পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
করোনা পর্বে লকডাউনের শুরু থেকে প্রায় ছ’মাস বন্ধ ছিল মঙ্গলাহাট। সেপ্টেম্বর মাসে পুজোর আগে করোনা বিধি মেনে ফের হাট চালু করা হয়। কিন্তু এখন সেই হাট একেবারে করোনা পর্বের আগের চেহারাতেই ফিরে এসেছে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ পাইকারি এই বস্ত্র হাট বসে হাওড়া শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে। জেলা হাসপাতাল, আদালত, জেলাশাসকের কার্যালয়ের সংলগ্ন এলাকায় বসে হাট। ফলে এত মানুষের জমায়েত থেকে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে তার প্রভাব অনেক দূর যাবে। ফলে শঙ্কা বাড়ছে প্রশাসনের। হাওড়া সিটি পুলিসের এক পদস্থ কর্তা জানান, হাটের সকলকে মাস্ক না দেওয়া গেলেও প্রতীকীভাবে কিছু মাস্ক এদিন সকাল থেকে হাটে বিলি করা হয়েছে। পাশাপাশি হাওড়া ময়দান চত্বরে এবং হাট এলাকায় মাইকে সচেতনতা প্রচার চালানো হয়েছে। হাটের একটি ব্যবসায়ী সমিতির নেতা কানাই পোদ্দার বলেন, করোনা বিধি কীভাবে মানা যায়, তা নিয়ে আবার আমরা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসব। সব বিধি মেনেই হাট চালু রাখা আমাদের উদ্দেশ্য। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনকে সবরকমভাবে সাহায্য করব।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এর আগে হাওড়ার বিভিন্ন আবাসন ও বাড়ির একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে নানা ধরনের লাইভ অনুষ্ঠান করেছে তারা। এর ফলে তাদের কাছে এরকম একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার নাম, ঠিকানা সহ ডেটাবেস রয়েছে। সেটি ব্যবহার করে তাঁদের করোনার টিকা নিতে আবেদন জানাবে পুলিস। সব মিলিয়ে করোনার বিরুদ্ধে ফের কোমর বেঁধে লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছে হাওড়ায়।