পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
দেওয়াল লিখনে ভরে গিয়েছে ভোটমুখী রাজ্য। কোথাও দেওয়ালের রং সবুজ, কোথাও লাল কিংবা গেরুয়া। অনেক কেন্দ্রে আবার প্রার্থীর মুখের ছবিও আঁকা হয়েছে। তবে দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থীরা যখন প্রচারে ব্যস্ত, তখন খোদ কলকাতায় দেখা গেল এক ভিন্ন ধরনের প্রচার। বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা প্রার্থীর প্রচার নয়। সর্বসাধারণের হয়ে আওয়াজ তুলল এই শহরেরই ২৫ জন পথশিশু। তারাই হয়ে উঠল দীন-দরিদ্র মানুষের প্রতিনিধি। খুদেদের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলি ইস্তাহার প্রকাশ করে ঝুরিঝুরি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এক শিশু বলল, ‘আমাদের কথা কেউ ভাবে না। আমাদের ভালো খাবার জোটে না। জামাকাপড় নেই। পড়াশোনার ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ্য নেই। নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ না করে গরিব মানুষের কল্যাণে ব্যয় করলে আমাদের মতো মানুষরা উপকৃত হতো।’
অবহেলিত পথশিশুদের এই দাবিকে সঙ্গত মনে করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এক সহ নাগরিক। কচিকাঁচাদের একত্র করে দেওয়াল লিখনের এই উদ্যোগে সহযোগিতা করেছেন এক মধ্যবিত্ত বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার। নাম সুমন মিত্র। ভালো আঁকতে পারে, এমন পথশিশুদের তিনি এদিন নিয়ে আসেন। তারা একটি দেওয়ালে পাঁচটি পৃথক গ্র্যাফিটি আঁকে। একটিতে লেখা, ‘নির্বাচনের খরচ ৬০ হাজার কোটি টাকা। আমরা খেতে চাই, ভাত দিবি?’ উল্লেখযোগ্যভাবে আরও একটি দেওয়ালে লেখা হয়েছে, ‘ম্যানিফেস্টো ইজ অডিবল নট ভিজিবল’। দেওয়াল লিখনের আয়োজক সুমন মিত্রের দাবি, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলি একাধিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ইস্তাহার প্রকাশ করলেও সেগুলি আদতে বাস্তবের রূপ পায় না। তিনি বলেন, ভোটের খরচ কমিয়ে যদি সাধারণ মানুষের জন্য হাসপাতাল তৈরি করা হয়, তাহলে নিম্নবিত্তরা উপকৃত হবে।
নির্বাচনের খরচ কমানো হবে কীভাবে? তার উপায়ও বাতলেছেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। সুমনের মতে, আমরা প্রযুক্তিগতভাবে অনেকটাই উন্নত। তাই বাড়ি বসেই যদি ভোট দিতে পারেন সাধারণ মানুষ, তাহলে খরচ অনেকটাই কমানো সম্ভব। তার জন্য সরকার সহজেই একটি অ্যাপ তৈরি করতে পারে। যার মাধ্যমে নাগরিকরা তাঁদের পছন্দ মতো প্রার্থীকে বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারেন। তাতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াও স্বচ্ছ হবে বলে মনে করেন সুমন।