পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এদিন সকাল ৯টা নাগাদ তেহট্টর কাঁঠালিয়া নতুন বাজারে জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে কর্মিসভা হয়। বৈঠকে মহুয়া বলেন, ওপার বাংলা থেকে আসা আমার মা ভাই বোনদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তাদের এই চক্রান্তে পা দেবেন না। কারণ, সংশোধিত এই আইনের মাধ্যমে নাগরিক হতে গেলে আপনাকে আগে স্বীকার করতে হবে যে আপনি এ দেশের নাগরিকই নন। আপনার আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড সবকিছুই মিথ্যা। কর্মিসভার পর নাজিরপুর মোড় থেকে কালীতলা পর্যন্ত তাঁরা মিছিল করেন। প্রচুর কর্মী-সমর্থক তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা সভাপতি। সেই সময় রাস্তার দু’পাশে থাকা চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রেস্তরাঁ কিংবা বিভিন্ন দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছেই পৌঁছে যান তাঁরা। তাপসবাবুকে দেখিয়ে জেলা সভাপতিকে বার বার বলতে শোনা যায়, ইনি আমাদের এবারের প্রার্থী। আপনারা সকলেই ভোট দেবেন। নাজিরপুর মোড় থেকে কালীতলা দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত এইভাবেই পদযাত্রা করেন তাঁরা।
তারপর কালীতলা মোড় থেকে চারচাকা গাড়িতে চেপে জেলা সভাপতি ও তাপসবাবু সহ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক টোপলার দিকে যাত্রা শুরু করেন। এই গাড়ি এলাকায় ঢোকার আগেই দলীয় কর্মীরা মাইকিং করে এলাকাবাসীকে জানান যে, জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র সহ এলাকার তৃণমূল প্রার্থী মানুষের দরবারে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্ন ফেরানোর আহ্বান জানাতে আসছেন। আপনারা তাঁদের দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করুন। স্বাভাবিকভাবেই মাইকিংয়ের আওয়াজ কানে পৌঁছতেই স্থানীয় মানুষজন রাস্তার দু’পাশে ভিড় জমাতে থাকেন। গাড়ি এগনোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মোড়, পাড়ার মহিলা, বাচ্চা সকলেই প্রার্থী ও মহুয়ার উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে সঙ্গে থাকার বার্তা দেন। টোপলা নতুন বাজার এলাকায় কিছু কর্মী সমর্থক ফুল, দলীয় পতাকা নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। গাড়ি পৌঁছতেই প্রার্থী ও জেলা সভাপতির উদ্দেশে ফুল ছোড়া হয়। মহুয়াও উপস্থিত কচিকাঁচাদের দিকে ফুল ছুড়ে দেন। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছি। এলাকায় রাস্তাঘাট সহ নানা কাজ হয়েছে। দিদির উপর আমাদের আস্থা রয়েছে।
মহিষাখোলার বাসিন্দা শৈলেন সরকার বলেন, তাপসবাবু এলাকার মানুষ। বছরভর তাঁকে এলাকায় পাওয়া যায়। প্রার্থী তাপসবাবু বলেন, গোটা তেহট্ট বিধানসভার প্রতিটি বুথের মানুষ আমাকে চেনেন, জানেন। প্রচারে মানুষের উচ্ছ্বাসেও তা প্রমাণিত। শুধু তাই নয়, প্রতিটি গ্রামের কম করে ২০-৩০ জন মানুষকে আমি নামে চিনি। যেটা রাজ্যের অন্য কোনও নেতা জানেন কিনা সন্দেহ আছে। তাই তাঁরা সকলেই যে আমার সঙ্গে থাকবেন তা আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত।