পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
বাম আমল থেকে এলাকার অনুন্নয়নকে হাতিয়ার করে এবারে আমাদের লড়াই। উত্তরবঙ্গ জুড়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রবল বিজেপি হাওয়া থাকলেও স্রেফ সাংগঠনিক শক্তির উপর ভর করে আমরা এগিয়েছিলাম এই কেন্দ্রে। রাজ্য সরকার যে ভাবে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিয়েছেন, তাতে বাম বিধায়ক নর্মদা রায় এবার আর সুবিধে করতে পারবেন না। লোকসভার ফলাফলে দেখা গিয়েছে বাম ও বিজেপি আঁতাত রয়েছে। বামেদের ভোট সব গিয়েছিল রামের দলে। লোকসভা নির্বাচনে বামেদের কর্মীরা বিজেপিতে ভোট করিয়েছে। রাজবংশী সম্প্রদায়ের ইস্যু টেনে এবারে সুবিধে করতে পারবে না বাম ও বিজেপি।
আমাদের রাজ্য সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে বিধানসভা কেন্দ্রে আমাদের দলের বিধায়ক না থাকলেও কিভাবে উন্নয়ন করতে হয়। বিজেপি এখন ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে বিভেদের রাজনীতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি নিশ্চিত ওরা সফল হতে পারবে না। বিরোধী দলের বিধায়ক দু’বার জিতেও কোনও কাজ করতে পারেননি। বাম আমল থেকে কুশমণ্ডির মানুষের জন্য তিনি কিছু কাজ করেননি। আমাদের দলের বিধায়ক না থাকলেও সরকারের স্বদিচ্ছায় মানুষের জন্য কাজ করার উদ্যম থাকলে কাজ যে করা যায়, আমরা তা প্রমাণ করে দিয়েছি। আমরা কুশমণ্ডিতে সরকারি কলেজ স্থাপন করেছি, আইটিআই কলেজ হয়েছে, কৃষকদের কথা মাথায় রেখে কিষানমাণ্ডি করেছি।
কুশমণ্ডির মুখোশ ও বাঁশের শিল্পীদের সামগ্রী দেশ, বিদেশেও বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। কুশমণ্ডি বিধানসভা কেন্দ্রে কৃষি প্রধান এলাকায় এলাকার রাজবংশী সমাজের মানুষ ধান, গমের পাশাপাশি ব্যাপক সবজি উৎপাদন করেন, কুশমণ্ডির সবজি প্রতিবেশী রাজ্য ও জেলায় রপ্তানি হয়। কৃষকদের দীর্ঘদিনের চাহিদা বহুমুখী হিমঘর ও সবজি বিক্রয় কেন্দ্রের। এছাড়া বাম আমল থেকে গ্রামীণ এলাকায় রাস্তাঘাটের সমস্যা, পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।
আমরা ক্ষমতায় আসলে প্রথমে এলাকার মানুষদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করবো। রুজিরুটির ব্যবস্থা করায় আমাদের মূল টার্গেট। কুশমণ্ডির হস্তশিল্প কেন্দ্রকে নতুন ভাবে সাজিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, যা বাম আমল থেকে বঞ্চিত রয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ নজর থাকবে।