পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এ ব্যাপারে জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, দু’দিন আগেও বিভিন্ন সভায় প্রার্থী নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে তৈরি হওয়া কোন্দলকে সমালোচনা করেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার নিজেদের দলেই ওই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করার অভিযোগ অনভিপ্রেত। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে ভেবে দেখতে হবে। কংগ্রেস কর্মীরা কেন দিকে দিকে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন, তা বুঝে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। তা না হলে দল বিপদে পড়তে পারে। নিজেকে মোথাবাড়ি বিধানসভা এলাকার কংগ্রেস কর্মী দাবি করে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শেখ সালাউদ্দিন বলেন, আমাদের দলের প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাঁকে টাকার বিনিময়ে জেলা কংগ্রেসের একাংশ প্রার্থী করেছে বলে আমাদের অভিযোগ। তাঁর থেকে অনেক যোগ্য ব্যক্তি আমাদের দলে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে কাউকে প্রার্থী করার দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। এদিন কালিয়াচকে দলের পার্টি অফিসে বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই অফিস থেকে মোথাবাড়ি এবং সুজাপুর বিধানসভার দলীয় কাজকর্ম পরিচালিত হয়। অফিস ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।
মোথাবাড়ির প্রার্থী শেখ দুলাল বলেন, আমি ১৯৮০ সালে মাধ্যমিক পাশ করি। উত্তর পঞ্চানন্দপুর-১ পঞ্চায়েতে তিন দফায় প্রধান ছিলাম। উৎকর্ষতার জন্য তখন জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছি। টাকা দিয়ে প্রার্থী হওয়ার প্রশ্নই নেই। দল আমাকে যোগ্য মনে করেছে, তাই প্রার্থী করেছে। তিনি বলেন, মোথাবাড়ি বিধানসভা এলাকার কোনও কংগ্রেস কর্মী আমার বিপক্ষে নেই। সুজাপুর বিধানসভার তৃণমূলের একাংশের উস্কানিতে কিছু লোক আমাদের দলের কার্যালয় ভেঙেছে। আমি প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। সেকারণেই তারা এ ধরনের কাজে মদত দিচ্ছে।
মোথাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, কালিয়াচক-১ ব্লকের দু’টি পঞ্চায়েত আমাদের বিধানসভার অর্ন্তগত। সেখানে কংগ্রেসের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওই দলে কে প্রার্থী হলেন, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। মানুষের সমর্থন আমাদের দিকে রয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলার বাকি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও রতুয়া এবং মোথাবাড়ি নিয়ে কংগ্রেস কিছুটা ধীরে চলো নীতি নিয়েছিল। ফলে শেষের দিকে তারা ওই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে। গত বিধানসভা নির্বাচনে রতুয়া এবং মোথাবাড়িতে কংগ্রেসের প্রতীকে যথাক্রমে সমর মুখোপাধ্যায় এবং সাবিনা ইয়াসমিন জয়লাভ করেন। পরে দু’জনই তৃণমূলে চলে যান। ফলে ওই দুই বিধানসভা এলাকায় প্রার্থী খুঁজতে কংগ্রেসকে কিছুটা বেগ পেতে হয়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নিজেদের বিধায়ক রয়েছেন এমন বিধানসভা আসনে প্রার্থী করা নিয়ে কোনও দলকেই সমস্যায় পড়তে হয় না। তাছাড়া গত নির্বচনে হেরে যাওয়া আসনেও দলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এতদিন সেভাবে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা যায়নি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।