পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (নির্বাচন) বৈভব চৌধুরী বলেন, দিব্যাঙ্গ এবং ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটারদের সুবিধার জন্য নির্বাচন কমিশন ব্যালটে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে। ভোটের দিন বুথে গিয়ে তাঁদের যাতে ভোগান্তি পোহাতে না হয় তার জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। তাঁরা চাইলেই বুথে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। মালদহে ওই দুই শ্রেণির সিংহভাগ ভোটার বুথে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। আমরা তাঁদের জন্য বুথে র্যাম্প সহ সব ধরনের পরিকাঠামো তৈরি রাখছি। ভোট দিতে গিয়ে কারও যাতে হয়রানি না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এবারই প্রথম কমিশন ব্যালটে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে। তার জন্য সুবিধা নিতে ইচ্ছুক সকলের কাছেই প্রশাসনের কর্মীরা নির্দিষ্ট ফরম নিয়ে হাজির হচ্ছেন। তা ভোটারকে পূরণ করে সংশ্লিষ্ট কর্মীর কাছে জমা দিতে হবে। তবেই তিনি বাড়িতে বসে ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। মালদহে বর্তমানে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে ৩৫ হাজার ২৬১ জন ভোটার রয়েছেন। রতুয়া বিধানসভা এলাকায় সবচেয়ে বেশি ৪৪৭৬ জন অশীতিপর ভোটার রয়েছেন। সবচেয়ে কম মোথাবাড়িতে রয়েছেন ২১৯৭ জন। অন্যদিকে, জেলায় মোট দিব্যাঙ্গ ভোটার রয়েছেন ১২ হাজার ১৩৮ জন। মানিকচকে সবেচেয়ে বেশি ১৪৬৫ জন রয়েছেন। সবচেয়ে কম ৫৮৫ জন দিব্যাঙ্গ ভোটার রয়েছেন মালতীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ব্যালটে ভোট গ্রহণের সময় প্রশাসনের কর্মীদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকতে পারেন। ফলে প্রবীণ এবং দিব্যাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সংশয় দানা বেঁধেছে। তিনি কোন দলকে ভোট দিলেন তা কেউ দেখে ফেলবে কিনা, তা নিয়েই সংশয়। তবে আমরা বিষয়টি তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে বুথের মতোই চট বা প্লাইউড দেওয়া ঘেরা জায়গা সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। ভোটগ্রহণে বুথের মতোই এক্ষেত্রে চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে। ভোটারের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও যাবেন। ভোটগ্রহণের পর ব্যালট বাক্স কড়া প্রহরায় ট্রেজারিতে রাখা হবে। নির্দিষ্ট দিনে তা গণণা হবে। ফলে এনিয়ে কোনও সংশয় থাকা উচিত নয়।