় মল্লিক

প্রার্থী নিয়েই যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়, তাহলে জিতলে কী হবে? সেটা বুঝেই ‘বিজেপির চাণক্য’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। তাতেও সূত্র না মেলায় বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছেন। যে কোনও মূল্যে বিক্ষোভ সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু এ তো জয়নগরের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাবে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপির এখন শাঁখের করাতের অবস্থা। বিশদ

20th  March, 2021
স্বাস্থ্যসাথী, ২ টাকার চাল, কন্যাশ্রী 
কি বিজেপি বন্ধ করে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সোনার বাংলা ব্যাপারটা ঠিক কী? আমরা তো ‘সোনার উত্তরপ্রদেশ’, ‘সোনার ত্রিপুরা’, ‘সোনার অসম’, ‘সোনার হরিয়ানা’, ‘সোনার মধ্যপ্রদেশ’ বলিও না। শুনিও না।  বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটি রাজ্য যদি সোনার হয়ে যায়, তাহলে ২০১৮ সালে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল? বিশদ

19th  March, 2021
ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সাধারণ মানুষ, বিপুল মুনাফা লুটবে কর্পোরেট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোটি কোটি ছোট কৃষক, ছোট ব্যবসাদার, অল্প পুঁজির কারখানার মালিক, যাদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা চালু রয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গ্রামে ছোট শহরে। এই শ্রেণি হারিয়ে যাবে আর্থিক উন্নয়নের মানচিত্র থেকে। বিশদ

18th  March, 2021
টিকিট-কোন্দলে গেরুয়া
শিবিরে নরক গুলজার
সন্দীপন বিশ্বাস

সবকিছু দেখে মোদি-শাহ জুটি এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, যে জুমলার জোরে অন্য রাজ্যে সরকার গড়া যায়, সেই একই জুমলায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ হবে না। তাঁদের সব জুমলাবাজি রাজ্যের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। বিশদ

17th  March, 2021
কুকথার বান রুখতে সহবতের
পাঠ দিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ 
জয়ন্ত কুশারী

‘তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না,/ করে শুধু মিছে কোলাহল। / সুধা সাগরের তীরেতে বসিয়া পান/ করে শুধু হলাহল।’ —কথাগুলো বলছেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর গানের মাধ্যমে। এ তো কেবল গান নয়। এ হল তাঁর নীরব অভিমান। এক কথায় বলা যায়, এ হল কবি সার্বভৌমের খেদোক্তি।  
বিশদ

15th  March, 2021
নিখোঁজ মধ্যবিত্ত শ্রেণির করুণ কাহিনি 
পি চিদম্বরম

১৩৮ কোটি মানুষের একটা দেশে, যেখানে মাথাপিছু গড় আয়ের পরিমাণ ৯৮ হাজার টাকা এবং চরম আর্থিক বৈষম্য রয়েছে, সেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ কত আছে সেটা আন্দাজ করা কঠিন।  
বিশদ

15th  March, 2021
আঘাত তাঁকে কাবু
করতে পারেনি কখনও
হিমাংশু সিংহ

আজ ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রাম দিবস। ১৪ বছর আগের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও প্রত্যেক নন্দীগ্রামবাসীর স্মৃতিতে টাটকা। সেদিন বামফ্রন্টের পুলিসের নির্বিচারে গুলিচালনা, প্রাণহানি এবং তাঁর প্রতিবাদে বাংলাজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন এত সহজে ভোলার নয়। বিশদ

14th  March, 2021
ছিল ‘ওয়াশিং মেশিন’
হয়ে গেল ‘ডাস্টবিন’
তন্ময় মল্লিক

জনমত সমীক্ষার কোনও রিপোর্টই তৃণমূলকে টেনে হিঁচড়ে ১৫০ এর নীচে নামাতে পারেনি। অন্যদিকে সিবিআই, ইডি লেলিয়ে দিয়েও বিজেপির সেঞ্চুরি হাঁকাতেই দম বেরিয়ে যাচ্ছে। আদিরা চটলো না পটলো, তা নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই। তাই যোগদান চলছে এবং চলবে। যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। বিশদ

13th  March, 2021
একনজরে
বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে নির্বাচনী বিধি ভেঙে উচ্ছেদের নোটিস পাঠাচ্ছে রেল। ভোটের মুখে কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে কমিশনের দ্বারস্থ সিপিএম। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রেলকে দ্রুত এই ধরনের কাজ থেকে বিরত হওয়ার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। ...

কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবার নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর সাফ জবাব, কংগ্রেস মানেই গান্ধী পরিবার নয়, একটা দর্শন — যাকে ...

রতুয়ার পর মোথাবাড়ি। ফের টিকিট বিলি নিয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস কর্মীরা। রতুয়ার কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েই ক্ষান্ত হন। ...

গয়েশপুর শহরে ফের নতুন করে করোনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। পাশাপাশি হরিণঘাটার কাষ্ঠডাঙা এলাকাতেও ইউকে স্ট্রেইনে এক যুবক আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। লকডাউন শুরুর বর্ষপূর্তির ঠিক আগের দিনের এই খবরে ফের উদ্বেগ বাড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
১৬০৩ - প্রথম এলিজাবেথ, ইংল্যান্ডের রানী
১৬৯৩ - ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসনের জন্ম
১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়
১৯০৫- ফরাসি লেখক জুল ভার্নের মৃত্যু
১৯৩৩: এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন
১৯৫৬: পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়।
১৯৭৯- অভিনেতা ইমরান হাসমির জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৫৪ টাকা ৭৩.২৫ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫৫ টাকা ১০২.০০ টাকা
ইউরো ৮৪.৮১ টাকা ৮৭.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ চৈত্র ১৪২৭, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১। দশমী ১১/৪৮ দিবা ১০/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ৪৩/৪৮ রাত্রি ১১/১২। সূর্যোদয় ৫/৪০/৫৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ৯/৪১ গতে ১১/১৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২০ মধ্যে, রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/১১ মধ্যে। 
১০ চৈত্র ১৪২৭, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১। দশমী প্রাতঃ ৬/১। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪১ গতে ৩/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৩ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ১/১৫ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৩ গতে ৪/১৩ মধ্যে।
৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জীতেন তিওয়ারিকে শোকজ
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া জীতেন তিওয়ারিকে শোকজ ...বিশদ

03:44:07 PM

দেশের এক নম্বর মিথ্যাবাদী মোদি, ফের বললেন মমতা
‘দেশের এক নম্বর মিথ্যাবাদী।’ আমি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটাকে সম্মান করতাম। এখনও ...বিশদ

03:13:00 PM

কালনা  বিধানসভা  কেন্দ্রের  মনোনয়নপত্র  জমা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবপ্রসাদ বাগ

01:53:53 PM

আইএসএসএফ শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা ভারতের
আইএসএসএফ শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জিতলেন ভারতের চিঙ্কি যাদব। তিনি ২৫ ...বিশদ

01:51:26 PM

অভিনেতা আমির খান করোনা পজিটিভ
করোনা পজিটিভ হলেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। তিনি এখন হোম ...বিশদ

01:36:47 PM

বিমল গুরুংকে নজরে রাখতে আলোচনা নির্বাচন কমিশনে
বিমল গুরুংকে নজরে রাখার ব্যাপারে আলোচনা নির্বাচন কমিশনে। বুধবার শিলিগুড়িতে ...বিশদ

12:58:31 PM