পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এদিন মঞ্চে নিজস্ব ভঙ্গিতে অনুব্রতবাবু বলেন, বিশ্বভারতীতে এমন এক উপাচার্য এসেছেন যিনি ভয়ঙ্কর পাগল। এত খারাপ উপাচার্য আমি আগে কখনও দেখিনি। হাইকোর্টের রায়ে সকাল ছ’টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত বিশ্বভারতীর সমস্ত গেট খুলে রাখার কথা স্পষ্ট বলা আছে। কিন্তু এই উপাচার্য সব গেট বন্ধ রেখে বিশ্বভারতীকে আলাদা করতে চাইছেন। এবার যিনি বোলপুরে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তিনিও দিল্লি থেকে এসেছেন। উপাচার্যই তাঁকে নিয়ে এসেছেন। উনি ভেবেছেন, হাতে একটা এমএলএ থাকলে যা ইচ্ছা তাই করবেন। কিন্তু আপনার সেই ক্ষমতা নেই। নির্বাচন পেরিয়ে গেলে এমন শিক্ষা দেব, যে সারা জীবন মনে থাকবে। তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, বোলপুরে বিজেপির প্রার্থী উপাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শীঘ্রই আপনারা একথা বুঝতে পারবেন। তাই, বোলপুরবাসীদের বলছি, আপনারা সবাই গর্জে উঠুন। এই উপাচার্যকে তাড়ানোর দরকার আছে। ভোটের ফল প্রকাশের পর বীরভূমের মানুষের স্বার্থে নিশ্চয়ই বিশ্বভারতী নিয়ে চিন্তাভাবনা করব। খেলাও হবে।
এদিন অনুব্রতবাবু আরও বলেন, গত বছর বসন্ত উৎসবের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে টাকা চেয়েছিলেন এই উপাচার্য। আমি সঙ্গে সঙ্গে এক কোটি টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু বসন্ত উৎসব হয়নি। উপাচার্য বিশ্বভারতীকে নিজের জমিদারি মনে করছেন। যাঁকে খুশি সাসপেন্ড, শো-কজ করছেন। তাই বলছি, চন্দ্রনাথ আপনার বাড়ির ছেলে, ঘরের ছেলে। আপনারা ভুল করবেন না। বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিলে উপাচার্যের হাত শক্ত হবে। উপাচার্য আরএসএস-এর লোক। তাই রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে কি মুছে ফেলা যায়? রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এদের কোনও সম্যক ধারণা নেই। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি জানে না। তাই রবীন্দ্রনাথকে বলছে বহিরাগত। উনি ভয়ঙ্কর পাগল বলেই একথা বলছেন। পাগলকে কী করে জব্দ করতে হয় বীরভূম তথা বাংলার মানুষ তা জানেন। যদি কিছু ভুল করে থাকি, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু এই উপাচার্যকে আপনারা শিক্ষা দিন। বোলপুরবাসী হিসেবে বলব, বিজেপি প্রার্থীকে যেন কেউ একটি ভোটও না দেন। সবাই এটাই প্রচার করুন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বোলপুরের সর্বনাশ হবে।
সভার শুরুতে তৃণমূল নেতা দেবব্রত ওরফে গগন সরকার বলেন, উপাচার্য যেভাবে বোলপুর, শান্তিনিকেতনের ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভাঙার চেষ্টা করছেন তাতে সবার আপত্তি। তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, উপাচার্য ভুলে গিয়েছেন বোলপুর ও শান্তিনিকেতন একে অন্যের পরিপূরক। কিন্তু উনি বিচ্ছিন্ন করতে চাইছেন। আর্থিকভাবে বোলপুরকে ধ্বংস করতে চাইছেন। কিন্তু কেষ্টদা, আমরা থাকতে তা হবে না। দিল্লি থেকে একজন উপাচার্য এসে যা করছেন তারপর আর এখানে নতুন করে কোনও দিল্লির লোক চাই না।
উল্লেখ্য, বোলপুরে এবার বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। অনুব্রতবাবুর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাদের কোনও কাজকর্ম নেই। মানুষকে ধমকানো, চমকানো স্বভাব। আজ আমাকে বহিরাগত বলছেন, কিন্তু ভোটের ফল বের হলে ওঁরাই বহিরাগত হয়ে যাবেন।
এব্যাপারে অবশ্য উপাচার্য বা বিশ্বভারতীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।